হাঁটা পথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে হে সভ্যতা। আমরা সাত ভাই চম্পা মাতৃকাচিহ্ন কপালে দঁড়িয়েছি এসে _এই বিপাকে, পরিণামে। আমরা কথা বলি আর আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।
'বাবা তোমার এই হাত যুদ্ধ করেছে, তোমার চোখ আমার দেশের মাটি গাছ পাখি দেখেছে। বাবা, আমি চোখে দেখি না।
তুমি তো দেশ থেকে এসেছ, তুমি বল, আমার দেশ কি এখনও তেমন সবুজ, আমার মাটি কি এখনও তেমন সজল?'' সেই অন্ধ বৃদ্ধ তাঁর সন্তানের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছিলেন তাঁর শত্রুকবলিত দেশের শোকে। ৩৬ বছর পর সেই কথা বলতে বলতে আরেক বৃদ্ধ কর্ণেলের গাল ভেসে যাচ্ছিল অশ্রুরাশিতে। কফিল আহমেদ গেয়েছেন, 'কাঁদলে কী রে ধুলার পাহাড়ে, গঙ্গা বুড়ি গঙ্গা বয়ে যাবে। ' তবুও আসুন, যদি পারি এই ধুলোর পাহাড়ে বসে আমাদের সেই হতাভাগিনী দেশমার্তৃকার জন্য কাঁদি। প্রাণ বিসর্জন দেয়া তারা তিরিশ লাখ সবুজ সন্তানদের জন্য কাঁদি।
আমাদের সংকল্পহীন বাংলাদেশের জন্য কাঁদি। এক.
একাত্তর আমাদের কত দিকে ধন্য করেছে। স্বাধীনতা দিয়েছে, মর্যাদা দিয়েছে, একখানা রাষ্ট্র ও জাতীয় পতাকা দিয়েছে। ছোটো মুখে বড় করে বলি, এক বীরত্বমাখা লড়াইয়ের গরব ভোগ করবার হিম্মত দিয়েছে। সেইসব কাহিনী ও গৌরব ভেতো ভেতো বাঙালির ভিজা মনকে নিমেষে চাঙা করতে পারে।
কিন্তু দেশের দিকে তাকালে, সমাজের হালফিল খবর নিলে টের পাই; বুকের ছাতি ফুলাবার মতো কোনো ব্যাপার বোধহয় ঘটেনি! ঘটলেও তার মহিমা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তবে একাত্তরের একটা অবদান খাটো করবার কোনো উপায় নাই। একাত্তর আমাদের অঢেল নাইট্রোজেন দিয়েছে। তার গুণেই আমাদের মাটি যা একটু সুজলা-সুফলা। তিরিশ লাখ মানবসন্তানের হাড়গোড় নিঃসৃত নাইট্রোজেনের সমান জিনিষ আর কোথায় পেতাম?
ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের পর একবার মাটিতে নাইট্রোজেনের খুব অভাব ঘটেছিল।
শিল্পের কাঁচামাল যোগানোর দরকারে মাটিকে এমনভাবে চোষণ করা হয়েছিল যে, নাইট্রোজেন ঘাটতিতে পড়ে মাটি অনুর্বরা হয়ে পড়ে। তখন খোঁজ চলে, নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ মাটি কোথায়? বেশি খুঁজতে হয় না, সেই মাটি মেলে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধের ময়দানে। বলা হয়, লাখ লাখ মানুষের হাড়গোড় মিশে ঐসব রণাঙ্গন একেবারে নাইট্রোজেনে টসটস করছিল। সেই মাটি এনে ইংল্যান্ড আপাতত তার নাইট্রোজেনের ঘাটতি মেটায়। আমাদের আর ওরকম করতে হবে না।
বাংলার মাটিকে দুর্জেয় ঘাঁটি বানাতে যে তিরিশ লাখ লোক জীবন দিয়েছিল, তাদের সেই জীবনদানের পরো ফল বাংলার মাটিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতিনাশ। স্বাধীনতাযুদ্ধের আর কোনো অবদান এত প্রত্যক্ষ করা যায় কি? দেশ কি সোনার বাংলা হয়েছে? হয়নি! রাষ্ট্রটা কি জনগণের সব দায়িত্ব নিয়েছে? নেয়নি! বিশ্বে কি স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা বেড়েছে? বাড়েনি! আমাদের দুঃখী মানুষদের দুঃখ কি ঘুচেছে? ঘোচি! তাহলেও কি? এবার আমরা বলতে পারবো, স্বাধীনতা যুদ্ধ আমাদের মাটিতে ব্যাপক পুষ্টি যুগিয়ে রেখেছে। হতাশার মধ্যে এই-ই বা কম কী?
বাংলা ১১৭৬ সালের দুর্ভিক্ষেও কোটি কোটি বঙ্গসন্তান বেঘোরে মরেছিল। সেই দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে পরে মহামতি কার্ল মার্কস দুঃখ করে লিখেছিলেন, 'বাংলার শ্যামল প্রান্তর মানুষের হাড়ে শ্বেত-শুভ্র হয়ে গিয়েছিল। ' কথাটা মিথ্যা ছিল না।
তাঁর জবান ধার করে এখন আমরা বলতে পারি, একাত্তরের শহীদদের হাড়ে বাংলার শ্যামল প্রান্তর সাদা, তাদের রক্তে পানি লাল আর তাদের যন্ত্রণাময় শেষ নিঃশ্বাসমাখা আকাশও বেদনায় নীল হয়ে গিয়েছিল। আজ সেই মাটির দানই আমরা আহার করি, সেই পানিই পান করি এবং সেই আকাশের তলে শহীদদের শেষ নিঃশ্বাস-ছাড়া বাতাসেই শ্বাস নিই। স্বাধীনতার জন্য না হোক, এজন্যও আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। খ্রিস্টবিশ্বাসীরা যেরকম কৃতজ্ঞতা পালন করে প্রভু যীশুর প্রতি। যীশু মানবতার মুক্তির জন্য জীবনদান করেছিলেন।
তাঁর স্মরণে ইস্টার দিবসে খ্রীস্টানরা সমবেত হয়ে আঙুরের লাল রস আর গমের রুটি খায়। তাদের চোখে ঐ আঙুরের রস যীশুর রক্তের প্রতীক ও ঐ রুটি যীশুর শরীরের রূপক। এভাবে তারা তাদের পরিত্রাতা যীশুর সঙ্গে একাত্মা একদেহ হয়ে ওঠে বলে বিশ্বাস করে। আমরাও বোধহয় না জেনেই, কোনো ভক্তি ছাড়াই বাংলার মাটি-পানি আর বাতাস থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ ও পূর্বনারীদের হাড়-মাস-শ্বাস ভোগ করে চলেছি। ভক্তি ও কৃতজ্ঞতার বালাই থেকে আমরা সম্পূর্ণ মুক্ত!
দুই.
ডিসেম্বর এলেই এসব কথা মনে পড়ে।
হতাশ ও বিক্ষিপ্ত মনে কত কথাই তো ওঠে আর ঝরে পড়ে। এটাও বোধহয় সেরকমই এক কথা। কিন্তু না বলে উপায় কী? এত বড় এক যুদ্ধ হলো, তিরিশ লাখ দুর্ভাগা মানবসন্তান জীবন দিল, চার লাখ অভাগিনীকে সহ্যাতীত নির্যাতন সইতে হলো। এক কোটিরও বেশি মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে দারা-পুত্র-পরিবার নিয়ে পরদেশে ভিখিরির বেশে গিয়ে দাঁড়াল, থাকলোও ভিখিরির মতো জীবনে। যারা দেশে পড়ে রইল, তাদের অভিজ্ঞতাও দোজখবাসের সমান।
বিনিময়ে কী এলো আর কী গেল? বিনিময়ে স্বাধীনতা এল বটে কোন বর্গীতে লোপাট করল তার সুফল! দেশের অকহতব্য সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনীতির হালচালের দিকে তাকালেই ধরা পড়ে, সেই সুফলের আস্বাদন দেশবাসী পায়নি। এমন উলঙ্গ ও কর্কশ সেই চিত্র যে, সেটা ঢাকতে অনেককেই অনেক বাহারি যুক্তি ও অজুহাত দিতে হয়। এবং বলতে হয় আগামির স্বপ্নের কথা। তাঁরা বলেন, 'আগামীর স্বপ্নের কথা'। কোন আগামী? কোনো দিন কি আসবে তা? একাত্তরে যে জন্মেছে সে এখন ৩৭ বছরের পৌঢ়।
এমন বয়সেও যার হয় না, তার আর কবে হবে? মিথ্যা আশার মিছরি বিলিয়ে তবে কী লাভ? কার লাভ? স্বাধীনতা গুড়মাখা মোয়া নয়, জনগণও বালক নয় যে, সেই মোয়া হাতে পেয়ে বালকের মতো তা ধিন তা ধিন করবে। দেখাতে হবে যে, হ্যাঁ, এই হলো স্বাধীনতা: এই এই ভাবে তা মানুষকে সুখী করেছে মর্যাদাবান করেছে। কেই দেখাতে পারে সেটা? আমাদের অভাব থাকতে পারে, মানি। কিন্তু হানাহানি, কোঁদলগিরি, ফটকাবাজি, চুরিচামারি করে দেশবাসীর মাথা হেঁট করার কোনো অধিকার তো কারো থাকতে পারে না! এত অপমান এত লজ্জা আমাদের দেশমাতৃকার যে, সুযোগ থাকলে তিনি মাটি দুফাঁক করে তার মধ্যে সেধিয়ে সেই লজ্জা নিবারণ করতেন।
অবস্থা এমনই শোচনীয় যে, বিশ্বে দূরে থাক দেশের ভেতরেই মাথাটা ঘাড়ের ওপর সোজা রেখে চলতে পারা কঠিন।
একা একা কেউ ঘাড় ত্যাড়া করে চলতেই পারে। কিন্তু মাথা হেঁট, হাঁটু ভাঙ্গা, পেট চুপসানো আর মন বোজানো অজস্র জনতার মধ্যে সেই ঘাড় উঁচানোকে জিরাফের মতো উদ্ধত লাগে যে! তারপরও তো দেখি, অনেকেই, দিব্যি জিরাফের মতো গলা বাড়িয়ে চলছেন, যা পারছেন সেখানেই মুখ দিচ্ছেন। ঝোপঝাড়-মগডাল কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। তখনই বুঝি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-রাষ্ট্রমতার যাবতীয় সুধারস এরাই চুষে-কামড়ে-চেটে খেয়েছে। আর বাদবাকিদের জন্য নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ মাটি, শহীদদের রক্ত মেশা পানি আর তাদের অসুখী আত্মাময় বাতাস।
বঙ্গজননীর এতেই ধন্য হওয়া উচিত। তাঁর যে সন্তানেরা মরে হেজে গেছে তো গেছে, তাদের কথা ভেবে লাভ কি। এখন জিরাফদের যুগ, দেশমাতৃকার শ্রাদ্ধ তারা নিশ্চয় করবেই করবে। একটা দেশে জীবন কেমন সেটা বোঝা যায় সেদেশে মৃত্যু কেমন তা দিয়ে। বাংলাদেশে জীবনের মতো মৃত্যুও অকাতর।
এবং তা সবসময়ই তরুণদের জন্যই যেন ধার্য করা আছে। তরুণের রক্ত পান না করলে ইতিহাসের দেবতা তুষ্ট হন না। যুদ্ধ, বিপ্লব, ষড়যন্ত্র আর পরিবর্তনের ইতিহাস যাদের রক্তে সিক্ত, তারা তরুণ। মুক্তিযুদ্ধে নিহত লাখ লাখ শহীদের অধিকাংশই ছিল তরুণ। সেসময়ে ধর্ষিত নারীদের নিরানব্বই ভাগই ছিলেন তরুণ।
যুদ্ধের পরপরই গণবাহিনী করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে যারা হাজারে হাজারে তাদের সমাজবদলের স্বপ্নসহ মুছে গিয়েছিল, তারাও কিন্তু তরুণ। নুর হোসেনরাও তরুণই ছিল। এমনকি ফুলবাড়ী-কানসাটে যারা জীবন দিয়েছে তারাও কিশোর-তরুণ। মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি, সংগ্রামীর মুখচ্ছবি চিরকালের জন্য তরুণদের জন্যই নির্দিষ্ট হয়ে গেছেÑ হোক তা বাংলাদেশে বা ইরাক-ফিলিস্তিনে। তরুণদের তাজা হাড়-মাংস-রক্ত আর উদ্দীপ্ত আত্মার নির্যাসেই সমাজ-সভ্যতা চিরঞ্জীব হয়।
যারা জীবনের স্বাদ পেতে না পেতেই মরে যায়, তাদের কাছ থেকেই আমাদের জীবনের দাম, স্বাধীনতার দাম শিখতে হয় বৈকি!
কিন্তু আমাদের শাসকেরা পণ করেছেন, তাঁরা কিছুই শিখবেন না। তাঁরা কেবলই নেবেন কিন্তু কিছুই দেবেন না। সবকিছু আত্মসাতের এমন ধনুক ভাঙ্গা পণ তাঁরা করেছেন যে, তাঁদের তুল্য তুখোড় জগতে আর নাই। তাঁরা সকলে মিলেই ঠিক করেছেন, একাত্তরের একমাত্র অবদান কেবল মাটিতে নাইট্রোজেন দানেই সীমাবদ্ধ থাকবে। উন্নত দেশ, সুখী সমাজ আর মর্যাদাবান রাষ্ট্র নির্মাণের দায় তারা নেবেন না।
বরং যত ভাবে পারেন সেই পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখবেন। খাদ খুঁড়ে ফাঁদ পাতবেন। নইলে আর কিছু না হোক, গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটুকু অন্তত হতো। জাতির মৃত তরুণদের সঙ্গে এমন বেঈমানি বিশ্বে আর কোনো জাতির শাসকেরা করতে পারে বলে বিশ্বাস হয় না, করেছে কিনা কেউ জানেও না।
তিন.
যারা চায়, তাদের মনে রাখা উচিত এ দেশ বধ্যভূমিময়।
যেখানেই পা পড়বে, সেখানেই কোনো না কোনো শহীদের গায়েবি কবর। আজকের তরুণ আজকের প্রবীণদের কেউ যদি সেকথা মনে করে মাটির দিকে তাকানো উচিত। এক তরুণ মুক্তিযোদ্ধার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এই ভাবনা আমাকে থরথর করে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। মনে হল, ওখানে যে শুয়ে আছে তার বয়স একাত্তরে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় যা ছিল আজো তাই। তাদের বয়স আর বাড়েনি।
চকিতে আমার মনে হল, ওই যোদ্ধাটি তো আমারই বয়সের কিংবা আমার থেকেও কম। অথচ ওরাই একটি দেশের জন্ম দিয়েছে, যে দেশে জন্মেছি আজকের আমরা। ওদের সংগ্রামের ঔরসের নামই তো স্বাধীনতা। আজো চোখ বুজলে দেখতে পাই। সেই অপাপবিদ্ধ তরুণদের মুখ।
চেয়ে আছে, তার থেকে বড় তাদেরই সন্তানদের দিকে, তাদের রেখে যাওয়া দেশের দিকে। জন্মাবার আগেই তারা যার নাম রেখেছিল: বাংলাদেশ।
আমাদের দেশের জনক-জননী ওই তারুণ্যের অস্থি-রক্ত-মনের সারাৎসার কেবল মাটির সার নয়। নয় কেবল লাল দাগে চিহ্নিত দিবস। তাদের জীবনের নির্যাস ছিল একটি সংকল্প, কল্পনায় তাকে তারা বাংলাদেশ বলেই চিনেছিল।
সেই বাংলাদেশ আজো আছে, কেবল সংকল্পটাই নাই।
একদিন টিভিতে দেখি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল (অব নুরুজ্জামান স্মৃতিচারণ করছেন আর কাঁদছেন। তিনি বলছিলেন শরণার্থি শিবিরে দেখা হওয়া এক অন্ধ বৃদ্ধের কথা। বৃদ্ধটির সন্তান যুদ্ধে গেছে। অনেকদিন তার খবর পান না।
কমান্ডারকে কাছে পেয়ে বৃদ্ধ তাঁকে ছুঁয়ে দেখতে চাইলেন। কর্ণেলের হাত স্পর্শ করলেন, চোখ স্পর্শ করলেন। তারপর সেই হাত নিজের চোখে ছুঁইয়ে বললেন, 'বাবা তোমার এই হাত যুদ্ধ করেছে, তোমার চোখ আমার দেশের মাটি গাছ পাখি দেখেছে। বাবা, আমি চোখে দেখি না। তুমি তো দেশ থেকে এসেছ, তুমি বল, আমার দেশ কি এখনও তেমন সবুজ, আমার মাটি কি এখনও তেমন সজল?'' সেই অন্ধ বৃদ্ধ তাঁর সন্তানের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছিলেন তাঁর শত্রুকবলিত দেশের শোকে? ৩৬ বছর পর সেই কথা বলতে বলতে আরেক বৃদ্ধ কর্ণেলের গাল ভেসে যাচ্ছিল অশ্রুরাশিতে।
কফিল আহমেদ গেয়েছেন, 'কাঁদলে কী রে ধুলার পাহাড়ে, গঙ্গা বুড়ি গঙ্গা বয়ে যাবে। ' তবুও আসুন, যদি পারি এই ধুলোর পাহাড়ে বসে আমাদের সেই হতাভাগিনী দেশমার্তৃকার জন্য কাঁদি। প্রাণ বিসর্জন দেয়া তারা তিরিশ লাখ সবুজ সন্তানদের জন্য কাঁদি। আমাদের সংকল্পহীন বাংলাদেশের জন্য কাঁদি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।