এলেমেলো কথাবার্তা tutul@amrabondhu.com
১
ডিসেম্বর ০৫
একাত্তরের এইদিনে বাংলাদেশকে প্রতিবেশী ভারত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার পর নতুন মাত্রা পায় মুক্তিযুদ্ধ। সীমান্তের দুর্বল প্রতিরোধ তছনছ করে ঢাকা অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী। । যৌথ বাহিনীর হাতে মার খেয়ে পাকিস্তানি সেনারা পালাতে শুরু করে। আÍরক্ষার জন্য তারা প্রত্যন্তঅঞ্চল থেকে ঘাঁটি গুটিয়ে শহরে এসে সমবেত হতে থাকে।
এ সময় তারা রাস্তার দু’পাশের জনবসতিতে অগ্নিসংযোগ, নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও লুটপাটে লিপ্ত হয়। এদিকে অগ্রসরমান মুক্তিবাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকায়।
মুক্ত এলাকায় মুজিবনগর সরকারের প্রশাসন চালু করা হয়। সেক্টর কমান্ডাররাও একে একে নিজেদের সেক্টর হেডকোয়ার্টার স্থানান্তর শুরু করেন মুক্তাঞ্চলে। মুক্তাঞ্চলে দলে দলে সমবেত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা।
প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে তখন যুদ্ধরত। বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত ১৫ হাজার তরুণ। এছাড়া শরণার্থী শিবির ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার তরুণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের সংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ।
ডিসেম্বরের এদিনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বাঙালিদের খুশি করতে পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিক নূরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমাঞ্চলের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন।
কিন্তু তাতে কোন ফল হয় না। বাংলার মানুষ তখন অপেক্ষায়, কবে আসবে মহামুক্তির দিনটি।
আজ ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন তেজগাঁও কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সে সময় প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকা এয়ারপোর্টে মিগ যুদ্ধ বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধ বিমানসহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে ভারতীয় নৌবাহিনী হামলা চালায় পাকিস্তানী বাহিনীর উপর।
২
প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি :: ফিরে দেখা একাত্তর থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।