ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি
নতুন চাকরি। বেতন আর কতইবা পাই। ডেইলি যাইতে সত্তর টাকা সি এন জি ভাড়া দেই। ভাবলাম আইজ সকালে অফিসের বাস ধরমু, এই নিয়তে সাড়ে সাতটার দিকে বাসারতে বাইর অইছি। শীতের সকাল রাস্তা ঘাট একরকম খালি।
রিকশা কইরা সবে পল্টন বিএনপি অফিস পার অইছি। কোলে ছিল ব্যাগটা। আমি মনে মনে খুজতাছিলাম অফিসের বাস। আচানক একটা কালো ট্যাক্সি ক্যাব ঝড়ের গতিতে আইসা, জানালা দিয়া হাত বাড়াইয়া আমার ব্যাগটা চিলের মত ছো মাইরা নিয়া গেল। আমি চিৎকার করছি কিন্তু কে করব সাহায্য।
অসহায়ের মত চাইয়া চাইয়া দেকলাম গাড়ীটা উল্কার গতিতে চইলা গেল। কিছুই করার নাই, আমরাতো ওগো হাতে বন্দী। খালি একটা ছাই রঙা জ্যাকেটওলা হাত দেখছি। আর সামনে ড্রাইভারের পাশে একজন বইসা রইছে বুঝতে পারছি।
তিন হাজার টেকা দামের বিদেশী ব্যাগটায় তের হাজার টাকার মোবাইল আছিল।
ইউনিভার্সিটির দোস্তগো নাম্বার, পুরানা চাকরির কলিগগো নাম্বার আরো কত দরকারি নাম্বার আছিল। পাচ হাজার টেকা দামের দুইটা পেন ড্রাইভ আছিল। যাতে অন্যান্য ডকুমেন্টস এর লগে আমার কিছু ভাল ছবিও আছিল। আল্লাহই জানে এগুলার কি অইবো। ক্যাশ এক হাজার টেকা।
মোট বাইশ হাজার টেকার মাল গায়েব । এবং ফাউ হিসাবে দুপুরের টিফিন পোলাউ, মুরগীর মাংস,চকলেট মিল্ক ইত্যাদি আছিল। পুরা ফতুর বানাইয়া দিছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।