সামুর কাছে চির কৃতজ্ঞ ...আমি অবাক নির্বাক হতবাক শতভাগ ...
আমার কাছে ধর্ম একটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এর আচার-আচরন মেনে চলা যার যার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস। এতে অন্যের হস্তক্ষেপ করার কনো অধিকার নাই। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো এমনিতেই সমালোচনার সামনে চলে আসে। যেমন কেউ কেউ আছেন যারা খুব গর্বের সাথে নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দেন , সরাসরি বলেন আমি ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী নই।
এটার সত্যতা কতটুকু তা যাচাই প্রজয্য । আমরা কি সকল পরিস্থিতে এমন মনোভাব নিয়ে চলতে পারি ? আর কেন আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবো না ? কনো ধর্ম তো মানুষের অকল্যানের কথা বলে না , ভাল ছাড়া মন্দ পথ দেখায় না। তাহলে এই অবিশ্বাসের হেতু কি এবং কোথা থেকে জন্ম নিচ্ছে ?
এটা দ:খজনক হলেও সত্য যে বিজ্ঞান আমাদের ধর্মবিশ্বাসের মূল ভিত্তি কে অনেক খানি নাড়া দিয়েছে। কথায় আছে বিজ্ঞান একটা কিছু আবিস্কার করল তো ঈশ্বর থেকে একটু বিশাস উঠে গেল। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিজ্ঞানের এই সাফল্য।
বিজ্ঞানের এই সফলতার সুফল ভোগ করছে পাশ্চাত্যের দেশ গুলো। আর আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের একটি বড় অংশ পাশ্চাত্য সমাজের প্রতি আস্তে আস্তে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। তারা তাদের জীবন ও জগৎ কে পাশ্চত্যের চোখে দিয়ে দেখতে ও বিচার করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে এবং নিজেদের ধর্ম,সংস্কৃতি ও জীবনাদর্শের প্রতি চলে আসছে অবিশ্বাস এবং অনীহা নামক ভয়ংকর ব্যাধি। অথচ পাশ্চাত্য সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আজকের এই পাশ্চাত্য সভ্যতার মূলে রয়েছে ইসলামের দর্শন। মুসলমানেরা যখন বাগদাদ, মিশর ও স্পেনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকবর্তিকা ছড়াচ্ছিল তখন ইউরোপে চলছে অন্ধকার যুগ।
দলে দলে ইউরোপীয়ানরা জ্ঞান আহরোনের জন্য ছুটে চলেছে সেখানে। নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার জন্য। মুসলমানদের হাত ধরে তারা ঠিকি আলোর জগৎ দেখলো কিন্তূ আমরা মুসলমানরা তাদের পথে চলার অভিপ্রায়ে ইসলামিক ধ্যান ধারনাকে অস্বীকার করছি।
আজ কত সহজে এবং অকপটে আমরা ঈশ্বর কে অস্বীকার করছি, ধর্মকে অস্বীকার করছি। নিজেকে "সেকিউলার " বলে গর্বীত হচ্ছি।
কিন্তূ সেকিউলারিজমের উৎপত্তির কারণ বিশ্লেষন করলে হয়ত আমরা নিজেদের একটু সংশোধন করার সুযোগ পাব। ১৮৩২ সালে ধনশালী ও প্রভাবপ্রতিপত্তিসম্পন্ন লোকদের লোভ-লালসা, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পথে অযৌক্তিক ও অসংগত প্রতিবন্ধকতা এবং গীর্জীয় ধর্মতত্ত্বের বন্ধ্যা অহমিকতা থেকে সেকিউলারিজমের উৎপত্তি। কিন্তূ এখন আমরা এটা শুধু মাত্র ধর্মের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছি। সেকিউলারিজমের জনক জর্জ হলিউক- এর নাস্তিকতা ছিল " আমি জানি না " পর্যায়ে সীমাবব্ধ কিন্তূ এটাকে পুঁজি করে আমরা সরাসরি "ধর্মবিশ্বাস " কে না বলছি। কেন আমরা এটা আমাদের কুলষিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারছিনা ?
আর বিজ্ঞান যদি ঈশ্বর বিশ্বাসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হয় তাহলে সকল ক্ষেত্রে কেন আমরা বিজ্ঞানের প্রতি আস্থা রাখতে পারিনা ? ধরা যাক, কোন নাস্তিক যার ঈশ্বরে বিশ্বাস নাই, তার প্রিয় সন্তানের কোন কঠিন অসুখ ধরা পড়ল, সে তার সন্তানটিকে যথানিয়মে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।
ডাক্তাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কিন্তূ অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে। তখন বেশীর ভাগ ডাক্তার কে বলতে শোনা যায় " ঈশ্বর কে ডাকুন, তাঁর উপর ভরসা রাখুন"। কেউ কিন্তু বলেনা বিজ্ঞানকে ডাকুন। বিজ্ঞানের উপর ভরসা রাখুন। এমন কোন নাস্তিক নাই যে, এই সময় চুপচাপ বসে থাকে।
এমন অনেক উদাহরণ আছে। সেক্ষেত্রে শান্তি, আস্থা, ভরসা এবং নি্রভরতা কিন্তূ ঐ ঈশ্বরের মাঝে বিদ্যমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।