Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
১
এক ঘরোয়া সমাবেশে এক নেতা দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা করলেন। একদিকে নেতা তুমুল উৎসাহে দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা করে যাচ্ছেন আর অন্যদিকে শ্রোতারা তার একঘেয়ে বক্তৃতা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। সমাবেশে উপস্থিত প্রতিটি মানুষের কাছে বিষয়টি যখন বিরক্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তখন বিষয়টি নেতার খেয়ালে এলো। তিনি তড়িঘড়ি করে বক্তৃতাটা শেষ করে বললেন ‘দুঃখিত, আসলে আমার হাতে ঘড়ি নেই তো। তাই সময়টা লক্ষ্য করতে পারিনি।
’
পেছন থেকে এক বিরক্ত শ্রোতা জবাব দিলেন, ঘড়ি নেই তো কি হয়েছে? দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারটা তো ছিল। ’
২.
সোভিয়েত ইউনিয়নে তখন কমিউনিস্ট শাসন চলছে। এমন অবস্থায় সোভিয়েত ইউনিয়নের স্কুল পরিদর্শনে এসেছেন প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্টালিন স্বয়ং। ক্লাস ফাইভে ঢুকে তিনি একজন ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার পিতা কে?’ ছেলেটিকে আগেই সব শেখানো ছিল তাই সে তাড়াতাড়ি উত্তর দিল
‘কমরেড স্টালিন, স্যার। তিনি আমাদের সবার পিতা।
’
স্টালিন মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে তুলে ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এরপর পাশেই আরেক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন,
‘তোমার মা কে?’
‘এই দেশ আমাদের মা। এই দেশ আমাদের সবার মা। ’
স্টালিনের মুখে এবারও হাসি ফুটল। এবার তিনি ক্লাসের শেষের দিককার বেঞ্চে বসা এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন ‘বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ইয়াংম্যান?’ ছেলেটি উত্তর দিল ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এতিম হয়ে যেতে চাই স্যার!’
৩.
প্রধানমন্ত্রী গেছেন এক গাড়ি প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে।
প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে খুবই উৎফুল¬। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একটি দামি গাড়ি গিফট করতে চাইলেন। প্রধানমন্ত্রী বিব্রত হয়ে বললেন, ‘না, আমি বিনে পয়সায় কিছু নিতে পারি না। এতে করে দুর্নীতি প্রশ্রয় পাবে। ’ উদ্যোক্তা বললেন, ‘তাহলে আপনি গাড়ির দাম বাবদ আমাকে দশটি টাকা দিন।
’ প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘গ্রেট আইডিয়া। তাহলে আমাকে পাঁচটি গাড়ি দিন। ’
৪.
এই বলে তিনি একটি পঞ্চাশ টাকার নোট এগিয়ে দিলেন।
দিলি¬ ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাসে কোন রসিক যাত্রীর লেখা মন্তব্য
‘আনা ফ্রি
জানা ফ্রি
পাকড়ে গেলে
খানা ফ্রি। ’
(যাওয়া আসা বিনা পয়সায়, ধরা পড়লে খাওয়াও মাগনা)
৫.
এক গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন কমিশন এক যৌথ নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছে।
সেখানে সব ক’জন প্রার্থী তাদের নিজ নিজ কর্মসূচি বর্ণনা করবেন যাতে করে ভোটাররা এক সঙ্গে সবার বক্তব্য শুনে সহজে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যথাসময়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হল। ৭ জনের প্রত্যেক প্রার্থীই গলা ঝাঁকিয়ে মুখে মধু ঢেলে নিজ নিজ প্রতিশ্র“তির কথা শোনালেন। সভা শেষ হওয়ার পর দেখা গেল, শ্রোতাদের মাঝখান থেকে একজন উচ্চস্বরে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে, ‘ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ, তুমি গণতন্ত্রের মতো একটি চমৎকার জিনিস আমাদের দিয়েছ। ’ শ্রোতার এ রকম কথা শুনে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা চমৎকৃত হয়ে জানতে চাইলেন, ‘আপনি গণতন্ত্রের এত ভক্ত কেন?’ জবাব এলো, ‘এই মাত্র আমি বুঝতে পারলাম, একমাত্র গণতন্ত্র আছে বলেই অন্তত, ৬ জন মিথ্যুককে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে পারব।
নির্বাচিত হবে মাত্র একজন। ’
৬.
দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়ে কথা বলছেন, ব্রিটেন ও ভারতের দুই রাজনৈতিক কর্মী।
ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্মী বলেন, ‘গত বছর আমি দলের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে আমাদের এক কর্মিসভায় বক্তৃতা দেই। আমি বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও মূল্য দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম মাসে আমি কোন উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় মাসেও আমি তেমন কোন উন্নতি দেখলাম না, তবে আমি আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখলাম।
তৃতীয় মাসে দেখা গেল, পার্টির বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের কথাও কিছু কিছু শোনা হচ্ছে।
এবার ভারতীয় কর্মীর পালা। তিনি বললেন, গত বছর আমিও আমাদের পার্টির এক কর্মী সমাবেশের বক্তব্য রাখি। কর্মিসভায় সিনিয়র নেতাদের সামনে আমিও আপনার মতোই জোর গলায় বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম দিন আমি কিছু দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও আমি কিছু দেখলাম না, তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি।
ডান চোখটা তখনও মেলতে পারছিলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।