জরুরী পোষ্ট....
বলেন তো মানুষ নিন্দা করে কেনো? নিন্দা করে মজাটা কি?
তবে মজা নিন্দুক যাই পাক; তাই বলে কি মানুষ নিন্দাকে ভয় পাবে?
অবশ্যই না। কারণ, পৃথিবীতে যদি নিন্দা বলে কিছু না থাকতো তবে ভালো কাজের স্বীকৃতি আসতো কি করে! সমাজের প্রতিটি কোণায় পরনিন্দা আছে বলেই সমাজ ঠিক মতো চলছে।
যে ভালো কাজটা আপনি করছেন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার জন্য নিন্দুকরা সময়ই ব্যস্ত থাকে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং নিন্দাকে ভয় করে কি কোনো লাভ আছে? অবশ্যই কোনো লাভ নেই।
তাই রবীন্দ্রনাথ একটি রম্যরচনায় উল্লেখ করেছেন, নিন্দা দুঃখ বিরোধ যেন ভালো লোকের, গুনি লোকের ভাগ্যেই বেশি করিয়া জুটে।
নিন্দুকের আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মানুষের চরিত্রের দোষগুলো ঝোপঝাড়ের মধ্যে থাকে। তাই সে দোষগুলো কারও পায়ের শব্দ শুনলেই দৌড় দেয়।
ঠিক এই জন্যই নিন্দুকেরা আনন্দ পায়। অন্যের দূর্বলতা বের করাটাই তাদের কাছে আনন্দ।
যেমন তারা বলতে পারবে, আমার কাছে কিছুই গোপন নাই। নিন্দুকের মুখে এ কথা শুনলেই বোঝা যায়, এই নিন্দুক পুরা জাত শিকারী। তো, এই জাত শিকারীরা খুব আনন্দের সাথে তখন বলে, তুমি তোমার যে অংশটা দেখাইতে চাও নাই আমি তাহাই ধইরা ফেলছি। এই আনন্দে সে লাফাইতে থাকে। আর ভাবে এইতো পেলাম মানুষটার আসল পরিচয়।
হয়তো অনেকে সেই বেচারা যাকে নিয়ে নিন্দা করা হচ্ছে তাকে বলে, ছোট লোক.....পাইছি তার পরিচয়....সে তো মুখোশ পইরা ছিল....ছি ছি ছি.....
কিন্তু সে অসহায় নিন্দুক জানে না, মানুষের ভেতরেরটাও তো মিথ্যে হতে পারে। কারণ, মানুষের রুপ রংধনুর মতো। সত্যটাই মিথ্যে হতে পারে আবার মিথ্যেটাই সত্য হতে পারে।
তাই নিন্দুকেরে আমি ভয় পাই না। ভয় পাইয়া কি হইবো।
নিন্দুক তো নিন্দা করবেই। নিন্দা করলে নিন্দুকের পরিচয় বের হয়ে যায়। মানুষ খুব মন দিয়ে নিন্দুকে কথা শুনে কিন্তু মনে মনে কিন্তু ঠিকই সাবধান হয়ে যায়। আপন করেও তার কাছ থেকে একটা দূরত্ব স্থাপন করে ফেলে। সুতরাং নিন্দুক নিন্দা করুক।
তার মুখোশ সে খুলুক। আমার কি!!
তাই বন্ধুদেরও বলি....নিন্দুক থেকে দূরে নয়....বরং তার পাশাপাশি থাকুন। এতে আপনার মারকেটিং হবে......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।