"You may like a situation which is not good for you And You may dislike a situation which is good for you." (Al- Quran)
বই পড়
বইয়ের মাঝে
মুখ গুঁজে গুঁজে
বইয়ের রাজ্যে হানা
বইয়ের মাঝে
জ্ঞান খুঁজে খুঁজে
মরতে নেইকো মানা
বইয়ের মাঝে
চোখ বুজে বুজে
রেখনা জীবন অজানা
বইয়ের মাঝে
লাইন বুঝে বুঝে
বাঁচতে শেখ ষোল আনা।
ভেলা নিয়ে খেলা
খেলা, খেলা, খেলা
নৌকা নৌকা খেলা
কলাগাছ শুইয়ে দিয়ে
বানিয়েছি ভেলা।
খেলা খেলা খেলা
ভেলা নিয়ে খেলা
খেলা খেলতে খেলতে
গড়িয়ে যায় বেলা।
সদা সত্য বলিব
সদা বলিব সত্য কথা
মিথ্যাতে ভাই আমরা নাই
মিথ্যা বলে পাবো কী ?
সত্য ছাড়া উপায় নাই।
সত্য নিয়ে বেঁচে থাকব
সত্য নিয়ে মরে যাব
সত্য নিয়েই তাঁর কাছে ঠাঁই।
মিথ্যা বলে পাবে কী ?
সত্য ছাড়া উপায় নাই।
সত্য বললে ভাল হবে
মিথ্যা বললে কালো হবে
বলিব সত্য কথা সদাই
মিথ্যা বলে পাবো কী ?
সত্য ছাড়া উপায় নাই।
শেয়াল মামা
শেয়াল মামা শেয়াল মামা
খেয়েছো তুমি কী ?
বলতে চাইলে বলতে পারো
ভেবো না - লোকে ভাববে কী ?
শেয়াল মামা শেয়াল মামা
চিড়িয়াখানার খাঁচার ভেতর
কেমন তুমি আছো ?
বলতে চাইলে বলতে পারো
কেমন তুমি বাঁচো ?
শেয়াল মামা শেয়াল মামা
আজকে তবে যাই
পরের বারে আসলে তবে
কথা বলা চাই-ই চাই !
হিম হিমা হিম হিমেল হাওয়ায়
হিম হিমা হিম হিমেল হাওয়ায়
গায়ে মাখা আগুন
আরও মজা পিঠা খাওয়ায়
মনে যেন ফাগুন!
খোকা খুকু ঘুমেতে
ওঠেনি এখনও জেগে
মা বলেন হতচ্ছাড়া শীত
কবে যাবে ভেগে !
আমার কিন্তু মজাই লাগে
মায়ের যদিও কষ্ট
শীতের সকালে সবার আগে
মাটির চুলো নষ্ট !
এটা করি সেটা করি
তবু জ্বলে না আগুন
ঘর গিয়েছে ধোঁয়ায় ভরি
চোখের অবস্থা করুণ !
অবশেষে জ্বলল চুলো
অনেক সময় নিয়ে...
মা বললেন ওদের তুলো-
খেতে পিঠা-খেজুর রস দিয়ে ।
একটি ছুটির দিন
মায়ের হাতে বাসন-কোসন
আমার হাতে বল
আমি খেলি সারাদিন
যদিও মা বিরক্ত হন !
মা বলেন ছুটিস না
বাছা অত জোরে
যদি তোর মাথা ঘোরে
পড়ে পাবি ব্যাথা
ওরে পাজি ছেলে
শুনলি না মোর কথা।
থামে না তবু ছোটাছুটি
খেলে যাই সারাদিন
সপ্তাহান্তে পাই
একটি ছুটির দিন।
মা আমার রান্নাঘরে
ব্যস্ত সারা বছর ধরে
কাজে কাজে তার যায় যায় দিন
কবে তিনি পাবেন আমার মতো
একটি ছুটির দিন ।
মায়ের বিকল্প
সোনামনি জাদুমনি
কান্না কোর না
মা-মনি এখনি আসবে
একটু চুপ কর না।
সোনামনি জাদুমনি...ও...ও
কান্না তবু থামে না
খালামনি খালামনি
আসলে রাখতে জানে না।
রাগ
মন-টা আমার ভীষণ খারাপ
যাচ্ছেতাই !
বন্ধু আমার যা চাইছে
পাচ্ছে তাই।
ওর আছে এটা সেটা
আরো কত কিছু
দেখলে ওসব দামি জিনিস
আমার মাথা নিচু।
মাথা আমার নিচুই থাকে
তবু মনে কাটে দাগ
ওসব জিনিস নেই বলে
হঠাৎ ই করি রাগ।
অভিযোগ
ছোটবোন করে আঁকিবুকি
মা করে না মানা
আমি বলি আম্মু তুমি
কখন হয়েছ কানা।
আমার খাতা আমার বই
সবই করেছে দাগ
আদরের বোন যদিও
হচ্ছে ভীষণ রাগ।
আঁকা আঁকি ছেঁড়াছেঁড়ি
চলছে প্রতিক্ষণ
কী আর বলি ?
মা হয়েছে বয়রা এখন ।
দুষ্টু ছেলের দল-১
আঁকাবাঁকা গ্রামের পথে
আমরা চলি হেঁটে
চালতা দুটো সঙ্গে এনেছি
বানিয়ে খাব চেটে।
কার গাছের চালতা
বুঝতেই তো পারো ভাই
জানলে তবে আসবে ছুটে
ঘুমকাতুরে মালিক আব্দুল হাই।
দুষ্টু ছেলের দল-২
“বরই ছিল বরই
বরই গেল কই” !
বকুল মিয়া চিৎকার করে
বরই গাছের নিচে।
হাঁক শুনে আমরাও দাঁড়িয়েছি
তার পিছে পিছে...
বকুল মিয়া মহাগরম
বরই এর শোকে
দিনদুপুরে বরই গেল
বলছে না কিছু লোকে।
বুকে নিয়ে দম
সরিয়ে সব শরম
আমিও করি বয়ান
বরই আসলে নিলো কে ?
হতচ্ছাড়া পোলাপান !
দুষ্টু ছেলের দল-৩
কলা কলা গাছে কলা ঝুলে
আমাদের মুখে লালা
কলা গাছে উঠবে কে ?
কারে যায় বলা !
চেষ্টা যে আগে করিনি
তাওতো নয়
পিছলা খেয়ে পড়ে যাবার
ভীষণ রকম ভয় !
ছোট ছোট কলাগাছ
কেমনে এত লম্বা !
আঙুর ফল টক, কলা যেন লঙ্কা
কলাগাছে উঠতে গেলেই
প্রাণ নিয়ে শঙ্কা !
দুষ্টু ছেলের দল-৪
ঘুমিয়ে আছে আমজনতা
দুপুর বেলার ঘুম
আমরা এখন গাছের নিচে
আম পাড়ার ধুম।
ভয় নিয়ে মনে
হাতে নিয়েছি ঢিল
ধরা খেলে জামিন নাই
খেতে হবে কিল।
লজ্জা তো আছেই
আরো আছে সাজা
তবু কী ভাবি এসব ?
আমরা যে দুষ্টামির রাজা !
দুষ্টু ছেলের দল-৫
সুজনকে ডাকি রবিন আর
রবিনকে ডাকি রাহবার
এই করেছি বুদ্ধি এবার
ঘর থেকে ওদের বের করার।
কারো আব্বু আম্মু বোঝে নাকো
কে ডাকে কাকে ?
তারা কী আর জানে হায়
কখন ওরা বেরিয়েছে ঘর থেকে !
সুপার হিরো
মনে মনে আমি ভাবি
তোমার মত হই
সুপার হিরো তোমার মত
শক্তিআমার কই !
কত অন্যায় ! খুন ! আর রাহাজানি
কেমনে এসব সই
তোমার অপেক্ষায় থেকে থেকে
রাত জেগে রই।
তুমি কী শুধু গল্পেই আছ?
হয়ে সুন্দর কাহিনী
তোমার গল্প বুঝি
শুধুই আমাদের ঘুমপাড়ানি ?
প্রশ্ন
ছোট ছোট বাচ্চাগুলি
যেন ফেরেশতা-অবতার
কেমনে ওরা বয়ে যায় ভার
মোটা চশমা আর ভারী ব্যাগটার !
এসব দেখে আমি শুধু
ভেবে যাই
ভেবে ভেবে হয়রান
হয়ে যাই !
যুগ আর সভ্যতায়
কোথা হতে কোথা
এলাম
বোধ আর বিবেকের কাছে আজ
তাই শত হাজার প্রশ্নের
ব্যারাম।
ছুটির দিন
এক দুই তিন
আজকে আমার ছুটির দিন
চার পাঁচ ছয়
আজকে কোন পড়াশোনা নয়।
সাত আট নয়
আজকে শুধুই খেলাধূলা
নেই তো কোন ভয় !
মামা-ভাগ্নে
মামা-ভাগ্নে
সাক্ষাৎ আগ্নে
খায়না-দায়না
সহজে ঘুমায় না
সারাদিন হই হই
আর গেমসের ভাবনা।
মামা-ভাগ্নের
নানান রকম বায়না
কারোর প্রাণে
আর তো সয়না।
পরীক্ষা
আজকের রাত অন্যরকম
স্বপ্নডানায় ভরা
পরীক্ষা হয়েছে শেষ
লাগছে না আর পড়া।
কাল পাবো নতুন বল
খেলবো গিয়ে মাঠে
আমার মত বন্দী যারা
তাদের নিয়ে সাথে।
পুরোটা বছর দুঃসহ
কতো যে যাতনার
পরীক্ষা ! পরীক্ষা !
কেন যে দিতে হয় এতবার !
পরীক্ষা কিছু কম হলে
কী আর এমন ক্ষতি
দুটোই তো যথেষ্ট
বছর প্রতি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।