আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ



স্বাধীনতার ২১ বছর পর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যাবহার শুরু হলেও সর্বসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত ছিলনা। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মূলত ১৯৯৬ সালের জুন মাসে। ভি স্যাটের মাধ্যমে যুক্ত প্রতি এম বি পি এস ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল তখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাত্র । আজকের দিনে ১ মেগাবাইটের নিচের গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়না। যেখানে ৫ মেগাবাইটকে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা করার দাবি উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশের টেলি আইনে বি টি আর সির প্রঞ্জাপন অনুযায়ী প্রতি সেকেন্ডে ২৫৬ কিলোবাইটের বেশি ১ মেগাবাইটের নিচের গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়।

সরকারী তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের হিসেব (২০১৩) অনুযায়ী বিগত ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিন বছরে মোট ৩০ লাখ টেরা বাইট কনট্যান্ট অব্যাবহিত ছিল !!!! বর্তমানের ২০১৩ সালের মূল্য অনুযায়ী ১ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের মূল্য এখন ৪ হাজার ৮ শত টাকা মাত্র। সরকারী হিসেব অনুযায়ী এ ক্ষতির আর্থিক পরিমান প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইন্টারনেটের উপর বছরের পর বছর ১৫% ভ্যাট রাখারও কোণ যুক্তি দেখি না। দফায় দফায় ব্যান্ডউইথের মূল্য কমলেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের ইচ্ছে মত প্যাকেজ তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যান্ডউইথ সংরক্ষণ করার কোণ বস্তু না, এটা টাকা নয় যে ব্যাঙ্কে জমিয়ে রাখবেন অথবা আলু, পটল, পেঁয়াজ ও নয় যে ফ্রিজে বা কোথাও সংরক্ষণ করবেন, এর অব্যবহার মানে হচ্ছে এর অপচয় করা।

বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সিমিউই৪ – এর কক্সবাজার সংযোগে ১৬৪ জি বি পি এসের মধ্যে থেকে সারা দেশে মাত্র ২২ জি বি পি এস ব্যাবহার হচ্ছে, বাকি ১৪৪ জি বি পি এস মূর্খের মত জমিয়ে রাখা হচ্ছে। সরকার যদি সম্পূর্ণ ১৬৪ জি বি পি এস ব্যান্ডউইথ ব্যাবহারকারীদের জন্য ছেড়ে দেয় তাহলে দেশের ইন্টারনেটের স্পীড প্রায় ৬ থেকে ৭ গুন বেড়ে যাবে। আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, সিটি সেল বা টেলি টক যেই লাইনই ব্যবহার করি না কেন যে কোণ প্যাকেজ নিয়ে আপনি ব্যবহার না করলে মাস শেষে যেমন ব্যান্ডউইথ জমা থাকে না ঠিক তেমনই ব্যান্ডউইথ ও জমা থাকে না। । এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যাবহারকারিরা সর্বনিম্ন গতিতে কাজ করার মধ্যে অন্যতম।

ব্যান্ডউইথের দামের দিক দিয়ে যেমন বাংলাদেশ শীর্ষে ঠিক গতির দিক থেকেও সবার নীচে। প্রচুর পরিমান ব্যান্ডউইথ অব্যাবহিত থাকার পরও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাবহারে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করার মত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.