আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন নিয়ে রন্টি মিয়ার টুকটাক অগোছালো কথাবার্তা

আদর্শটাকে আপাতত তালাবদ্ধ করে রেখেছি...

(নির্বাচন কদিন পর। বিভিন্ন পোষ্ট দেখছি ব্লগে। নানা জায়গায় মন্তব্যও করছি। তেমনি একটি পোষ্টে করা মন্তব্য এখানে পোষ্ট আকারে দিয়ে দিলাম। একটু অগোছালো লাগবে।

তবুও দিয়ে দিলাম। পোষ্ট করতে তো আর পয়সা লাগছে না। তাহলে বাধা কোথায়?) বিএনপির আমলে অর্থনীতি একটু গতিপায়, সেটা ঠিকই আছে। গত টার্মের পাচ বছরেও বিএনপির আমলে ভালই কাজ হয়েছে। সে অনুপাতে হয়েছে দুর্নিতীও।

হাওয়া ভবন কিন্তু একটি চৌকষ রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল ছিল। তারেক যখন রাজনীতিতে আসেন তখন সে দেখিয়েছে আধুনিক রাজনীতি কাকে বলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে তারেক চমৎকার কাজ দেখিয়েছে। সবকিছু ঠিক ছিল। তারেককে যুগ্ন মহাসচিব করে লাইমলাইটে এত তাড়াতাড়ি আনাটাই ঠিক হয়নি।

এরপরই শুরু হল হাওয়া ভবন ব্যবহার করে যতসব বদনামী কাজ। তার সবটুকু তারেক নিজেও জানে বলে ধারনা করি না। এমনভাবেই বেড়েগিয়েছিল বিষবৃক্ষ। বিএনপির বদনামে এটি একটি বড় দিক। তবে সবচেয়ে বড় যে ভুলটি বিএনপিকে দুর্বল করছে, তার নাম জামায়াত।

সাধারন মানুষ এটি কে সমর্থন করছে না। বিএনপির সাথে আর কোন দল নেই। আর এখনকার রাজনৈতিক অবস্থাও এমন যে নিজের দলের বাইরেও ছোটখাট দলকে সাথে রাখতেই হবে। তাই অন্য সবার বিমুখতায় বিএনপির জামাতকে সাথে রাখতেই হচ্ছে। বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ে ছাত্রদল, প্রায় ছাত্রলীগের মতই সমানহারে শিবির ঘৃনা করে।

সিনিয়ার পর্যায়েও জামায়াতকে ভাল চোখে দেখে না কেউ। কিন্তু কৌশলগত কারনে রাখতেই হচ্ছে। কিন্তু সেটা বিএনপির জন্য দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির কারন হয়ে যে দাড়াবে না, তার গ্যারান্টি কিন্তু দেয়া যাচ্ছে না। সামনের নির্বাচনে সবাই ধরে বসে আছে আলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটই সরকারে আসছে। কেননা সবকিছুই তাদের পক্ষে।

পালাবদলের কিউতে এবার তারা। সেনাসমর্থিত সরকার বিএনপির পেছনে কাটা হয়ে লাগাতে তারা এত বড় ঝুকি নেবে না যে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। কেননা বিএনপি আসলে তাদের কি হাল হবে বলাই্ বাহুল্য। দুর্নিতী, জামায়াত আর সরকারের অত্যাচারে বিএনপির প্রায় ক্রাশ হয়ে যাবার ভয় ছিল। কিন্তু গত ২০ বছরে বিএনপি বোধহয় দল হিসেবে গঠন হয়ে গেছে।

তৃনমুল পর্যায়ে অসংখ্য নেতাকর্মী এসবে তাই বিভ্রান্ত হয় নি। আর খালেদা জিয়ার ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্ত এবং ইমেজ জাদুমন্ত্রের মত বিএনপিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় নিয়ে এসেছে। তা না হলে মাস দেড়েক আগেও সবাই ভেবেছে বিএনপি ৪০ সিট পায় কিনা সন্দেহ, আজকে সবাই বলতে পারছে ১০০ আসন পেতে পারে। সাম্প্রতিক কোকোর সিঙ্গাপুরের ঘটনা সেটা যতই সরকারের ছুড়ে দেয়া তীরই হোক না কেন, সেটা বিএনপিকে ভোটের মাঠে আঘাত করেছে। এরই সাথে সিমেন্স কেলেংকারী যদিও এতটা প্রচার পায় নি, তবুও সেটিও ভোটের মাঠে বিএনপিকে পিছিয়ে দেবে।

সবকিছু বিবেচনায় আনলে আলীগ জোটই এবারের নির্বাচনে জয়ী হবে সেটা এখনই বলে দেয়া যায়। তবে সেই জয় ২০০১ এ বিএনপির জয়ের মত হবে না মোটেও। তবে বিএনপির আসন সংখ্যা এবারও চমক দেখাতে পারে ৯৬ এর মত। বিরোধী দলে গিয়ে বিএনপির দলীয় পুর্নগঠন প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হবে, এরই সাথে রাজনৈতিক কৌশলও নতুন করে ভাবা হবে। বিরোধী দল অবস্থায় আন্দোলেন বিএনপি জামায়াতকে পাশে পাবে বলে মনে হয় না।

এবং বিএনপি সেটা পাবার আশাও করে না বলে অনেকের ধারনা। তখন চারদলীয় জোট ভেঙে যাবার সুস্পষ্ট সম্ভাবনা। ভেঙে যাবার সম্ভাবনা মহাজোটের। সরকার গঠনে ছোটছোট দলগুলো নাখোষ হয়ে নিস্ক্রিয় হওয়া ছাড়া গতান্তর নেই। এরশাদের গতি নির্ভর করে তার দলের প্রাপ্ত সিটের উপর।

২৫ টির উপর আসন পেলে তখন আলীগকে এরশাদের অনেক বিরক্তিকর আবদারের সম্মুখীন হতে হবে যা আপাতপক্ষে পুরন করলে আলীগের জন্য মস্ত ক্ষতির কারন হবে। আর ১০/১২টি সিট পেলে এরশাদ মিনমিনে গলাতেই কথা বলবে, এবং আলীগের থেকে প্রচন্ড লাথি খাবার সম্ভাবনা। বাংলাদেশের রাজনীতির গুরুত্বপুর্ন সময় আসছে সামনের নির্বাচনের পর। অপেক্ষা সেসময়ের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.