বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইনগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কনফিউশনও রয়েছে অনেকের মধ্যে। চেষ্টা করবো মাঝেমধ্যে এসব বিষয়গুলোর আইনগত ব্যাখা করে পোস্ট দিতে। উল্লেখ্য সবার বোঝার সুবিধার্থে আইনগত বিষয়ের ডিটেইলস ব্যাখা না করে সহজভাবে ব্যাখা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রশ্ন :
যুদ্ধাপরাধের বিচার কি শুধূমাত্র ট্রাইবুনালের মাধ্যমেই করা যাবে, নাকি দেশের প্রচলিত সাধারণ আইনেও এটা করা সম্ভব ?
অথবা,
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের কোন প্রক্রিয়াতে বিচার করা সম্ভব ? ব্যাক্তিগত মামলা করে নাকি রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা করে ? সংশ্লিষ্ট মহল / ব্যক্তি এ দুই প্রক্রিয়ার কোনটিতে আইনগত কি কি সুবিধা আর অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে
আইনগত ব্যাখা :
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও দেশের প্রচলিত সাধারণ আইনে করা সম্ভব।
যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্রে ক্রিমিনাল ল এর ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন প্রযোজ্য।
তবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে বিচার না চাওয়াটাই ভালো। কারণ প্রচলিত সাধারণ আইনে এভিডেন্স এর নিয়মকানুন একটু অন্যরকম। ১৯৭১ এর এতোবছর পর সব প্রমাণ করা কঠিন হবে প্রচলিত এভিডেন্স ল অনুযায়ী। এ পরিস্থিতিতে কোন কোন যুদ্ধাপরাধী ছাড়া পেয়ে যেতে পারে।
তাছাড়া প্রচলিত সাধারণ আইনে মামলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গেলে আইনের দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যাবে।
অপরদিকে "দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট ১৯৭৩" এর সেকশন ১৯ অনুযায়ী গঠিত ট্রাইব্যুনালে নিউজপেপার কাটিং, ফটোগ্রাফ প্রমাণ হিসাবে হাজির করা যাবে। তখন যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ করা খুব সহজ হবে।
সুতরাং বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হলে প্রচলিত সাধারণ আইনে বিচার না করে "দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট ১৯৭৩" অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে করা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।