এই পৃথিবীতে সবাই আগন্তুক,সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে,কিন্তু তাতে ভয় কিসের।
নগরবাসীদের নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। শহরের কোন এক ছাত্র নাকি তার শিক্ষককে বলেছিলেন, স্যার ধান গাছে কি কাঠ হয়?
তার এই প্রশ্ন অলীক বা কাল্পনিক হলেও গল্পটির মুল অর্থ হলো কমিউনিকেশন গ্যাপ। মাটি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবের কারনে অজ্ঞতা ও অজানা বিষয়ই গল্পটির মুল মমার্থ প্রকাশ করে।
পোষ্ট এর বিষয় বাংলার ঐতিহ্যতে বাঙালী সংস্কৃতি ও আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের নানা কিছু অর্ন্তজালে প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করছি।
এ পর্যায়ে সবার জন্য তুলে ধরলাম মাছ ধরার বিশেষ একটি যন্ত্রকে। ছবিটি গত ৩১ মার্চ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাগড়া গ্রাম থেকে আমারই তোলা।
মাছ ধরার এই বিশেষ যন্ত্রটির নাম পলো। ছবিতে গনেশ নামের ওই ব্যক্তিটি বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে পলো। একেকটি পলো ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হবে।
গনেশ জানান, বর্ষা আসছে তাই মাছ ধরার জন্য তিনি বাঁশ দিয়ে এই বিশেষ জিনিস তৈরী করেছেন। হাটে গিয়ে বিক্রি করবেন। আগের মতন আর ব্যবহার না হলেও তিনি এখনো এই পলো তৈরী করেন।
অনেকে হয়তো পলোতে মাছ মেরেছেন আবার অনেকেই আছে হঠাৎ এই জিনিসটি দেখে বলতে পারবেন না কি এই জিনিসের নাম বা কি কাজে ব্যবহার হয়। গ্রামবাংলার খাল বিলে একসময় এই পলোর ব্যবহার হতো প্রচুর।
এখন আর আগের মতন এর ব্যবহার নেই। এটি যারা তৈরী করতেন তাদের সংখ্যাও কমছে। গ্রামবাংলার আবহমান কালের সংস্কৃতির একটি অংশ হাত দিয়ে মাছ ধরার এই যন্ত্রটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।