ডিপ্লমেসি ইজ নট সামথিং য়ু ক্যান লার্ন অ্যাট ইসকুল অর ইন দ্য ফরেন সার্ভিস। আ ডিপ্লম্যাট ইজ আ পারসন হু ক্যান টেল য়ু টু গো টু হেল অ্যান্ড অ্যাকচুয়ালি মেক য়ু লুক ফরওয়ার্ড টু দি জার্নি
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বন্দুকের নিশানা নির্ধারণী যন্ত্রাংশে ব্যবহৃত বাইবেলের সাংকেতিক উদ্ধৃতি নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন কোম্পানি থেকে কেনা এসব বন্দুক ব্যবহারকারী দেশ নিউজিল্যান্ড এটাকে ‘যথার্থ নয়’ বলে অভিহিত করেছে।
নিউজিল্যান্ড বাইবেলের সাংকেতিক উদ্ধৃতি সম্বলিত সেনা বাহিনীর ব্যবহৃত বন্দুক থেকে ওইসব সংকেত মুছে ফেলার ঘোষণা দেয়। বলা হয়, মুসলিম দেশগুলোতে চলমান মার্কিন আগ্রাসনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সংযোজিত এসব সংকেত ব্যবহার সময় উপযোগী নয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েনে ম্যাপ বলেন, ‘আমরা জানি বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অহেতুক কিছু করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা বাস্তবসম্মত নয়। ’
দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিসটেইন ডিউনে বলেন, ‘সমরাস্ত্রে সাংকেতিক উদ্ধৃতি আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে। ’
তিনি বলেন, ‘বন্দুক তৈরির সময় বাইবেলের সাংকেতিক উদ্ধৃতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি আমাদের কিছু জানায়নি। ’
ডিউনে বলেন, নিউজিল্যান্ড সেনা বাহিনীর এ রকম ২৬০ নিশানা নির্ধারণী যন্ত্র রয়েছে।
দেশটি ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো এসব যন্ত্র ক্রয় করে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন মেরিন কর্তৃপক্ষ এবিসি নিউজকে জানায়, কয়েক বছরে আট লাখ নিশানা নির্ধারনী যন্ত্র সরবরাহের বিষয়ে তাদের সঙ্গে ট্রাজিকনের ৬৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে। এসব যন্ত্র সরবরাহে মার্কিন সেনা বাহিনীর সঙ্গে ট্রাজিকনের আরো কয়েকটি চুক্তি রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে মেরিন কর্তৃপক্ষ সংকেত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে ভবিষ্যৎ চুক্তির বিষয়ে নতুন করে আলোচনা করার কথা জানিয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার ড্যারেইন জেমস বলেছেন, ‘যদি বাইবেলের উদ্ধৃতি সংযোজনের বিষয়টি সত্য হয়, তবে এ কাজটি অবশ্যই যথার্থ হয়নি।
আমরা বিষয়টির সম্ভব সমাধানে পৌঁছার চেষ্টার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ’
উল্লেখ্য, এসব নিশানা নির্ধারণী যন্ত্র আফগান ও ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রেও ব্যবহার করা হয়।
ট্রাজিকন কোম্পানি জানিয়েছে, তারা গত তিন দশক বাইবেলের উদ্ধৃতির সংকেত সম্বলিত সমরাস্ত্রের নিশানা নির্ধারণী যন্ত্র তৈরি করে আসছে। এরআগে সংকেত নিয়ে তাদের কাছে কেউ আপত্তি করেনি। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গ্লেইন বিন্ডন এ ধারণা চালু করার পর তা অব্যাহতভাবে চলে আসছে।
বিন্ডন ২০০৩ সালে মারা যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।