আমি সত্য জানতে চাই
১৯৮৫ সালে ১৬০ একর জমির ওপর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশাল বিমানবন্দর এখন বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৮৫ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে ১৬০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় বরিশাল বিমানবন্দর। এখানে রয়েছে টার্মিনাল ভবন, ছয় হাজার ফুট দীর্ঘ ও ১০০ ফুট প্রস্থ রানওয়ে ও সীমানাপ্রাচীর। ২০০৯ সালের ৫ মে'র পর আজ পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী বিমানও বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করেনি। উল্লেখ্য ১৯৮৫ সালে বরিশাল বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলেও বিমান চলাচল শুরু হয় ১৯৯৫ সালে।
তবে বিমানবন্দর নির্মাণের পর এখানে বিমান ওঠা-নামার জন্যও দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৬ জুলাই শুরু হয় বরিশাল বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
শর্ট টেকঅফ ল্যান্ডিং সার্ভিসের আওতায় বরিশাল-ঢাকা আকাশপথে বেসরকারি বিমান সংস্থা এ্যারোবেঙ্গল এয়ারলাইন্সের ১৭ সিটের একটি বিমান চলাচল শুরু করে। তবে এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তারা এ রুটে সরকারি ফ্লাইট চালুর জন্য আবারও আন্দোলন শুরু করেন।
একপর্যায়ে ২০০৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ বিমানের ৭০ সিটের একটি বিমান বরিশাল বিমানবন্দরে যাওয়া-আসা শুরু করে। ১৫ বছরে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ বিমান ছাড়া আরও চারটি বেসরকারি সংস্থার বিমান চলাচল করে বরিশাল-ঢাকা আকাশপথে।
তবে যাত্রী সংকট দেখিয়ে সব কটি প্রতিষ্ঠানই এ রুটে তাদের বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের তৎকালীন বরিশাল কার্যালয়ের কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, একমাত্র যাত্রী সংকটের কারণে বরিশাল থেকে বিমান গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। বরিশাল রুটে চলাচলকারী সব কটি বেসরকারি বিমান সংস্থার একই সমস্যা ছিল বলে জানান তিনি।
এ পরিস্থিতির জন্য বিমান সংস্থাগুলোর স্বল্প প্রচার-প্রচারণাকেই দায়ী করছে বরিশাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
যাত্রী সংকট দেখিয়ে বারবার বিমানের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞজনেরা বলেন, এ রুটে বিমান সার্ভিস চালু রাখতে হলে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চযাত্রীদের বিমানে চলাচলের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার। তাদের মতে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ঢাকা ও বরিশাল প্রান্ত থেকে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হলে যাত্রীরা বিমানে চলাচল করবেন। আশা করি কর্তৃপক্ষ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের দাবী "নিয়মিত ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা' রুটে সরকারী ফ্লাইট চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।