জনগণই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে - শেখ হাসিনার এ বক্তব্যে অনেকেরই মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এ বক্তব্যের মানে কি?
ধারণা করা হচ্ছে- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আওয়ামীলীগের একটি নির্বাচনী মূলধন। বিচার করা মানে এ ইস্যুর সমাপ্তি, মূলধন হাতছাড়া। গোলাম আজমের নাগরিকত্বও আওয়ামীলীগের জন্য একটি মূলধন ছিল। কিন্তু আদালতের মাধ্যমে তার ফয়সালা হওয়ায় সে মূলধন হাতছাড়া হয়ে যায়।
পুণরায় এ ফাদে পড়তে আওয়ামীলীগ রাজি নয়। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জনগণই করেছে- শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যে সচেতন মহল এ ইস্যুকে ঝুলিয়ে রাখার তথা মূলধন খরচ না করার আওয়ামী পলিসি হিসেবেই মনে করছে।
শাহরিয়ার করির যদিও হুংকার দিয়েছে- বিচার না করলে আওয়ামীলীগকে চরম পরিণতি বহন করতে হবে। তবে শাহরিয়ার কবিরদেরকে ঠাণ্ডা করতে ছাত্রলীগের এক চোখ রাঙ্গানীই যথেষ্ট- নেত্রীর কথার উপরে কথা বলার মত বেয়াদবী তারা সইবে কেন। দেখা যাক কি হয়।
তবে আমরা মনে করি ইস্যুটির সমাধান হয়ে যাওয়াই ভাল। আওয়ামীলীগ যদি আদালতের মাধ্যমে মূলধন হারাতে আগ্রহী না হয়, তবে জামায়াতের সমর্থক কারো উচিত আদালতে মামলা ঠুকে এ ইস্যুকে আইনি সমাধানের দিকে ঠেলে দিতে বাধ্য করা। আমাদের ব্লগের বিপুল পরিমাণ প্রমাণের বোঝা বহনকারী কয়েকজন বিশেষত অমি রহমান পিয়াল এ কাজে এগিয়ে আসতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।