নেইমারকে কেনার পেছনে দারুণ জমে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার অন্যরকম লড়াই। তাতে বার্সারই জয় হয়েছে। যদিও স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘এএস’-এর দাবি, নেইমারকে ‘সই’ করিয়েছিল রিয়াল। শুধু তা-ই নয়, রিয়ালে খেলেও গেছেন নেইমার। নিজেদের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে একটা ছবিও হাজির করেছে এএস।
কি, সব জটপাকানো লাগছে তো? তাহলে খোলাসা করা যাক।
নেইমার আসলেই রিয়ালে এসেছিলেন। সেটা অবশ্য অনেক আগে। ২০০৬ সালের ঘটনা। তখনো নেইমার আজকের ‘নেইমার’ হয়ে ওঠেননি।
বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। সেই সময় রিয়াল তাদের যুবদলে ট্রায়ালের জন্য সান্তোস থেকে নিয়ে এসেছিল নেইমারকে। ব্রাজিলের উদীয়মান এই তারকা তখন খেলেছিলেন দানি কারভাজাল, পাবলো সারাবিয়া ও অ্যালেক্স ফার্নান্দেজদের সঙ্গে। ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে নজরও কেড়েছিলেন রিয়ালের কর্মকর্তাদের। নেইমারের সঙ্গে সে সময় একটা চুক্তিও করেছিল ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় এই ক্লাবটি।
কিন্তু নেইমারের প্রতিনিধি ওয়াগনার রিবেইরোকে ৬০ হাজার ইউরো না দেওয়ায় সেটা আর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি রিয়াল মাদ্রিদ।
হয়তো মাত্র ১৪ বছর বয়সী একজনকে দলে ভেড়ানোর জন্য অর্থটা খরচ করার ঝুঁকি নিতে চাননি রিয়ালের তত্কালীন টেকনিক্যাল সেক্রেটারি র্যামন মার্টিনেজ ও ডিরেক্টর জেনারেল কার্লোস মার্টিনেজ। তখন তো আর তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি যে, এই ছোট্ট কিশোরটিই কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে উঠবে ফুটবল বিশ্বের নতুন সেনসেশন, যাঁকে দলে ভেড়ানোর জন্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা খরচ করবে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো।
এখন রিয়ালের শিরোপা জয়ের অন্যতম প্রধান হুমকিও হয়ে উঠছেন বার্সেলোনার নেইমার। একসময় যাকে মাত্র ৬০ হাজার ইউরোর বিনিময়েই দলে ভেড়াতে পারত রিয়াল মাদ্রিদ।
এত দিনে তাহলে হয়তো সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতেই দেখা যেত ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।