যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
দৈনিক যুগান্তরের খবরঃ "গার্মেন্টেসে মজুরী প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে"।
যুগান্তর ০৯.০৭.২০১০
তার মানে বর্তমান ন্যুনতম মজুরী ১৭০০ টাকার দ্বিগুণ, তথা ৩৪০০। বর্তমান বাজারে বাসা ভাড়া দিয়ে এই টাকাও কি যথেষ্ট? গার্মেন্টস শ্রমিকেরা দাবী করেছেন ন্যুনতম মজুরী ৫০০০ টাকা। তাদের দাবী খুবই যুক্তি সঙ্গত
তবে যাই বাড়ানো হোক, বাজার / দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মজুরী বৃদ্ধিতে কোন উপকারই হবে না।
কারণ মজুরী বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের দেশে ঘর ভাড়া সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে থাকে।
নীচের লিংকটি দেখুন।
Click This Link
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ গোলাম নবী ফেস বুকে মন্তব্য করেছেন, "বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, তাতে ৫০০০ টাকাও কম বলেই মনে করি। ৬০ টাকা কেজি করল্লা। পেপে ২৪ টাকা।
১০ দিন আগেও পেপে ছিলো ১৮ টাকা। আর করল্লা ৩৫ টাকা। সব তরকারির দামই এই সপ্তাহে বেড়েছে। আলুর দামও ৪ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম তো আকাশছোয়া।
মাছ ধরলে আগুনে হাত পোড়ে। মাংসের কেজি ২৫০ টাকা। একটা ডিমের দামও ৬ টাকা। সব, সব কিছুরই দাম বেশি বেশি। আমি মনে করি স্থিতিশীল বাজার, ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম রাখা সম্ভব হলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের যে বেতনই দেয়া হোক না কেন তারা আপত্তি করবে না।
আসলে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলো স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর এখনো তিন বেলা খেতে চায়, বাবা-মাকে বছরে লুঙ্গি আর শাড়ি কিনে দিতে চায়, সন্তানকে স্কুলে পড়তে পাঠাতে চায়, আর যা চায় তাও সামান্যই চাওয়া যেমন: সন্তানকে একটা খেলনা গাড়ি, একটা বেলুন আর বাশি কিনে দিতে চায়। নিজেদের সামান্য চাওয়াগুলো পূরণ হলেই তারা খুশি। কিন্তু সেটি পূরণ তারা বর্তমান বেতনে যেমন করতে পারছে না। ৫০০০ টাকায়ও পারবে না। নীতি নির্ধারকদের একটি বুদ্ধি বের করতে হবে কিভাবে তাদের এই সামান্য চাওয়াগুলো পূরণ করা যায়।
কাফি ভাই, আপনাকে একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি। এজন্যই কি আপনারা যুদ্ধ করেছিলেন? দেশ থেকে ২২ পরিবারকে হটিয়েছিলেন? আজ এতোবছর পরেও ঢাকার রাস্তায় যখন দেখি ট্রাক থেকে কমদামে চাল কেনার জন্য দরিদ্র মানুষের দীর্ঘ লাইন আর পাশ দিয়ে কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি ছুটে চলে তখন নিজেকে অসহায় লাগে। আমি আপনার পরের প্রজন্ম যুদ্ধ করতে পারিনি। আপনি পেরেছেন, আপনার কেমন লাগে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে?"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।