আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন্স-১

ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
বাংলাদেশে একমাত্র সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপেই প্রবাল পাওয়া যায়। জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই দ্বীপে আছে বহু প্রজাতির শৈবাল, শামুক-ঝিনুক, কড়ি এবং পাথুরে শিলা। এ জন্য সেন্ট মার্টিন্স বাংলাদেশের অন্য সব দ্বীপ থেকে ভিন্ন। গবেষক এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই দ্বীপটি। সেন্ট মার্টিন্সে পর্যটক বেড়েছে।

পর্যটকরা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন সেন্ট মার্টিন্সের প্রবাল। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে বর্তমানে দ্বীপটির জীব বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার।

এ দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত অগণিত শিলাস্তূপ আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের গড় উচ্চতা ৩.৬ মিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর।

ভৌগোলিকভাবে এটি তিনটি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশকে বলা হয় নারিকেল জিনজিরা বা উত্তর পাড়া। দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত একটি সঙ্কীর্ণ লেজের মতো এলাকা। এবং সঙ্কীর্ণতম অংশটি গলাচিপা নামে পরিচিত। দ্বীপের দক্ষিণে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ছোট দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া নামে পরিচিত।

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপটির ভূপ্রকৃতি প্রধানত সমতল। তবে কিছু কিছু বালিয়াড়ি দেখা যায়। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। দ্বীপটির উত্তর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়া দু’জায়গারই প্রায় মাঝখানে জলাভূমি আছে। এগুলো মিঠা পানি সমৃদ্ধ এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক।

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ঝিনুক ৩০০ প্রজাতির, মাছ ১৫০ প্রজাতির, উভচর প্রাণী ৫ প্রজাতির, কচ্ছপ ৫ প্রজাতির, শামুক ৫ প্রজাতির, পাখি ২০০ প্রজাতির এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী পাওয়া যায়। অবশ্য বর্তমানে এ সংখ্যা কমে গেছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত। দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায় তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে।

দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা সেন্ট মার্টিন্স। দ্বীপটির উত্তর অংশে বাজার, লঞ্চ ঘাট, অধিকাংশ বাড়ি এবং আবাসিক হোটেল আছে। দক্ষিণ অংশে ফসলের জমি এবং গাছপালা বেশি। দ্বীপের সবচেয়ে দক্ষিণের অংশটি ছেড়াদিয়া নামে পরিচিত। ভাটার সময় এখানে হেটে যাওয়া যায় কিন্তু জোয়ারের সময় ছেড়াদিয়া যাবার পথ পানিতে ডুবে যায়।

[ছবি: প্রথম দুটো লেখকের তোলা। শেষেরটা গুগল আর্থ থেকে নেয়া] [দুরন্তের পুরনো লেখা]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.