Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
ব্যাংকের ভল্টের টাকা চুরি করতে এসেছে তিন চোর। চোরদের একজন বাংলাদেশী, একজন আফগানিস্তানের আরেকজন আমেরিকান। চোর তিনজন তিন দেশের হলেও চোরে চোরে মাসতুতো ভাই তত্ত¡টির সত্যতা প্রমাণ কারার জন্যই বোধহয় তিনজনের মাঝে বেশ ভালো বন্ধুত্ব। এই তিন বন্ধু ভল্ট থেকে বের হয়ে টাকা নিয়ে পালাতে যাবে ঠিক এই সময় চুরির ব্যাপারটি এক নিরাপত্তা রক্ষীর চোখে ধরা পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারাল তিন চোর বন্ধু।
তো যথারীতি মৃত্যুর পর তাদের সৃষ্টিকর্তার সামনে হাজির করা হল।
সৃষ্টিকর্তা বললেন, বেঁচে থাকতে তোমরা অনেক অন্যায়-পাপ কাজ করেছ। এর ফল হিসেবে তিনজনকেই নরকে পাঠানো হবে।
এরকম শাস্তির কথা শুনে চোর তিনজন ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে লাগল। আর হাত জোড়া করে মিনতি করতে লাগল, ‘হে প্রভু আমাদের কি কোনভাবেই ক্ষমা করা যায় না? নিজের সৃষ্ট জীবের এমন কাতর প্রার্থনা শুনে সৃষ্টি কর্তার মনে দয়া হল।
তিনি বললেন ‘ঠিক আছে, আমি তোমাদের তিনজনকেই একবার করে সুযোগ দেব। শেষ সুযোগ হিসেবে তোমাদেরকে একটি ফলের বাজারে ঢুকে যে কোন ধরনের ফল একটি করে আনতে হবে। এরপর তোমাদের করণীয় সম্পর্কে বলা হবে।
এরকম সহজ সুযোগের কথা শুনে তিনজনই এককথায় রাজি হয়ে চুরি করতে গেল। প্রথমেই ফিরে এল বাংলাদেশী চোর।
সে এক কেজি লিচু চুরি করে এনেছে।
সৃষ্টিকর্তা বললেন, আমার সিদ্ধান্ত ছিল, তোমরা যে ফলগুলো চুরি করে আনবে, সেগুলোর ভেতরে যতগুলো বীচি থাকবে তত বছর নরকে থাকার পর তোমরা স্বর্গে যেতে পারবে। অতঃপর এক কেজি লিচুর বীচি গুনে পাওয়া গেল ৬৯টি । ৬৯ বছর নরক ভোগ করার ভয়ে বাংলাদেশী চোরটি হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের চোরটি এক কেজি আপেল নিয়ে হজির হয়েছে।
তার বেলায়ও একই নিয়ম। তাই আপেল কাটা হল এবং বীচি পাওয়া গেল ৪২০টি। কিন্তু কি আশ্চর্য! আফগানিস্তানের চোর ৪২০ বছরের শাস্তির কথা শুনেও কান্না করার বদলে হো হো করে হেসে উঠল।
সৃষ্টিকর্তা বেশ অবাক হয়ে বললেন, কী হল তুমি হাসছ কেন? ৪২০ বছর শাস্তি ভোগ করার পর অনন্ত স্বর্গবাসের কথা ভেবে?
‘আরে না না। সেজন্য না।
’ হাসির ফাঁকে দম নিয়ে আফগানিস্তানের চোর বলল, ‘আসার পথে দেখলাম আমেরিকান চোর এক কাদি বিচি কলা কাঁধে ঝুলিয়ে আনছে।
[নেটগল্প]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।