আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়কর ফাঁকি

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience

এক বিখ্যাত (!) রাজনৈতিক নেতা কর ফাঁকি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে তার বৈধ-অবৈধ আয়ের গড় পরিমাণ প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু এই বিপুল আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনোই কোন কর দেননি। কাজেই গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হল। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি তাকে অত্যন্ত বিণীতভাবে জিজ্ঞেস করলেন, জনাব , আপনি কি স্বীকার করেন যে, আপনার মাসিক আয় গড়ে দুই লক্ষ টাকা? নেতা বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ অবশ্যই।

আইনজীবি দেখলেন রিমান্ডে গিয়ে আসামীর বোধোদয় হয়েছে - বেশ সোজা পথেই উত্তর দিয়েছ। কাজেই বেশি কথায় না গিয়ে তিনি সরাসরি বললেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে এই বিপুল আয়ের কর দেয়া আপনার উচিত্ ছিল এবং সেটা না দিয়ে আপনি অপরাধ করেছেন এবং সে জন্য আপনার শাস্তি হওয়া উচিত? উকিলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে নেতা এবার বেশ দৃঢ়ভাবে উত্তর দিলেন, না। আমি তা মনে করি না। আইনজীবি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন? আপনি নিজেই স্বীকার করলেন আপনার আয় এত বেশি - অথচ আপনি বলতে চাইছেন সে আয়ের কর না দিয়ে আপনি কোন অপরাধ করেন নি? আসামী এবার আগের বারের মতোই সপ্রতিভ ভাবে জবাব দিলেন, দেখুন আপনারা শুধু আমার আয়ের খোঁজই নিয়েছেন অন্য কিছুর খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নি। আপনারা কি জানেন, আমার মা গত দশ বছর ধরে ক্যানসারে শয্যাশায়ী? তার কেমোথেরাপি চলছে গত তিন বছর ধরে এবং তার প্রতি বছরের হাসপাতালের বিল আমার বার্ষিক আয়ের কত গুণ? আইনজীবি হঠাৎ কি বলবেন বুঝে উঠতে পারলেন না।

কোনমতে আমতা আমতা করে বললেন, মানে আমরা ঠিক ? কিন্তু তার কথা শেষ হওয়ার আগেই আসামী আবার শুরু করলেন, আপনারা কি জানেন আমার ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এবং প্রতিদিন তার পেছনে কত হাজার টাকা খরচ হয়েছ? আইনজীবি আবারও কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু আসামী বলেই চললেন, আপনারা কি এটা জানেন যে আমার একমাত্র ছোট বোনের হাসব্যান্ড গত বছর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে এবং সেই বোন তার ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে পথে বসেছে? আইনজীবি এবার বেশ পরিষ্কার গলাতেই বললেন, আসলে আমিতো এসবের কিছুই জানতাম। আমার মনে হয় আসলেই আপনার ব্যাপারে আরো খোঁজ নেওয়া উচিত্ ছিল আসামী এবার বিচারকের দিকে তাকিয়ে দৃঢ়কন্ঠে বললেন, এখন মাননীয় বিচারক, আমি যদি আমার মা, ভাই, বোন এদের এত দুরবস্থা সত্তে¡ও তাদেরকে একটা পয়সা সাহায্য না দিয়ে থাকতে পারি, তাহলে খামোখা কর দিতে যাব কেন? ইহা একটি নেট ফান এর আক্ষরিক অনুবাদ কিন্তু বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ঈষৎ পরিবর্তিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.