© এই খানে প্রকাশিত সকল লেখার এবং অন্যান্য হাবিজাবি সমুহের সর্বসত্ত্ব লেখকের...©
খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীদের ঐশী গ্রন্থ "বাইবেল" যা মুসলিম দের ঐশী গ্রন্থ কোরানেও "ইনজিল" হিসেবে স্বীকৃত এবং এটা যার উপর নাজিল হয়েছিলো তিনিও মুসলিমদের একজন নবী হিসেবে স্বীকৃত।
সেই বাইবেল নারীদের কিভাবে দেখে তাই সাদা চোখে দেখার চেষ্টা করি---
ক) হাত কেটে ফেলার নির্দেশঃ-
স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক সহযোগীতার মনোভাব বিরাজ করবে সেটাই স্বাভাবিক। আর স্বামী যখন কারো সাথে জীবন মরন সংঘাতে অবতীর্ণ তখন তো স্বামীর সাহায্যে স্ত্রীর এগিয়ে আসা আবশ্যাম্ভাবী।
কিন্তু বাইবেল বলে অন্য কথা।
স্ত্রী যদি এরকম পরিস্থিতিতে স্বামীকে সাহায্য করতে গিয়ে শত্রুর যৌনাঙ্গ টেনে ধরে বা আঘাত করে তবে শাস্তি হিসেবে স্ত্রীর হাত কেটে ফেলার নির্দেশ করা হয়েছে।
(deuteronomy 25:11-12)
একমাত্র পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই পারে এরকম ভয়াবহ আইন তৈরী করতে। কারণ এজন পুরুষের চোখে তার যৌনাঙ্গ একটা পবিত্র অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। যেটাকে বাইবেলও সমর্থন করে এভাবে-
যদি একজন পুরুষ কোন কারণে তার লিঙ্গ খোয়ায়, তবে সে ঈশ্বরের ইবাদত করার অধিকারও হারাবে।
(deuteronomy 23:1)
খ)পুরুষ মহিলা হ'তে উত্তমঃ-
বাইবেলে ঘোষনা দেয়া আছে পুরুষ নারী থেকে উচ্চাসনে সমাসীন হবে।
দেখা যাক বাইবেলে কিভাবে বলা হয়েছে-
কিন্তু আমি তোমাকে জানচ্ছি যে, প্রত্যেক পুরুষের নেতা হচ্ছে খ্রীস্ট, এবং প্রত্যেক নারীর নেতা হচ্ছে পুরুষ, এবং খ্রীস্টের নেতা হচ্ছে ঈশ্বর।
(I Corinthians 11:3)
আবার বাইবেলে বলা আছে-
পুরুষ নারী হ'তে নয়, বরং নারী পুরুষ হ'তে [তৈরী]। নারীর জন্য পুরুষ সৃষ্টি করা হয়নি; পুরুষের জন্যই নারী সৃষ্টি করা হয়েছে।
(I Corinthians 11:8-9)
এরকম নারী অবমাননার ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যাবে বাইবেলে।
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।