-
চমকিত বিজলী
প্রথম আমাদের দেখা হয়েছিল
জমকালো এক শপিং মলের
অলস দুপুর পেরিয়ে রোমাঞ্চকর সেই বিকেলে।
তুমি কালো শাড়ি পড়েছিলে,
আর আমি পড়েছিলেম
সাদা জমিনে কমলা সুতোয় কাজ করা পাঞ্জাবী।
অথচ জানিনা আমরা দুজনের কেউই
‘কালো’ আমার আর ‘কমলা’ তোমার প্রিয় রঙ।
বড়রা তখনও সৌজন্যমূলক আলাপচারিতায় মত্ত।
আজকের এই দেখা হওয়াটাকে তারা সবাই মিলে-
নেহায়েৎ - কাকতালীয় (!)
একটা লেবেল লাগানোর মিছে প্রয়াসে মশগুল।
দোকানের এটা ওটা হাতে নিয়ে
আমি অহেতুক নাড়াচাড়া করছি।
এক ফাঁকে আড়চোখে তোমাকে দেখতে যেয়েই
চোখাচোখি হয়ে গেল দু’জোড়া শিকারী চোখের।
অজানা এক শিহরনে কেঁপে ঊঠলো এই ভীরু হৃদয়।
ইশ্শ...চকিতে দুজনেই চোখ নামিয়ে ফেললাম।
এর পর আমি লজ্জার আপাদমস্তক ডুবিয়ে
বারংবার তোমার পানে চেয়ে বিকাল গড়ালো; তথাপি
মায়া মায়া ঐ দুটি চোখ আর দেখা হলো না আমার।
আহা! তুমি সেদিন আর মুখ তুললেই না !
লজ্জায় লালচে তোমার অবনত চাহনি খুব সযতনে
নজরবন্দী করে, রঙীন প্রজাপতির ফুরফুরে মেজাজে -
গোধূলীর লালিমা আকাশে লাগিয়ে ফিরে এলাম বাড়িতে।
খাওয়ার টেবিলে বাবা আমায় শুনিয়ে মা’কে
‘তোমায়’ তার মহাপছন্দের রায় শোনালেন।
আকাশচুম্বী আনন্দের জোয়ারে লাগাম টেনে
আমি তখন হাসলাম একটু খানি -
আর সাথে সাথেই চোখ নামিয়ে নিলাম।
পরে শুনেছি তোমার কাছে ;
মা নাকি একদিন বলেছিলেন- ‘জানিস নীলিমা,
আকাশের দু’চোখে সেদিন দারুন বিজলী চমকাচ্ছিল ‘!
ছবিসূত্রঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।