প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি পার্বত্য জেলা বান্দরবান। নীলগিরি পর্যটকদের কাছে স্বপ্নীল একটি নাম। হাজারো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে নীলগিরি পর্যটন স্পট। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন কার না জাগে, মেঘে গাঁ ভাসানোর ইচ্ছে কার না করে। সব স্বপ্ন এবং ইচ্ছে কখনো পূরণ হওয়ার নয় কথাাটি সত্যি।
তবে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও মেঘ ছূঁয়ে দেখার ইচ্ছে এবং মেঘে গাঁ ভাসানো সম্ভব নীলগিরিতে। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৩২০০ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নীলগিড়ি পর্যটন স্পটে এখন মেঘের হাতছানী। এখানে হাত বাড়ালেই মেঘ ছোয়া যায়। অনেকটা মেঘের দেশে ভেসে বেড়ানোর মত। বান্দরবানে অসংখ্য পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে অন্যতম এটি।
পাহাড়ী আকাবাঁকা সড়কের ৫২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় নীলগিরি পৌছাতে। বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় থেকে থানচি উপজেলা সড়কে আরও ২৬ কিলোমিটার। পর্যটন স্পট নীলগিরিতে মেঘ আর রোদের মধ্যে চলে লুকোচুরি খেলা। কখন এসে মেঘ আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে বুঝার অবকাশ নেই। ঘন মেঘের চাঁদরে হারিয়ে যেথে নীলগিরি হচ্ছে উপযুক্ত স্থান।
নীলগিরি পর্যটন স্পটে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থাও আছে। সেনা নিয়ন্ত্রীত নীলগিরিতে গড়ে তোলা কটেজ গুলোও দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। আকাশনীলা, মেঘদূত এবং নীলাতানা নামে সাঁজানো কটেজ গুলোর ভাড়াও তেমন বেশি নয়। শুধু থাকা নয়, খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে নীলগিরিতে। মনে হয় থাইল্যান্ডের কোন শহরে অবস্থান করছি।
চারদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ যেন অন্য রকম অনুভূতি। মেঘ ছুয়ে দেখতে চান। তবে এখনি ছুটে আসুন বান্দরবানে এবং স্বপ্নীল নীলগিরি পর্যটন স্পট দেখে যেথে ভুলবেন না।
নীলগিরি পর্যটনে যেতে বান্দরবানে ভাড়ায় পাওয়া যায় অসংখ্য গাড়ি। মাত্র দেড় থেকে দু’হাজার টাকায় অনায়াসে স্ব-পরিবারে ঘুরে আসা যায় নীলগিরি পর্যটন স্পট। নীলগিরি যাওয়ার পথেই দেখার সুযোগ মিলবে বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় এবং শৈল প্রপাতে স্বচ্ছ পানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।