পাখি এক্সপ্রেস
মাটির রঙ বদলে যাচ্ছে, বদলাচ্ছে মাটিরঙা জমিনের গা।
হাওয়ার মেশিনগুলোর প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদনে
নগরের সোডিয়াম আলো বিরতিহীন নগ্ন হচ্ছে।
মরচে পড়া মাটির গায়ে সভ্যতার জলসা বসে-
নাগরিক বিনোদন আড্ডা নেয় আকাশ ছু'তে অভ্যস্ত দালানে।
ভরাট হওয়া খালের পলিতে রোপিত হয় কৃষানীর অবসর-
এখানে সেখানে পড়ে থাকে উর্বরতার জারজ লাশ-
আমাদের শরীর থেকে সুগন্ধি ধার নেয় ফাগুন, বসন্ত ইত্যাদি।
অর্ধেক রাতে খাঁ খাঁ চরে কালশকুনের চিৎকার
গৃহস্থালি কলহে এসে মিশে যেতে ভালোবাসে।
সুযোগ বুঝে রক্তে নেমে আসে পৌষের পর মাঘ-
ক’দিন আগেইতো ফাগুন উঁকি মেরেছিলো...।
মাইলের পর মাইল খাসজমি হতে পারতো
কৃষকের চোখের ঝিলিক- একেকটি আস্ত পূর্ণিমা
গিলে খেতে পারতো কৃষাণীর নাকে ঝুলে থাকা গুমরো নোলক।
স্বপ্ন থুয়ে আসি দৃষ্টিশক্তির ওপারে থাকা ধোঁয়াটে অনিশ্চয়তায়-
আমরা আশাবাদী ছিলাম বলে অমাবস্যা দীর্ঘতর হতো।
হয়তো কয়েক স্রোত রক্তভোগ ভাসবে জলশূণ্য খালে
ভিজতে পারে রাক্ষুসী মাটির গলা, ভরতে পারে উদর
হয়তো বেনামীচরে সীমানা জ্বালবে কৃষকের মাজার
শস্যদানাগুলো বড় হতে থাকবে ইয়া লম্বা আশার সমান
সনাতন হাঁড়ে নতুন দাগ প্রথম সন্তানের মতো হাসবে
হয়তো...... হয়তো......
হয়তো আমরা আবার জয়ী হতে শিখে নেব।
০২.১১.০৮
রাত ১১.৪০ মি.
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।