এবারের আসরে দুই ম্যাচে তিনি শুধু ১০ গোলই করেননি, পাঁচটি সাফ টুর্নামেন্ট খেলে সব মিলিয়ে করেছেন রেকর্ড ১৮ গোল। এর আগে ভারতের এমআই বিজয়ন ১২টি ও বাইচুং ভুটিয়া ১১টি গোল করেছিলেন সাফে।
মালদ্বীপের কোচ ইন্তেভান উরবানি তাই আশফাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, “আশফাক আমার দেখা দক্ষিণ এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকার। সে নিজে শুধু খেলেই না, অন্যকেও খেলতে সহায়তা করে।
একটা দলকে উজ্জীবিত করতে তার মতো খেলোয়াড় খুবই প্রয়োজন। ”
হাঙ্গেরি থেকে আসা এই কোচ মনে করেন আশফাকের ইউরোপীয় লিগে খেলার যোগ্যতা আছে।
“তার মতো খেরোয়াড় দক্ষিণ এশিয়ায় খুবই কম পাওয়া যাবে। তাকে পেয়ে আমার দলের শক্তিমত্ত্বা অনেকখানি বেড়েছে। ”
তবে ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে না ভেবে দলের জয়টাকেই এগিয়ে রাখছেন আশফাক।
“ম্যাচে আমার ভাবনা থাকে দলের জয়টাকে কতো বড় করা যায়, দলকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়। দলকে সফলতা এনে দিতে পারলে, স্বাভাবিক কারণে নিজেও সফলতা পাবো। ”
“এর আগে একটি ক্লাব দলের বিপক্ষে এক ম্যাচে ১২ গোল করার রেকর্ড আছে আমার। তবে এই দুটি ম্যাচ এতোটা সহজ হবে ভাবিনি। ভেবেছিলাম হয়তো ৪-৫ গোলে জিতবো”, যোগ করেন তিনি।
নিজের তিনটি হ্যাটট্রিক সম্পর্কে আশফাকের মন্তব্য, “এই ১০ গোলে আমার সেরা কোনো গোল নেই। সেরা গোল করেছি এএফসি কাপে ইন্দোনেশিয়ার এক ক্লাব দলের বিপক্ষে তিন ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে। প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী ছিল, তাদের বিপক্ষে এ রকম গোল আমার ক্যারিয়ারের অনন্য স্মৃতি। ”
সাফ সম্পর্কে আশফাকের মন্তব্য, “এবারের সাফ শিরোপা জিততে পারাটা হবে আমার ক্যারিয়ারের বড় একটি অর্জন। হয়তো আর ২/৩ বছর খেলবো, এর বেশি নয়।
ফুটবলের সঙ্গে আর থাকার ইচ্ছা নেই। ”
আশফাক এখন খেলছেন মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্ট ক্লাবের হয়ে। ক্লাব থেকে বছরে ১ লাখ ডলার বেতন পান তিনি। বাইরের কোন ক্লাব থেকে যদি প্রস্তাব পান তা বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।