আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরানো প্রেমে মিসকল দেয় ( প্রেম-১)



প্রেম-১ ছেলেটির নাম আকাশ আর মেয়েটির নাম নদী। আকাশ সদ্য বি.এ পরীক্ষা দিয়েছে। এখনও রেজাল্ট বের হয়নি। আপতত বেকার হলেও সংসারের বোঝা নাহয়ে আয়-রোজগারের চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি কম্পিউটার ফার্মে পার্ট টাইম কাজ করে মাসে কিছু আয় হচ্ছে।

তা দিয়ে নিজের খরচ পরীক্ষার ফি, ইত্যাদি বহন করছে। মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধব নিয়ে সামন্য কিছু খরচও করছে। বেশ ভালই কাটছে আকাশের সময়। এলাকায় ভদ্র ছেলে হিসেবে বেশ পরিচিত। এদিকে নদীর বাবা পুলিশে অফিসার পদে চাকুরী করে।

বদলী হয়ে এই শহরে আসে। এখানে আসার পর খোজ নিয়ে জানে তার এক খালাত ভাই এই শহরে বসবাস করে। অনেক দিন পর্যন্ত যোগাযোগ নেই তা প্রায় ৩২ বছর হবে। নদীর বাবা অনেক চেষ্টা করে তার ভাইকে খুজে েপল। তার হারানো ভাইটি হল আকাশের বাবা।

সেই সুেত্র নদীর বাবা আকাশে বাসায় আসে। ৩২ বছর পর দুই ভাই একত্র হওয়া ওদের পরিবারে খুব আমেজ পরিলক্ষি হচ্ছে। প্রায় দুই তিন বার আসার পর একদিন আকাশের সাথে পরিচয় হয়। নদীর বাবার। পরিচয় পর্বের নদীর বাবা যেন কি ভাবে।

তা আকাশের পরিবার কেউ জানতে পারে না। বেশ কয়েক মাস পর নদীর বাবা ও মা একদিন হঠাৎ আকাশদের বাসায় এসে হাজির। আকাশের মা যথেষ্ট আপ্যয়ন ও মেহমানদারী করছে। তারা এক পর্যয়ে আকাশের জন্য অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে আকাশ বাহির থেকে বাসায় এসে পরিচয় পায় নদীর মা সালাম বিনিময় হয়।

নদীর মা পরম মমতায় আকাশ কে আদর করে বিভিন্ন রকম কথা জিজ্ঞাসা করে। কোথায় পড়া লেখা করছে ইত্যাদি। আকাশও সময় দিচ্ছে এত দিন পর চাচীর সাথে দেখা। নতুন সর্ম্পক স্থাপন হচ্ছে। আকাশও ভাবছে জীবনটা আসলেই বিচিত্র কত দিন পর আপন খালাত দুই ভাই মিলিত হয়েছে।

অথচ এর আগে এদের কোন যোগাযোগ ছিল না। অবশ্য আকাশের বাবা সিনিয়র তাতে কি। দুই ভাইয়ের বয়স খুব বেশি পার্থক্য হবে না। আকাশের ভাইবোন রা অনেক নদীরা মাত্র এক ভাই দুই বোন। সব জেনেছে আকাশ চাচীর কাছ থেকে।

চাচী বিদায় নিয়ে পুলিশ অফিসার স্টাফ কোয়াটারে উঠছে। আকাশদের বাসা থেকে খুব বেশি দুরে নয়। প্রায় ১কিলোর মত। একদিন বিকাল বেলা আকাশকে খরব দিয়েছে চাচী দেখা করার জন্য। আকাশ চাচীর সাথে দেখা করতে গেলে চাচী রাতে খাইয়ে তার পর ছেরেছে।

আকাশকে চাচী অতিরিক্ত ভালবেসেছে কি জন্য আকাশ তা কিছুটা আচ করতে পেরেছে। পাত্র হিসেবে আকাশ খারাপ না এটা আকাশ ভাল ভাবে জানে। তবে ওভাবে কখন ভাবেনি। আর বিয়ের চিন্তা মাথায় আসেনি। সারাক্ষন ভাবনা ভাল চাকুরী করবে।

পরিবারকে উন্নতি করবে। নদী এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিবে। বেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাচী বিদায় নিয়ে গ্রামে ফিরে গেল। আকাশ তার নিজস্ব গতিতে চলছে।

আকাশে বাবা নদীর বাবার যোগাযোগ বেশ ভালই উন্নতি হয়েছে। ডিউটিতে যাওয়ার সময়। গাড়ী থামিয়ে আকাশের মার সাথে দেখা করে সালাম বিনিময় করে যায় নদীর বাবা। সম্পর্ক এখন অনেকটা গভীর। নদীর মা আবার বেড়াতে এসেছে।

এবার উদ্দেশ্যে আকাশের মাকে বেড়াতে নিয়ে যাবে। এমন ভাবে অনুরোধ করছে পারলে সাথে করে নিয়ে যায় এখুনি। কিন্ত আকাশের মার মনে সন্দেহর দানা বাধছে। কেন এত বেশি খ্যাতির করছে। নদীর মার দাবী তার শ্বাশুরী অর্থাৎ নদীর দাদী তাদের দুই ভাইকে এক সাথে দেখতে চাচ্ছে।

বয়স্ক মহিলা বলা তো যায় না কখন কি? হয়ে যায়। তাই যত তারা তারী সম্ভব দেখা হওয়াই ভাল ওনার যুক্তি এতদিন পর ভাই ভাইকে ফিরে পেয়েছে। তাই তাদের বাড়ীতে যেতেই হবে। আকাশে মা সময় নিল। এবং ওনার সন্দের বিষয় হালকা খোজ খবর নিল।

ওনাদের কে আগামী মাসে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিল। এদিকে আকাশের একমাত্র দুলাভাইকে খবর পাঠালো আকাশের মা। ওনি আসলে বিস্তারিত সব খুলে বললো। এবং বেড়াতে যাওয়ার তারিখও ঠিক করলো। এসব আলোচনা আকাশ কিছু কিছু শুনছে।

মনে মনে ভাবছে যাক চাচাতো বোন হয়ত ভালই হবে। চলবে.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।