বৃথা হয়রানি
গতকাল আল-বাইয়্যিনাতের কর্মীরা মতিঝিলে বলাকা ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। আজকে পত্রিকায় নিউজটা পড়ে রাজার সেই বানরের গল্পটাই মাথায় এলো। ওই যে ওই গল্প। রাজা প্রতিদিন দরবার ওঠার আগে তার পোষা বানরটাকে একটা করে লাঠির বাড়ি দিতেন। কে একবার যেন বলল, জাঁহাপনা বেয়াদবি যদি না নেন তবে বলি, আপনি কেন প্রতিদিন ওই অবলা প্রাণীটাকে প্রহার করেন।
জীবে দয়া তো ধর্মেরই অঙ্গ।
রাজা মুচকি হেসে বললেন, ঠিক আছে কাল থেকে আর মারব না।
দুদিন পর দরবারে ঢুকে রাজা দেখেন তার সিংহাসনে বসে দুষ্টু বানর কলা খাচ্ছে।
গল্পটার নীতিকথা এই: যেমন কুকুর তেমন মুকুর। এখানে সেক্রিফাইসের কোনো জায়গা নেই।
বর্তমান তত্ত্ববধায়ক সরকার সম্ভবত এই নীতিটা জানেন না। বিমান বন্দরের সামনে বাউল ভাস্কর্য সরিয়ে মৌলবাদীদের যে প্রশ্রয়টা তার দিয়েছে তার পরিণতি বড়োই ভয়ংকর। তার বুঝে গেছে এক বেলা চিৎকার চেঁচামেচি করলেই সরকারের মসনদ কেঁপে ওঠে। তাই তারা বিমান বন্দর থেকে এক লাফে চলে এসেছে মতিঝিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর কতই বা দূর।
এবার দেখার পালা কবে কোন দিন তারা ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাঙতে আসে। ’৭১-এ যা পারেনি এই সুযোগে সেটা করে ফেলে।
বড়ো অফসোস জাগে। ইসলামের সূতিকাগার যে মধ্যপাচ্য সেখানে এখন ভাস্কর্য-স্থাপত্যের ছড়াছড়ি। বিখ্যাত ভাস্কর হেনরি মুরের ভালো ভালো কাজের একটা বড়ো সংগ্রহ দুবাইতে।
যেখানে আরব বেদুইনরা সভ্য হওয়ার চেষ্টা করছে সেখানে সুমহান সিন্ধু সভ্যতার উত্তরাধিকাররা আমরা কি হতে চাচ্ছি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।