কেন এমন হয়?
আমরা বারবার ভোট দেব আর বিজয়ীরা গদিতে বসেই ভুলে যায় যে, তারাও রক্তমাংসের মানুষ ছিল! তারাও একটা একটা ভোট ভিক্ষা চেয়ে এবং জনগণ দেবার পর আজ তারা দামী গাড়িতে চড়ছে, সংসদে আসছে আর নিজের জন্মঠিকুজি ভুলে যা খুশি তাই বাগাড়ম্বর করছে! কেন এমন হবে ৩৭ বছর ধরে? কেন শাসক কোনদিন জনগণের বৃহত্তর মতামতকে গুরুত্ব দেবে না? কেন ৩০০ জন সাংসদ দেশটার ১৫ কোটি জনগণকে নিয়ে গিনিপিগ গিনিপিগ খেলা খেলবে? কেন এ দেশের রাজনীতি ভাল হবে না? কেন সব সরকারই এসে পুরাতন সরকারের পিছে লাগবে? কেন এত নাম পাল্টাপাল্টি? কেন এত সচিবদের দলীয় ঢালাও প্রমোশন? কেন নিজ দলের বাইরের কর্মচারীদের জন্য অহেতুক বরখাস্ত, বদলির আতংক ছড়ানো? কেন মন্ত্রীদের এত শো-ডাউন? কেন আবার নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধি? কেন আবার দলীয় ক্যাডারদের অফিস আদালতে নির্লজ্জ গলাবাজি? কেন চোখের পলকে সরকারের দলীয় মামলা সব খারিজ কিংবা উধাও? কেন কয়টা দিন দেরি সয় না? কেন আইনকে আইনের পথে চলতে দেয়না কোন সরকারই??
খুব কষ্ট হয় আমার, খুব কষ্ট!
২০ দিন না যেতেই কেন আবার মানুষের মাঝে লাঞ্চিত হবার ভয় ঢুকে গেল? বিএনপি খারাপ সরকার লীড দিয়েছে বলেই না আওয়ামীলীগ এত ভোট পেল, যাতে সে ভাল সরকার উপহার দিতে পারে! গত ৫/৭ বছরে আওয়ামীলীগ তো কোন কাজ করেনি; বিএনপি সরকার খারাপ কাজ করেছে বলেই তো জনগণ আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনেছে! তাহলে এত দাম্ভিক আচরণ কেন সরকারের? বাজারের দিকে দৃষ্টি নেই, সিংহভাগ দরিদ্র মানুষের কথা ভাবা নেই; তুচ্ছ ডেপুটি স্পিকার পদ নিয়ে কি হাস্যকর শোডাউন দিল এ সরকার!! খুব লজ্জা লাগছে আমার! এ সরকার এবার যত ভোট পেয়েছে, তার অর্ধেক আওয়ামীলীগ বহির্ভূত সাধারণ িনরপেক্ষ মানুেষর ভোট। আমরা বিবেকবান নিরপেক্ষ অনেক মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ বিএনপির অন্যায়কে প্রতিবাদ করে এ সরকারকে ভোট দিয়েছি। সিংহভাগ ভোট পেয়ে এ সরকার এখন আর দলীয় সরকার নেই; এর হওয়া উচিত ছিল সবার সরকার। কিন্তু তা তো দেখতে পাচ্ছি না।
আইনকে নিজের পথে চলতে দিন।
কাউকে শত্রু না ভেবে, একসাথে পাশে নিয়ে কাজ করুন। বিরোধী দলকে কোনায় ঠেলার দরকার নেই, তারা তো এমনিতেই ভোট না পেয়ে ২৫/৩০ টা আসন নিয়ে চুপসে আছে; তাহলে তাদের আবার আক্রমন করা কেন? তাদের তো কোণ শক্তিই নেই প্রতিবাদের। তাদের সম্মান করা উচিত সংসদে; যাতে তারা লজ্জিত হয় গত সময়ের কথা মনে করে।
শেখ হাসিনা, আপনি আমাদের ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন; নট অনলি আওয়ামীলীগের। এবার ভুল করলে, বিএনপি নয়, আওয়ামীলীগের ভিতর থেেকেই প্রতিবাদ শুরু হবে।
বড় জয়, বড়তর প্রত্যাশা- এটা আপনাকেই মেটাতে হবে। সাবধান হন। জনগণ বারবার প্রতারনা মেনে নেবে না, ইতিহাসও তাই বলে। সমূলে নির্বংশ হবার এবং নির্বংশ করবার প্রবনতা বাংলাদেশীদের মাঝে বেশ তীব্রভাবেই আছে- ইতিহাস তো তাই বলে। সুতরাং, সাবধান সবাই।
লাগাম টেনে ধরতে হবে। এখনই জনগনের কাতারে নেমে এসে তাদের প্রাত্যাহিক সুখ-দুঃখ দেখে তা মেটানোর চেষ্টা করুন। প্রতিশোধ স্পৃহা সরকারের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। এ সরকার যেন ১ বছরের মধ্যেই পতনের মুখোমখি না হয়!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।