কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
গীতিকার সুরকার শিল্পী একে আনামের একটি গান 'বিজয় দেখিলাম'
বিজয় দেখিলাম - এ কে আনাম
১৬ ডিসেম্বর ,আমাদের বিজয় দিবস। দেশের ভিতরে ও বাহিরে থাকা সবার প্রতি থাকলো মহান এ দিবসের শুভেচ্ছা। আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না সিলেটের প্রখ্যাত গীতিকার,সুরকার শিল্পী প্রয়াত এ কে আনাম ছিলেন শ্রীমঙ্গলের সন্তান। তিনি কাছ থেকে দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধে শ্রীমঙ্গলের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম ও পাক বাহিনীর নির্যাতনের চিত্র।
তার লিখা অসংখ্য গানের মাঝে একটি বিখ্যাত গান বিজয় দেখিলাম।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্লগারদের জানার জন্য তার প্রকাশিত "সুরমা নদীর তীরে" গ্রন্থ থেকে সংকলিত করা হল।
বিজয় দেখিলাম
বিজয় দেখিলাম ....
উনিশশ একাত্তুরের ষোলই ডিসেম্বরে ।
নয় মাসের যুদ্ধশেষে পোহাইল রজনী
নব্বই হাজার বন্দি,হানাদার পাকিস্তানী
মুক্তিবাহিনী আসে হাজারে হাজারে
লাল-সবুজ পতাকা হাতে জয়বাংলা ধ্বনিতে ।
শ্রী আর মঙ্গলে হয় শ্রীমঙ্গলের মাটি
এই মাটিতে ছিল শক্ত হানাদারের ঘাঁটি।
মুক্তিবাহিনী তারে চাইরদিকেতে ঘিরে
মুক্ত করে শ্রীমঙ্গল ছয় ডিসেম্ভরে (রোজ মঙ্গলবারে)।
খুশীতে কান্দে মানুষ মুক্তিফৌজ দেখিয়া
স্বজনহারারা দুঃখ ভুলে বুকেতে ধরিয়া।
চউখের পানি বুক ভাসাইয়া মাটি ভিজায়রে
যে মাটি লাল কইরা গেল 'মুকিত লস্করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ ভাইরে চলার কালেতে
'মঈনউদ্দীন বন্দি হইল শত্রুসৈন্যের হাতে।
সঙ্গী-সাথীর খবর নিতে শত অত্যাচারে
মঈনউদ্দীন জীবন দিল,জবান দিল নারে ।
পুত্রহারা মা-জননীর চউখের পানিতে
এক 'সমীর" লক্ষ সমীর হইয়া ভাসে।
'আনিস' আর 'আলমে' ডাকে মা মা বলে
দেখ ফুল হইয়া ফুটল তারা শহীদ মিনারে।
বিজয় দেখিলাম সেদিন ওয়াপদা ভবনেতে
মা বইনের লাশ কত বধ্যভুমিতে।
এক মায়ের লাশের বুকে ছোট্র শিশুর লাশ রে
স্বাধীনতার মত যেন ফুটছে মায়ের কোলে।
কত বীর মুক্তিযোদ্ধা গেল জীবন দিয়া
ইতিহাস লিখিয়া গেল বুকের রক্ত দিয়া।
অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন এই শহরে
শুধু'হুসেন ভাই' আর 'পবন তাঁতী' ফিরবে না তো ঘরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।