আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত পার্কিং ব্যবস্থা অকেজো



কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত পার্কিং ব্যবস্থা অকেজো কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত পার্কিং ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের পাশে সাপ্তাহিক হাট-বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও সচেতনতার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা সড়কের উপরে বাজার বসানো হয়েছে। যার ফলে যানজট প্রকট আকারে ধারণ করেছে। অন্যদিকে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে সড়ক র্দূঘটনাও। সীতাকুণ্ড থানার পুলিশের রের্কড সুত্রে জানা যায়, গত এক মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক র্দূঘটনায় ১৫জন নিহত হয়েছে।

বাজারের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে ডিজিটাল স্কেল স্থাপন হওয়ায় আকস্মিকভাবে বাজারটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। দারোগার হাট বাজার অত্র উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ বাজারটির উত্তর প্রান্তে স্থানান্তর করা হলে মিরসরাই উপজেলার আওতায় চলে যায়। যারফলে ইজারা দেয়া নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হবে। বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থানে যানজট নিরসনে ৪স্তর বিশিষ্ট ডিভাইডার স্থাপন করায় বাজারটি দক্ষিণ প্রান্তে স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু সেখানে ডিজিটাল স্কেল স্থাপিত হওয়ায় কাঁচা বাজারের নির্ধারিত কোন স্থান রাখা হয়নি। উপজেলার মধ্য অংশে স্থাপিত শুকলাল হাট বাজারে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্বেও সপ্তাহের দুইদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্যে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারের এসব পন্য কিনতে বাজারে ভীড় করে। আড়তদাররা কৃষিপণ্যে কিনে ট্রাকে তুলতে গিয়ে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে শত শত যানবাহন যানজটে আটকা পড়ায় যাত্রী সাধারণের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

দীর্ঘদিন থেকে এ সংকট সমাধানের কোন উদ্যেগ নেয়া হচ্ছে না। শুকলালহাট বাজারের স্থায়ী কাপড় ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, মহাসড়কের পাশে বাজার বসার জন্য প্রচুর জায়গা রয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখানে না বসে মহাসড়কের পাশেই তাদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে অবস্থান করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে এ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, রীতিমত ওয়েন্ডিং মেশিন দিয়ে গ্রীল বানানোর কারখানা, মুদির দোকানের ড্রাম, গাড়ীর ট্রায়ার যত্রতত্র রেখে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। শুকলাল হাটের পাশেই সিসিসি উচ্চ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী জানান, সোমাবার হাটের দিন যানজটের কারণে এ সড়কগুলো দিয়ে হেঁটেও বিদ্যালয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে, ফলে বেশ কিছু দূর ঘুরে অন্য সড়ক ধরে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। পন্থিছিলা বাজার এলাকায় সড়কের দুই পাশে যাত্রী উঠা-নামা স্থলে কাঠ ব্যাপারীরা কাঠের স্তুপ করার কারণে জন চলাচল ও পার্কিং বিঘœ ঘটছে। একইভাবে ফকির হাট, শুকলাল হাট, বাড়বকুণ্ড, জোরামতল, মাদামবিবির বাজারেও একই দৃশ্য দেখা যায়। বড় দারোগারহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার সবচেছে বেশি কৃষি উৎপাদন হয় এ এলাকায়। এখানকার কৃষকেরা তাদের কৃষি পণ্যে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।

কিন্তু বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থানে ডিজিটাল স্কেল স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় কৃষকদের তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে সমস্যা দেখা দেয়। বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার চারটি বাজারে এলাকার কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্য নিয়ে আসে। অথচ প্রতিটি বাজারের তাদের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ রয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় বাজার কমিটিকে অনেকবার বলা হয়েছে।

যার ফলে যানজটের পাশাপাশি দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম সহকারী পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার আবু আহমেদ আল মামুন জানান, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। যানজট নিরসনের জন্য হাটেরদিন ট্রাফিক পুলিশ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, যানজট নিরসনে মহাসড়ক থেকে বাজারগুলো তুলে নেয়া প্রয়োজন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.