প্রিয়ংবদা
তার নাম শিপন। তার ভাষ্যমতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে ঢাবিতে। তার সম্পর্কে আমার এতটুকুই জানা। নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে আমার কাছে জাহির করে। গত বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে বড্ড জ্বালাতে শুরু করে আমাকে সে।
গভীর রাতে আমার নাম্বারে কল দিয়ে বিরক্ত করত। তার সাথে কথা বলতে হবে, বেরুতে হবে। নইলে আমার ক্ষতি করে দেবে। সে নাকি অনেক বড় ক্ষমতাধর।
আমি বরাবরই তাকে এড়িয়ে যেতাম।
ভাবতাম কোথাকার কোন ছেলে হয়তো অযথাই ভয় দেখায়। সেও হুমকি ছাড়া কখনোসামনে এসে দাঁড়াবার সুযোগ পায় নি। আজেবাজে এসএমএস করত। আমি কখনো অ্যানসার করতাম না।
গত ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে (আমি তখন বাড়িতে) সে আমাকে ফোন করে জানায়, তার দল ক্ষমতায় এসেছে।
সুতরাং, হলে থাকতে হলে তার পুরনো সেই প্রস্তাবে যেন আমি রাজি হয়ে যাই। আমি কিছূ না বলে কল কেটে দিয়েছিলাম।
আজ যখন হলে ফিরছি তখন টিএসসির মোড়ে হঠাৎ একজন আমার সামনে এসে দাঁড়াল। উগ্র উগ্র আর বখাটে ভাব। সাথে আরো কয়েকজন।
বলল, আমি সেই শিপন। ক্যাম্পাস এখন আমাদের দখলে। হলে থাকতে চাইলে ঠিক হয়ে যাও।
ছেলেটাকে এর আগে কখনো দেখি নি। যেভাবে হুমকি দিয়ে চলে গেল তাতে মনে হলো গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে এই ক্যাম্পাস এরই মধ্যে কাউকে লিজ দেয়া হয়ে গেছে।
জানি না সে আমার কতটা ক্ষতি করতে পারবে, তবে দেশের জন্যে কোনো মঙ্গল যে বয়ে আনবে না তা হলফ করে বলতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।