বিনাশ্রমের পরিবর্তে সশ্রম কারাদণ্ড চেয়েও পাননি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার দায়ে মঙ্গলবার তাকে দুই বছর বিনাশ্রম কারদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফ হোসেন।
এ রায় শুনে তৈমুর আলম খন্দকার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে ওই কারাদণ্ড সশ্রম করার আবেদন জানান।
বিচারককে তিনি বলেন, "ইয়োর অনার, আমি বিনাশ্রম সাজা খাটতে চাই না, সশ্রম সাজা চাই। বিনাশ্রমকে দয়া করে সশ্রম বানিয়ে দিন।
"
এরপর বিচারক প্রশ্ন করেন, "দণ্ডিতরা সশ্রমের বদলে বিনাশ্রম চায়, আর আপনি চাইছেন সশ্রম, কেন?"
উত্তরে তৈমুর বলেন, "কারাগারে আমি লাইব্রেরি ওয়ার্ক করি। বিনাশ্রম কারাদণ্ড হলে লাইব্রেরিতে কাজ করার সুযোগ থাকবে না। সে কারণে কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে সশ্রম করে দিন। "
এক পর্যায়ে বিচারক তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে আইনের বই আনিয়ে তাকে দেখিয়ে বলেন, দুই বছর মেয়াদের কারাদণ্ড সশ্রম হয় না।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তৈমুর আলম খন্দকারের উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
তৈমুরের এ কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে তার হাজতবাসের সময় বাদ যাবে। তৈমুর আদালতে জানান, তিনি ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছেন। অবশ্য, মামলার নথিতে সে বছরেরই ২৫ আগস্ট এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দুদক তৈমুরের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের জিলানী ২০০৮ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
রায়ে বলা হয়, বেধে দেওয়া সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় তৈমুরকে দুই বছর বিনাশ্রম কারদণ্ড প্রদান করা হলো।
মঙ্গলবার রায় দেওয়ার সময় তৈমুরের পক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে ৭ জন এবং আসামি নিজে আসামি পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাক্ষ্য দেন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।