কেবলই নিজেকে খুঁজছি
১৯৪৭ সাল। ঢাকা শহর।
গুলিস্থানের ফুঁটপাতে বসে গত ত্রিশ বছর যাবৎ ভিক্ষা করছে কেদারনাথ। কেদারনাথ ছাড়াও ফজলু, জুলেখা, তাইজাল ওরফে তাজু সহ আরও অনেকেই আছে ফুঁটপাতের এপাশে ওপাশে। তবে তাদের চারজনের অবস্থান একটু কাছাকাছি এবং রাত্রিবাস একই জায়গায় হওয়ায় এঁদের মধ্যে একধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এরা সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকে। ভিক্ষুকদের আবার সুখ! কথাটা উপহাসের মত শোনালেও সত্যিই কিন্তু ভিক্ষুকদের জীবনেও কখনও কখনও ক্ষুদ্র সুখের আবির্ভাব ঘটে। আর দুঃখ তো আপন শরীরের কাপড়ের মতো লেগে থাকে। চারজনের মধ্যে কেদারনাথ সবচেয়ে বয়োজ্যোষ্ঠ্য। তার বয়স ষাটের ওপরে।
তাই কেদারনাথ এই দলটির অলিখিত নেতা। কেদারনাথের একটা পা হাঁটুর ওপর থেকে কাঁটা। ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাটে। শীর্ণ শরীরে জোরও তেমন নেই। তবু সবাই তাকে খুব মান্য করে।
তার কথাবার্তা, বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যক্তিত্বের কারণে। তাছাড়া কেদারনাথ ভিক্ষাবৃত্তির বাইরের জগতের জ্ঞানও একটু-আধটু রাখে। তাদের উল্টোপাশের ফুঁটপাতে পরিমলের খবরের কাগজের দোকানে গিয়ে একটু পত্রিকা পড়ে আসে প্রতিদিন সকালে। তারপর তার কাছ থেকে ফজলু, জুলেখা আর তাইজাল দেশের খবর শোনে। হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা, বৃটিশ সরকারের মনোভাব, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি, মোহান্মদ আলী জিন্নাহর আলাদা পাকিস্থান গড়ার প্রয়াস প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে তাদের কাছে ব্যাখ্যা করে এবং তার ব্যক্তিগত মতামত রাখে।
কেদারনাথ গত ত্রিশ বছর ধরে এখানে আছে। কিন্তু তার অতীত সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। তার বাড়ি কোথায় ছিল, পরিবার-পরিজন ছিল কিনা এসব কথা তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে সে চুপ করে থাকে। বাববার কেউ জিজ্ঞাসা করলে ক্র্যাচে ভর দিয়ে একদিকে হাঁটা দেয়। আবার পরে ফিরে আসে।
এজন্য এখন আর কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে না। চারজনের এই দলে কেদারনাথের পরের অবস্থান ফজলুর। ফজলুর দুই চোখ অন্ধ। বয়স পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন হবে। স্বাস্থ্য একসময়ে ভাল থাকলেও এখন খাদ্যাভাবে শুকিয়ে গেছে।
আছে শুধু লম্বা লম্বা হাত-পা। বয়স অনুসারে এর পরের অবস্থান জুলেখার হবার কথা থাকলেও সে মহিলা বলে হাবভাবে তাজু তাকে বুঝিয়ে দেয় এই দলে তোমার চেয়ে আমার গুরুত্ব অনেক বেশি। জুলেখার বয়সও পঞ্চাশের কাছাকাছি। সে এখানে আছে দশ-বারো বছর যাবৎ। তার শুধু একটা চোখ নষ্ট আর কোন সমস্যা নেই।
আর তাজুর দুটো পা-ই থাইয়ের নিচ থেকে কাঁটা। কমলাপুর ষ্টেশন থেকে ময়মনসিংহ গামী চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে কাঁটা পড়েছিল পা দুটি। তারপর ডাক্তাররা আরেকটু ছেটে ছোট করে দিয়েছে। তাজুও প্রায় আট-নয় বছর ধরে আছে এখানে। এখন তার বয়স প্রায় চল্লিশ।
কেদারনাথ কৃষ্ণভক্ত। প্রতিদিন ভোরে সে মালা জপ করে। তারপর একটা ছোট্ট পুটলিতে মালাটা বেঁধে বড় ঝোলাটার মধ্যে রেখে দেয়। মাঝে মাঝে তার পুটলিটা জুলেখা ছুঁয়ে দেয়। তাজু চিৎকার করে বলে, ও কেদারদা তোমার কৃষ্ণ'র ঝোলা ছুঁয়ে দিলো।
কেদারনাথ হাসে। বলে তাতে দোষের কি আছে। কৃষ্ণ তো আমার একার না, সবার।
কেদারনাথ মাঝে মাঝে বিজ্ঞের মতো বলে, সংস্কার আর সংক্রামকের মিল কোথায় জানিস?
তাজু ডানে-বায়ে মাথা নাড়ে।
কেদারনাথ বলে, সংক্রামক যায় কড়া ওষুধে অথবা রোগীর মৃত্যুতে আর সংস্কার যায় কড়া আঘাতে অথবা চিতায় গেলে।
এমন বড় বড় কথা শুনেই তাজু-জুলেখারা সন্দেহ করে কেদারনাথ নিশ্চয় কোন বড় গেরস্থ বাড়ির মানুষ।
কেদারনাথের মধ্যে কোন সংস্কার নেই। অন্য ধর্মের প্রতিও কোন বিদ্বেষ নেই। রোজার দিনে সেও টুপি মাথায় দিয়ে ভিক্ষা করে। তাতে ভিক্ষা বেশি পাওয়া যায়।
আবার পূঁজার আগেও সবাই হিন্দু ভাব ধরে বসে থাকে। এই সামান্য প্রতারণা ওরা করে পেটের জন্য। ভিক্ষাবৃত্তিটাই তো প্রতারণা। অন্যের সঙ্গে তো বটেই নিজের সঙ্গেও।
সকালে পত্রিকা পড়ে এসে কেদারনাথ খুঁটিতে হেলান দিয়ে কি যেন ভাবছে আনমনে।
কারো সাথে কোন কথা বলছে না। জুলেখা কাছে এসে বললো, ও ক্যাদারদা, তোমার কি হইছে ভাই?
কেদারনাথ কোন কথা বললো না। ফজলু আর তাজুও কাছে এসে বসলো। তারাও হতবাক। কেদারনাথ তো এইভাবে বসে থাকে না! সকালের খাবার খেয়ে যে যার জায়গায় গিয়ে বসে পড়ে।
কিন্তু আজ আবার কেদারনাথের কি হলো? তাজু আর ফজলুও জিজ্ঞেস করে তার মন খারাপের কারণ। অনেকণ পর কেদারনাথ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, এই ভারত ভাগ হয়ে হিন্দুস্থান আর পাকিস্থান দুটি দেশ হবে। আর বেশি দেরি নেই। এই খবর শুনে দাঙ্গা বেঁধে গেছে। বাংলা আর পাঞ্জাবে দাঙ্গা হচ্ছে বেশি।
ঢাকাতেও কোথাও কোথাও দাঙ্গা লেগে গেছে। হিন্দু বাবুরা সব পালিয়ে যাচ্ছেন কলকাতায়। আর ওদিক থেকে মুসলমানরা এসে ভরে যাচ্ছে এদিকটা।
তাজু বললো, তাতে আমাগো কি? দ্যাশ ভাগ হইলেই কি আর না হইলেই কি? আমরা রাস্তার মানুষ রাস্তায়-ই থাকুম। আমাগো অত ভাবনা দিয়া কাম কি?
কেদারনাথের কথা যে সত্যি কয়েক দিনের মধ্যেই তা ফজলু, জুলেখা আর তাজু বুঝলো জুড়ি গাড়ির সংখ্যা আর তাদের রোজগার কমে যাওয়ায়।
শ্যামবাজার, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজারের যে সব বাবুরা জুড়ি গাড়িতে চড়ে এইদিক দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন তাদের এখন আর দেখা যায় না। মানুষ কেমন অস্থির হয়ে উঠেছে। চাঁদ-তারা মার্কা পতাকা নিয়ে একদল মানুষ দুপুরে মিছিল করতে করতে নয়াবাজারের দিকে গেল। কিছু একটা যে হয়েছে তা বুঝতে পারে জুলেখা, ফজলু আর তাজু। এই দেশটা যে মুসলমানদের হয়ে যাচ্ছে তা অনুমান করতে পারে তারা।
তাই জুলেখা মাঝেমাঝেই কেদারনাথকে সান্ত্বনা দেয়, অ কেদারদা, তুমি এত ভাবতাছ ক্যান? তোমার কিছু অইবো না। তোমার তো আর বাড়ী-ঘর নাই।
কেদারনাথ চুপ করে থাকে। সে জানে তার কিছু হবে না। কিন্তু তবুও তার বুক ভেঙে যাচ্ছে।
চোখের সামনে দিয়ে একে একে পরিচিত মানুষগুলো চলে যাচ্ছে। তাদের সাথে আর দেখা হবে না কোনদিন। অনেক বাবু ছিল যাঁরা বাড়ি ফেরার পথে কেদারনাথকে পয়সা দিয়ে যেত। আজ কয়েকদিন যাবৎ তাঁদেরকে দেখা যাচ্ছে না। এখন আর কেউ তার খোঁজখবর তেমন নিচ্ছে না।
সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাটে মানুষজন কমে যায়। আজ আবার কেদারনাথের পিঠের ব্যথাটা বেড়েছে। মনটাও ভাল না। তাই সে সন্ধ্যার পরপরই শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় একটা জুড়ি গাড়ি এসে দাঁড়ালো কেদারনাথের সামনে।
সেদিকে তাকিয়েই সে চিনতে পারলো। পল্টনের কাশীনাথ শিকদার। স্থুল দেহ নিয়ে শিকদার মশাই জুড়ি গাড়ি থেকে নিচে নেমে এলেন। কেদারনাথের কাছে এসে বসে পড়লেন। তারপর তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।
কেদারনাথও কেঁদে ফেললো। শিকদার মশাই কান্না জড়ানো কন্ঠে বললেন, চলে যাচ্ছিরে কেদার। জনমের মতো চলে যাচ্ছি এই মাটি ছেড়ে। জানিনা কিভাবে বেঁচে থাকবো।
শিকদার মশাই কেদারনাথের হাতে একটি থলে দিয়ে বললেন, এটা রাখ তোর কাছে।
ধুতির কোনা দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ফজলুকে বললেন, ওকে দেখে রাখিস ফজলু।
জুলেখা, ফজলু, তাজু সবাইকে দুটি করে টাকা দিলেন শিকদার মশাই। তারপর নিজের দোকান দুটির দিকে তাকিয়ে আবার ডুকরে কেঁদে উঠলেন। জুড়ি গাড়ির ভিতর থেকে শিকদার বাবুর ছেলে ডাকলেন, বাবা তারাতারি এসো। বজরা ছেড়ে যাবে।
চোখ মুছতে মুছতে জুড়ি গাড়িতে গিয়ে উঠলেন শিকদার মশাই। ঘোড়া দুটি সামনের দিকে পা বাড়ালো। যতক্ষণ দেখা যায় সেদিকে তাকিয়ে রইলো কেদারনাথ। চোখের আড়ালে চলে গেলে চোখ ফিরিয়ে শিকদার মশাইয়ের দোকান দুটির দিকে তাকিয়ে থাকলো। এই দোকান দুটি ছিল শিকদার মশাইয়ের প্রাণ।
বেচাকেনাও ছিল প্রচুর। কেদারনাথ এখানে আসার পর থেকেই দেখে আসছে, শিকদার মশাই প্রতিদিন সকাল বিকাল দোকানে বসেন। তখন শিকদার মশাইয়ের বাবা বেঁচে ছিলেন আর ওঁ ছিলেন তরুণ। শিকদার মশাইয়ের বিয়েতে সে কি ধুমধাম হয়েছিল। কত মানুষকে খাইয়েছিল।
সে নিজেও গিয়েছিল নিমন্ত্রন খেতে। শিকদার মশাইয়ের বাবা তাকে খদ্দরের ধুতি আর একটা গেঞ্জি দিয়েছিল। তখন মানুষে মানুষে কত ভাব ভালবাসা ছিল। পুরনো সব স্মৃতি একে একে কেদারনাথের চোখের সামনে ভেসে উঠলো। আর আজ কোথায় চলে যাচ্ছে মানুষগুলো।
সাধের দোকান, বাড়ি-ঘর ফেলে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হলো কেদারনাথের। ঘুম থেকে উঠেই তার বুকে আরেকটা ধাক্কা লাগলো। উল্টোপাশের ফুঁটপাতে পরিমলের পত্রিকার দোকান এখনও খোলা হয়নি। চৌকিটা তাঁবু দিয়ে সেভাবেই ঢাকা পড়ে আছে যেভাবে কাল পরিমল রেখে গেছে।
উৎকন্ঠা বাড়তে লাগলো পরিমলের। তবে কি পরিমলও চলে গেল। বেলা বাড়লো কিন্তু পরিমলের আর দেখা নেই। কেদারনাথের মনে আর কোন সন্দেহ নেই,পরিমল চলে গেছে। নতুন কোন খবর জানা হলো না কেদারনাথের।
বিষন্নভাবে কাঁটলো তার সারাটা দিন।
পরদিন সকালে চাঁদ-তারা মার্কা পতাকা নিয়ে বড় একটা মিছিল বের হলো। পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলে মিছিল দিতে দিতে উল্লাসে মত্ত মানুষগুলো। কেদারনাথ একটু এগিয়ে মিছিলের একজনকে জিজ্ঞেস করলো ভাই কি হয়েছে?
অজ্ঞাত লোকটি বললো, পাকিস্থান স্বাধীন হয়েছে। এখন শুধু মুসলমানরাই থাকবে এখানে।
আর হিন্দুরা চলে যাবে হিন্দুস্থানে।
বলেই পাকিস্থান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে দৌড়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেল লোকটি। শেষ কথাটায় কেদারনাথের বুকটা মুচড়ে উঠলো।
দুদিন পরেই আফজাল, ছাদেক, মফিজুল, আনু সহ কয়েকজন ভিক্ষুক এলো কেদারনাথের কাছে। সবার মাথায় নতুন টুপি।
গায়ে আতরের গন্ধ। তাদের মধ্যে আফজাল আর ছাদেক সবচেয়ে বড়। আফজাল বললো, কেদার তুমি এখান থেইক্যা চইলা যাও।
কেদারনাথ তো হতবাক। ফজলু, জুলেখা, তাজুরও একই অবস্থা।
ফজলু বললো, কেদারদা কই যাইবো?
আফজাল বললো, ক্যান, হিন্দুস্থানে যাইবো।
কেদারনাথের চোখে জল চলে এলো। বাক রুদ্ধ হয়ে এলো। তবু অতি কষ্টে সে বললো, আমি ভিক্ষুক মানুষ। আমার আবার হিন্দুস্থান পাকিস্থান কি! রাস্তায় থাকি।
আমার কাছে হিন্দুস্থান পাকিস্থান সবই সমান।
ছাদেক বললো, তা হোক, তাও তুমি সেহানেই যাও। তোমারে এহানে থাকতে দিমু না।
জুলেখা বললো, ই, কইলেই হইলো। ক্যাদারদা তুমি যাবা না।
এহানেই থাকপা।
ছাদেক জুলেখাকে ধমক দিল, চুপ কর মাগি। তুই কি বুঝস?
জুলেখাও জ্বলে উঠলো, গালি দিবা না কইতাছি। ভাল অইবো না।
ছাদেক মুখ ভেংচি দিয়ে বললো, কি অইবো রে মাগি।
কি অইবো? তোর ভাতার লগে যে থাকতে কস?
জুলেখাও খুব নিন্মমানের অশ্লীল বাক্য নিপে করে এগিয়ে গেল ছাদেকের কাছে। দুজনের মধ্যে হাতহাতি শুরু হবার মুহূর্তে অন্যরা এসে বাঁধা দিল। উত্তেজনা একটু কমে এলে আফজাল বললো, দেহ কেদার, তোমারে ভালয় ভালয় কইতাছি তুমি চইলা যাও। নইলে....
কেদার ধুতির কোনা দিয়ে চোখ মুছতে লাগলো। ফজলু, জুলেখা, তাজু প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হলো না।
অপরপরে একটু কম বয়সী ভিুকরা পারলে কেদারনাথের গায়ে হাত তোলে। কেদারনাথ বুঝলো অনুরোধ করে কোন লাভ হবে না। কিছু শিতি মানুষই যখন বুঝলো না। দেশটা ভাগ হলো, দাঙ্গা হলো, রক্ত বন্যা বইলো। আর এরা তো অর জ্ঞানহীন ভিক্ষুক।
ফজলু, জুলেখা, তাজুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে ফুঁটপাত দিয়ে হাঁটতে লাগলো কেদারনাথ। প্রায় ত্রিশ বছর এই ফুঁটপাত তাকে থাকতে দিয়েছে। কোথায় যাবে সে? যেখানে যাবে সেখানেও তার ঠাঁই হবে রাস্তা। ত্রিশ বছর আগে মোটামুটি সচ্ছল পরিবারের কর্তা কেদারনাথ বুকভরা অভিমান নিয়ে সংসার ত্যাগ করে বরিশাল থেকে ঢাকার লঞ্চে উঠেছিল। আর কখনও ফিরে যায়নি।
এই ফুঁটপাতই ছিল তার বাড়ি। শিশুকাল থেকে জেনেছে এটাই তার দেশ। বইয়ে পড়েছে আমরা ভারতবর্ষে বাস করি। আর আজ শুনছে এটা তার দেশ নয়। তার দেশ হিন্দুস্থান।
কোথায় হিন্দুস্থান? কোথা থেকে শুরু হয়েছে হিন্দুস্থান? কেদারনাথ তা জানে না। শুধু জানে এদেশ তার নয়। এ মাটি তার নয়। এ মাটিতে আর তার ঠাঁই হবে না। তাকে যেতে হবে হিন্দুস্থানে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।