আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাগরিক সেবা - আয়কর

ভালোকিছুর সন্ধানে নিরন্তর হেঁটে চলা পথের এক ক্লান্ত পথিক ... আমি।

আয়কর প্রত্যক্ষ করের মধ্যে আয়কর রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। করদাতার পরিশোধ করার ক্ষমতার উপর আয়কর নির্ধারিত হয়। যে বেশি আয় করবে সে বেশি কর দেবে - এটি আয়কর নির্ধারণের মূলনীতি। এ নীতি সমাজে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করে।

সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর পরিশোধে বাধ্য যদি তার আয় সরকার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে। কর নিরুপণ ও পরিশোধের নিয়মসমূহ বাংলাদেশ কর আইন ও সংশোধনী সমূহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আয়কর দাতা আয়কর রিটার্ন ফরমের মাধ্যমে তার আয়. ব্যয়, সম্পদ ও দায় সংক্রান্ত তথ্য কর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থাকেন। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন ফরম রয়েছে। এর সাথে একজন করদাতা টি.আই.এন. নম্বর ও আরো কিছু সহায়ক তথ্য (বেতন, জামানত, স্থাবর সম্পদের বিবরণ, ব্যবসা, অংশীদারিত্বের আয়, রক্ষিত পুঁজির উপর লাভ, আয়কর) দাখিল করেন।

আয়কর রিটার্ন ফরম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে (http://www.nbr-bd.org26 ) বিনামূল্যে পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর টি.আই.এন. নম্বর সংগ্রহ করতে পারেন। প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতা তার নির্দিষ্ট কর সার্কেলে রিটার্ন ফরম দাখিল করতে পারেন। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ27 , জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের28 মাধ্যমে কর প্রশাসন পরিচালনা করে। করের হার সহ অন্যান্য তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে।

কারা আয়কর রিটার্ণ জমা দিবেন? • যদি কোন ব্যক্তির (মহিলা অথবা সত্তরোর্ধ বয়সের ব্যক্তি ব্যতীত) বার্ষিক আয় ১,৬৫,০০০ টাকার বেশি হয়, • যদি কোন মহিলা অথবা সত্তরোর্ধ বয়সের ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১,৮০,০০০ টাকার বেশি হয়, • বিগত তিন অর্থ বছরের মধ্যে কোন এক অর্থ বছর যদি কোন ব্যক্তির কর নিরূপণ করা হয়ে থাকে, • কোন ব্যক্তি যদি সিটি কর্পোরেশন / পৌরসভা / বিভাগীয় সদর / জেলা সদরে বাস করেন এবং ১৬০০ বর্গফুট এর অধিক ভিত্তি সম্পন্ন একতলার অধিক উচ্চতার বাড়ির মালিক অথবা গাড়ির মালিক অথবা ভ্যাট নিবন্ধিত ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন, • কোন ব্যক্তি যদি একটি টেলিফোনের মালিক হয়ে থাকেন, • কোন ব্যক্তি যদি ট্রেড লাইসেন্সের অধীনে কোন পেশায় থাকেন অথবা ব্যবসা করেন, • কোন ব্যক্তি যদি চিকিৎসক, আইনজীবি, কর পেশাজীবি, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা জরিপকারী হয়ে থাকেন, • কোন ব্যক্তি যদি ব্যবসায়ী সংগঠন অথবা শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্য হয়ে থাকেন, • কোন ব্যক্তি যদি কোন দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন, • কোন ব্যক্তির যদি টি.আই.এন. থাকে, • ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। প্রতি বছর রিটার্ন জমাদানের তারিখ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। রিটার্ণ জমা না দেয়ার শাস্তি: • ন্যূনতম ১০০০ টাকা অথবা নির্ধারিত করের ১০ শতাংশ জরিমানা। • পরবর্তী প্রতিবার ব্যর্থতার জন্য প্রতি বকেয়া দিন ৫০ টাকা করে জরিমানা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.