আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মফস্বল সাংবাদিকের যাতনা-বিলাস (১)



১৩ জানুয়ারী ২০০৯ বেশ কিছুদিন যাবত ভাল লাগছে না কিছুই। না পাখি না ফুল, না ভোর না পাশ কেটে যাওয়া মৃয়মান কোনও সুন্দর মুখ। নিজেকে খুব অস্থির ও অসুস্থ দেখতে পাচ্ছি। কেন? কিভাবে আমি পৌছ এলাম এই অসুস্থ/কোন কিছু ভাল না লাগা মানুষে? জানি না জানবেনা কেউ। ইচ্ছে ছিল কাক ঢাকা ভোরে ঘুম থেকে জাগবো।

জানলা খুলবো আর দিনের শুরুটা শুরু হবে শিশির ভেজা কোনও গাছের পাতা দেখে। দেখা হয়নি। দেখতে পাইনি। দেখতে পারিনি। মোদ্দা কথা ঘুম থেকে ইচ্ছে সময়ে জাগতে পারিনি।

ভাঙলো ঘুম বেলা এগারোটায়। মোবাইলের চিৎকারে। না কোনও ফোন কল নয়। রিমাইন্ডার অপশন এর সাংকেতিক কিছু গুরুত্ববহ বর্ণ নিয়ে বালের মোবাইলটা এতো জোরে চেঁচামেচি শুরু করলো নিজের সেলফোনের দিকে তাকিয়ে নিজেই অবাক হলাম। যাই হোক প্রসঙ্গ এটি নয়।

প্রসঙ্গ আসলে কিছুই নয়। বেহুদা বক বক কিংবা সাড়ে এগারোটায় রিক্সা চড়ে পৌরবিপনীর ৩৩ নং দোকানের কোনায় বসে থাকা আর সারাদিন কি জানি কোন পাখির লাগি প্রাণ করে হায় হায়। এইভাবে দিন যাবার কথা ছিল কিংবা ছিল না। আসলে পথের কাছে কারও কোনও দায় ছিল না। কাঠফাটা দুপুর: একটা ফোন করতে ইচ্ছে হলো।

কিন্তু কাকে। কার কাছে ছুঁড়ে দেবো আমার গোপন সব চিৎকার। মনে বাজলো পলাশ দত্তকে ‘আমার নৈঃশব্দের শব্দগুলি একটি বারও তোমার মুখে কথা হয়ে ফুটলোনা। ’ না ফুটলো না। তাই মোবাইলে হাতের তলানী ঘেঁষতে ঘেষতে বাসায় যাই।

খাই আর বেহুদা ঘুমোবার চেষ্টায় বিকেল কাটাই। সন্ধ্যা পূর্ব মুহুর্তে আবার দোকানের কোনা। আবার কম্পিউটার। আবার ইন্টারনেট। ইউটিউব।

ফেসবুক। সামহোয়ারইনব্লগ। সেজুল হোসেনএডজিমেইলডটকম আর সুনামগঞ্জের আনাচে কানাচে কোথাও কি ঘটলো কিছু? খোঁজ লাগাও। আর চটজলদি ১৫ লাইন লিখে পাঠাও। কোথায়? জাহান্নামে।

যেখানে গেলে মানুষ তার হারিয়ে ফেলা আত্মাকে খুঁজে পায় আর ‘হামি সাম্বাদিক’র বুক ফুলা অহং নিয়ে চোখের জল লিঙ্গ দিয়ে গড়ায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.