!!!
সুরমা নদীর তীরে অবস্হিত কীন ব্রীজকে সিলেটের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। আর শহরের অংশের নদী সংলগ্ন তীরে এবং কীন ব্রীজের পাশেই চাঁদনীঘাটে রয়েছে বিখ্যাত আলী আমজাদের ঘড়ি। কীন ব্রীজ ও আলি আমজাদের ঘড়ি এখন সিলেটের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
কীন ব্রীজ:
১৯৩৬ সালে আসামের শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর আব্দুল হামিদ এবং আসামের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য বাবু প্রমোদ চন্দ্র দত্ত’এর উদ্যেগে এই ব্রীজ তেরি হয়। ব্রীজটি উদ্বোধন করেন আসামের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কীন (Michael Keane) এবং তার নামেই ব্রীজের নামকরণ করা হয়।
তবে ব্রীজটি সুরমা ব্রীজ নামেও ব্যাপক পরিচিত।
স্টীলের তৈরী এই ব্রীজটি দৈর্ঘ্যে ৩৯৫মি: এবং প্রস্হে ৫.৫০মি:। তৎকালীন সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬ লাখ টাকা। সময়ের সাথে সাথে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্হ হলে ২০০৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পুনরায় ব্রীজটির মেরামতসহ নদী তীরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়।
আলী আমজাদের ঘড়ি:
কীন ব্রীজ থেকে নীচের দিকে তাকালে, চাঁদনী ঘাটের কাছেই চোখে পড়ে আলী আমজাদের ঘড়ি।
জানা যায় পৃথিম পাশার জমিদার আলি আমজাদ নিমন্ত্রিত হয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন। দিল্লির একটি ঘড়ি দেখে তিনি পরবর্তীতে একই ডিজাইনে সিলেটে ঘড়ি তৈরী করেন-যা বর্তমানে আলী আমজাদের ঘড়ি নামে পরিচিত। উল্লেখ্য আলী আমজাদ অবিভক্ত বাংলার আসাম কেবিনেটের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে ঘড়িটি অচল অবস্হায় আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।