কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগারগো তিন বছরের ইতিহাসে একতাবদ্ধ হইয়া ইতিবাচক সংগ্রামে থাকনের অভিজ্ঞতা অনেক...ব্লগারগো মিলিত শক্তিতে আমরা সামাজিক অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হইছি। এইবার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জয়লাভের পর যখন যুদ্ধাপরাধীগো আইনী বিচারের মাধ্যমে নির্মূলের দাবী জনতার প্রধান দাবী হইয়া উঠছে, সেরম একটা সময়ে দাঁড়াইয়া আমরাও কি চুপ থাকতে পারি!
যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে আমাদের পক্ষে যার যার অবস্থান থেইকা যতোদূর সম্ভব গণ সাক্ষর সংগ্রহ, পরবর্তীতে সকল ব্লগারের সংগৃহীত সাক্ষর একত্রিত কইরা নবম জাতীয় সংসদেরই প্রথম অধিবেশনে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌছাইয়া জানাইয়া দিতে চাই এ দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীগো কেবল নির্বাচনী ম্যান্ডেটেই পরাজিত করে নাই, উপরন্তু তারা সকল যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়!
সকল ব্লগারের সুচিন্তিত মতামত এবং পরিকল্পনার মধ্য দিয়াই এই প্রক্রিয়ার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা একত্রিত হইতে চাই আগামী শনিবার, ৩ জানুয়ারি, বিকাল ৫টায়, শাহবাগস্থ ছবির হাটে।আসুন এই সম্মিলনিতে যোগ দেই, সোচ্চার হই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে!
সম্মিলনীতে আলোচনার এজেন্ডা হইতে পারে নিম্নরূপ:
১. গণসাক্ষর সংগ্রহের ফর্মটা ফাইনালি কেরম হইবো সেইটা।
২.ফর্মটা কিভাবে বিতরণ করা হবে
৩. কিভাবে সাক্ষর সংগ্রহ করা হবে মানে অনলাইন ও বাস্তব মুড কি হবে
৪. যদি কেউ হার্ডকপি পাঠাতে চায় সেক্ষেত্রে একটা পোস্টাল এড্রেস
৫. অনলাইনে এই ফর্ম ফিলাপের জন্য কি কি অসুবিধা ও তার সমাধান
৬. নতুন কোন পদ্ধতি উদ্ধাবন
৭. একটা ডেডিকেটেড গ্রুপ - যারা তাদের একটা ভাল সময় এর জন্য ব্যয় করতে পারবে
৮. শামীমের প্রস্তাব অনুযায়ী শেখ হাসিনার ভাষন ও ৭৩ সালের সংশ্লিষ্ট একটা ভাষন ও অন্যান্য নথিপত্র অনুযায়ী একটা বুকলেট তৈরী...
আশা করতেছি সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্লগার উপস্থিত থাকবেন আন্দোলনের মাঠে...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।