আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগান্তরের সন্ত্রাস



আগেই বলেছি বাকশালের কথা আর বলবোনা। একজনকে বাকশাল বলায় আমাকে একবার ব্যান হতে হয়েছিল। দীর্ঘ দিন সামহোয়ারের কারাগারে থেকে অবশেষে মডারেটরদের দয়ায় মুক্তি পেয়েছিলাম। বুঝেছিলাম বাকশাল কি ভয়াবহ জিনিস। সুতরাং এবার আর বাকশাল বিষয়ে কোন কথা বলতে লাগিনি।

তবে দৈনিক যুগান্তরের এ আচরণটাকে কি বলা যায় তা-ই ভাবছি। 'গোয়েবলসীয় আচরণ' বলা যেতে পারে মনে হয়। আজকের যুগান্তরের খবর হচ্ছে ঢাকার মিরপুরের দুটি মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের উপর শিবিরের হামলা। যেন তেন হামলা নয়- রড, রামদা, কিরিচ, লাঠি শোটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা। শুধু তাই নয় একজনকে রুমে আটকে জবাই করার চেষ্টাও করা হয়েছে।

ভাগ্যিস পুলিশ এসে পড়েছিল, সাথে সাথে শিবির ক্যাডাররা পালিয়ে গেল। ভালই হলো, একজনকে জবাই হতে হয়নি। তবে আমার কেন যেন মনে হয় যুগান্তরে খবরটি পড়ে খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিও বিশ্বাস করবেনা। সারাদেশে যেখানে ছাত্রলীগের দুরন্ত দুর্বার হামলা চলছে সেখানে মিরপুরের গণেশ উল্টে গিয়ে হঠাৎ জামায়াতে ইসলামী কবে ক্ষমতায় এলো আর ছাত্রশিবির বাহির থেকে হামলা করে লোকজন জবাই করা শুরু করলো- এ হিসাব খোদ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপনেরও বিশ্বাস হবেনা, আমি মোটামেটি নিশ্চিত। এতসব প্রস্তুতি নিয়ে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করবে আর পুলিশ আসার পর লেজ গুটিয়ে পালাবে- কেন ছাত্রশিবিরের মাথায় এতটুকু ঘিলু কি ছিলনা যে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ এবং কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসবে।

প্রকৃতই হাস্যকর আর উদ্ভট- যুগান্তরের এ সংবাদটি। তবে আমরা অবাক হইনা, কেননা এই যুগান্তরই কয়েকদিন পূর্বে লিড নিউজ করেছে- জামায়াতের ৩টি আসনের জামানত বাজেয়াপ্ত। অথচ প্রকৃত তথ্য হচ্ছে জামায়াতের কোন সিটের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। মিরপুরের হোমিও প্যাথি ও ইউনানি ম্যাডিকেলে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল? ঘটনাটি জানতে যুগান্তরের আলোচ্য নিউজটির শেষের দিকে যেতে হবে। চোর পালিয়ে যাবার সময় কিছু ক্লু রেখে যায়।

সংবাদটির শেষে বলা হয়েছে- কলেজের অধ্যক্ষ জানান, শিবিরের ছেলেরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর (ছাত্রলীগের অত্যাচারের আশংকায়) হল ছাড়ে। গতকাল অধ্যক্ষের কাছে তারা কলেজে প্রবেশের জন্য টেলিফোনে অনুমতি ও আশ্বাস চায়। অধ্যক্ষের আহ্বানে তারা কলেজে আসে। তারপর. .? - - - - - তারপর কারা হামলা করলো আর কারা হামলার শিকার হলো তা বাংলাদেশের পাঠকদের আর বুঝিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই। শুধু আফসোস করি যুগান্তরের জন্য।

দালালী করতে গিয়ে যারা মাত্রা হারিয়ে ফেলে। আফসোস বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর জন্য। বিশ্বব্যাপি ইসলামী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে মিডিয়া সন্ত্রাসের কবে সমাপ্তি ঘটবে তা আমরা জানিনা। তবে আশা করতে দোষ কি। "আশা তার একমাত্র ভেলা।

"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.