আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা আদম (আঃ) কে বস্তুসমুহের নাম শেখালেন। নাম পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি আদম (আঃ) কে ফেরেশতাদের চেয়ে বড় স্থান দিলেন। এই বড় স্থান দেয়াতে জ্বীন আজাজিল হয়ে গেলো মানব জাতির সবচেয়ে বড়ো শত্রু ইবলিস।
এভাবে নির্ধারিত হয়ে গেল আদম সন্তানের ভবিষ্যত।
একমাত্র আদম সন্তানই জগতের সকল কিছুর নাম গোত্র সাকিন হদিস করে। আর নাম তো বস্তুর অর্থকে নির্দেশ করে। মানব জাতির কর্তৃত্বের কারন, সে অর্থ দানের ক্ষমতা রাখে। এটা তার সৃজনশীল ক্ষমতা। এই ক্ষমতা চর্চায় সে সফল।
যারা সফল (?) তারাই জগতকে নির্মান করেছে। যেহেতু আমরা জানি বিজয়ীরা ইতিহাস রচনা করে।
বিজয়ীরা ইতিহাস রচনা করে, অপর অর্থে সেই বিজয়ী যে নিজের মতো করে কোন কিছুর অর্থ নির্মান করে টিকিয়ে রাখতে পারে।
কোন এক বন্ধুকে মেইল করে ছিলাম, 'দোস্ত কেমন আছ?'
সে উত্তর পাঠালো, 'কিভাবে বলি, ভালো মন্দ তো আপেক্ষিক বিষয়। '
তার দেয়া উত্তর মন্দ না।
কিন্তু সমস্যায় পড়লাম যখন স্বরুপতঃ আপেক্ষিক শব্দটাকে বুঝতে গেলাম। অর্থগত দিক হতে যদি আপেক্ষিক ইটসেলফ আপেক্ষিক হয় তাহলে আমি আমার দোস্তকে বুঝতে পারি নাই। সে অর্থে আমরা নিজেরা কোন সাধারন অর্থ উৎপাদনের হিম্মত রাখি না। তাহলে আদম (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা যে ক্ষমতা দিলেন তার পরিস্ফুটন কিরুপে কি অর্থে, তা স্পষ্ট নয়।
আবার, এমন একটা জীবন যাপন করি, যেখানে মনে হয় বুঝা-পড়ার হয়ত বা ক্রিয়াশীল কোন মানদন্ড আছে।
একই সাথে গুনগত ভাবে আমরা যে পরিমান অর্থ উৎপাদন করি, সে পরিমান অনর্থ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখি বটে।
আপেক্ষিতার একটা সহজ উদাহরন হলো 'যা একজনের কাছে ভালো, তা অপরের কাছে হয়তো মন্দ'। অর্থ্যাৎ, অর্থ একই সাথে অনর্থকে ডেকে আনে।
নিউটনের সে তৃতীয় সুত্র, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। একে শুধুমাত্র বস্তু জগতে সীমাবদ্ধ রাখতেই মন (?) থেকে সায় পাচ্ছি।
তারপরও যে সামাজিক রাজনৈতিক প্রতিবেশে বেড়ে উঠেছি তাতে মনে হয় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার চর্চাটাই উপরিপর্যু চোখে পড়ছে। এখানে অর্থ অনর্থের দ্বন্ধটা কোন সৃজনশীলতা ছাড়াই লেজে গোবরে অবস্থায় আছে। আমরা এ দ্বন্ধে এমন যুদ্ধে লিপ্ত যেখানে কেউ জয়ী হয় না। অর্থ্যাৎ, শুভ-অশুভ, অর্থ-অনর্থের কোন বালাই নাই।
যেহেতু বিশ্বাসে অন্ধ এই মন তাই বলছি, আল্লাহ তায়ালা কোন ভুল করেন না।
অর্থ অনর্থ চিনতে না পারার অক্ষমতা তিনি নিশ্চয় ক্ষমা করবেন এবঙ শুধরে দেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।