সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
ও শাওন, কবিকুলে প্রচলিত যত মাস আছে
ততো মাস নিয়ে এই কবিতা নিচয়
তবু দ্যাখো, পত্রপুটে যতবার জল পড়ে থাকে
ততোবারই পাতা নড়ে, কুসুমকম্পনসম ক্ষীণধ্বনি
বাজে এ সংসারে।
আর সকলেই বরষার গান গেয়ে থাকে।
শ্রাবণ মেঘের কলা,
বিদ্যুতের ক্ষিপ্র ইশারায় মনে হয়
নিকটেই বাজ পড়ে গেল। কবি তাহা
নানা ঠাঁই সাজায় বাজায়...
শাদা পাতা, শুত্র পৃষ্ঠ তার ভিজে ওঠে আহা।
বরষার করুণা অপার।
মেয়ে আর কালো পাড় শাদা শাড়ি তার ভিজে যায়।
বরষার করুণা অপার!
যেন সিনেমায়, বহু বর্ণ গণ্ধ গান। নেচে যায়
একালের সবচেয়ে সফল নায়িকা নৃত্যকলা পটিয়সী
কোমল বরণ!
বিশ্বপ্রেক্ষাগৃহ হতে
বর্ষা আর ধ্বনিকলা তার
অনুরাগ জন্ম দিয়ে যায়।
তাহলে রবিন বাবুর কথা বলি...
আগাম বন্ধ হওয়া স্কুল ছুটি হলে
বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফেরে মেয়ে
রিকশায়, হুডের ফাঁকে ফাঁকে, যতটুকু চলে
ততোটুকু ঝাপটা দেয়
শ্রাবণের মাতাল ছেলেরা।
যতোটা নিজেকে না ততোটাই টেক্সট বই বাঁচাবার ছলে
মেয়ে সরে সরে যায়।
গান নয়, তাই মনে হয় : এই বুঝি টেক্সট ভিজে যায়।
তাহলে রবিন বাবুর কথাই বলি
এ যাবত যত গান লেখা হয়ে থাকে
তারো বেশি লিখেছেন তিনি। রবীন্দ্রনগর হতে
সে সকল শিমুল শাবক দূরে উড়ে চলে গেছে
অপরের চৈত্রবাতাসে।
আর টেক্সট ফেলে রেখে মেয়ে
একেলা উঠেছে ছাদে।
আপনার বুক হতে সৌরভ দিতেছে সমীরে।
দ্রুত হাতে কিশোর রবিন হতাশ্বাসে টুকিতেছে তাহা।
তাই ঘোর বসন্তের রোদে শ্রাবণের কথা বলি
বৃষ্টিরাশি, বাদল সরকারের কথা বলি।
শ্রাবণ হে পরনারী, বাতাবী কাঁঠাল আম
গন্ধশত ভুলে অভেদ তোমার কথা মনে পড়ে আজ
রঙপুর হতে তুমি যে সকল দেয়াললিপিকা
গুহাচিত্র, ধ্বনিময় বৃষ্টিরাশিসম
পাঠায়েছ মেঘের উপর, আমাদের পরবের দিন।
সপ্তম বরণে তাহা রঙধনু রূপে
বর্ণিত হয়েছে এই ওঁরাও নগরে।
তাই আমাদের পরবের দিন বৃষ্টিপাত ঘটে,
রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। রাষ্ট্রযন্ত্র ভাল চলে
ট্রাফিকবিহীন।
(১৯৯৯)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।