পর্যটনের যত উপকরণ তার সবই আছে সুনামগঞ্জে। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, হাওরের বিশালত্ব আর বাউলের বাউলিয়ানা ; কি নেই এখানে ? তারপরও কেন এখানে পর্যটন শিল্প পিছিয়ে আছে এবং এর বিকাশে প্রধান অন্তরায় কি তা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে।
সুনামগঞ্জের আছে মরমী কবি হাছন রাজা, রাধারমণ, দূর্বীণশাহ, জীবন্ত কিংবদন্তী শাহ আব্দুল করীমের ন্যায় বিশাল ব্যাক্তিত্বের মতো সম্পদ। যারা দেশের সংগীতাঙ্গনকে লীড করছেন যুগ যুগ ধরে। সমাহিত আছেন দেশ সেরা সাহিত্যিক দেওয়ান আজরফ, পীর মজির উদ্দিন, ফজলুল হক সেলবর্ষী, সৈয়দ সানুর এর মতো গুণীজন।
তাদের এক এক জনের আবাসভিটা এক একটা তীর্থস্থানে আজ পরিনত।
প্রকৃতিও সুনামগঞ্জকে দিয়েছে উদার হাত বাড়িয়ে। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ, বিশ্বের দ্বিতীয় রামসার সাইট খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর, আর টাঙ্গুয়ার হাওরের লাখো অতিথি পাখির আনাগোনা দেশের আর কোথায় আছে ?
প্রতি শীত মৌসুমে টাঙ্গুয়ার হাওরে সূদুর সাইবেরিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসে লাখ লাখ অতিথি পাখি। টাঙ্গুয়ার হাওরে আছে পৃথিবীর বিপন্ন প্রজাতির প্যালাসেস ফিস্ ঈগল। এছাড়া এখানেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে রামকুড়া,ম্যালার্ড, এশিয়ান কোয়েল, কমন টায়েল, কমন পোকার্ড সহ ২০৮ প্রজাতির পাখি।
১৪১ প্রজাতির মাছ, ২০৮ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১ প্রজাতির উভয়চর প্রাণী আছে ৭ হাজার একর বিস্তীত এই হাওরে। নয়ন জুড়ানো সারি সারি হিজল করচের বাগ আছে এইখানেই।
সুনামগঞ্জেই আছে জাদুকাটা নদীর জাদুময়ী স্বচ্ছ জলধারা ? যেখানে ল ল হিন্দু পূণ্যার্থীরা অবগাহন করে আত্বতৃপ্ত হন।
এমন সব আর্কষনীয় উপাদান সমৃদ্ধ জেলায় পর্যটক বা ভ্রমনকারী আসছেনা কেন ? কি সমস্যা কোথায় সমস্যা ?
একাধিকবার সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে পর্যটনের প্রধান অন্তরায়। গ্রাম্য পলিটিশিয়ানদের গ্রাম্য পলিটিক্সের শিকার হয়েছে ইকো ট্যুরিজম থেকে শুরু করে সবকিছু।
পর্যটনের এই বিশাল সম্ভাবনা আর কতদিন পিছিয়ে থাকবে সেই প্রশ্ন কি শুধুই প্রশ্ন থাকবে নাকি বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন পাব সেই প্রত্যাশা আজ নতুন দিনের রাজনৈতিকদের উপর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।