Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
১
চাঁদে মানুষের পদচিহ্ন বিষয়টি নিয়ে বান্তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার এক বিজ্ঞানী বন্ধুর।
বান্তা : চাঁদে মানুষের পা রাখা এটা আর এমন কি ব্যাপার, এটা যে কেউ যেতে পারে। আমরা শিখরা সূর্যে গিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেব।
বন্ধু : কিন্তু তুমি কি জান, সূর্যের যা তাপ তাতে সূর্য থেকে ১৪ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকতেই তুমি গলে যাবে।
বান্তা : এটা কি আর তেমন কোন সমস্যা! আমরা রাতে যাব।
২
প্রশ্ন : কোন সরদারকে কিভাবে ভড়কে দেয়া যায়?
উত্তর : তাকে বৃত্তের কোণ (angle) খুঁজে বের করতে বলে।
প্রশ্ন : সে কিভাবে আমাদের ভড়কে দিতে পারে?
উত্তর : ওই বৃত্তের কোণ বের করে।
৩
বান্তা সিং একবার লটারির টিকিট কিনে জিতেছে। নির্দিষ্ট দিনে পুরস্কারের টাকা নিতে লটারি অফিসে গেল সে। লটারি অফিসের স্মার্ট কর্মকর্তাটি খুব বিনীতভাবে বান্তা সিংকে বুঝিয়ে বললেন, ‘আপনি এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন।
তো এবার আমাদের নিয়মানুযায়ী সরকারের ট্যাক্স পরিশোধ করে আপনাকে পুরো টাকাটা নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আপনাকে ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছি। এ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করে ছাড়পত্র এনে দেখালেই আমরা বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেব। ’
বান্তা : না, আমি লটারি জিতেছি। কাজেই টাকাটা এখন আমার।
আমি আমার সব টাকা এখনই চাই। লটারি অফিসের অফিসারটি এবার আরও বিনীতভাবে বান্তা সিংকে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললেন।
কিন্তু বান্তা সিং এটা মানতেই নারাজ। এরপর অফিসারটি আবার বোঝানোর চেষ্টা করতেই বান্তা সিং রেগে চিৎকার করে বলল, ‘দ্যাখো আমাকে আর বেশি বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আমার পুরো এক কোটি টাকা আমি এখনই চাই।
আর তা যদি না দাও তাহলে এ নাও তোমাদের টিকিট। আমাকে টিকিটের দশ টাকা ফেরত দাও। ’
৪
মাঝরাতে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল বান্তা সিংয়েরঃ ওঠে সে ফোন রিসিভ করল : ‘হ্যালোঃ’
অপর প্রান্তে : এটা কি দুইঃ চারঃ চারঃ একঃ একঃ তিনঃ নয়?
বান্তা : (রাগতস্বরেঃ) না এটা চব্বিশঃ একচল্লিশঃ তেরঃ নয়ঃ।
অপর প্রান্ত : তাহলে রং নাম্বার। এত রাতে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।
বান্তা : (এবার কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে) না না ঠিক আছে। আপনার আগে আরও তেরজন একই ভুল করেছে।
৫
বান্তা সিং একবার রাশিয়া ভ্রমণে গিয়েছিল। সেখানে বিমান ভ্রমণের সময় তার সঙ্গে দেখা হল গ্যারি কাসপারভের। সময় কাটানোর জন্য কাসপারভ বান্তাকে দাবা খেলার প্রস্তাব করল।
কাসপারভের প্রস্তাবে বান্তা বলল : ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কাসপারভ, তুমি ভেবেছ আমি তোমাকে চিনিনি? আমি কিভাবে তোমার সঙ্গে দাবায় পারব?
এ কথা বলার পর কাসপারভ চুপ হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর বান্তা নিজেই প্রস্তাব দিল, ‘ঠিক আছে। তুমি যদি বাম হাতে খেল তাহলে আমি তোমার সঙ্গে দাবা খেলতে পারি। ’ এরপর যথারীতি অল্প কয়েক চালের মাথায় কাসপারভের সঙ্গে গেমে হেরে গেলেন বান্তা সিং। আর এই হেরে যাওয়ার দুঃখে সফরের বাকি সময়টাতে বান্তা সিংয়ের মন খুব খারাপ হয়ে থাকল।
এরপর দেশে ফিরেই দিল্লি এয়ারপোর্টে নেমেই দেখা হল বন্ধু সান্তা সিংয়ের সঙ্গে। সান্তা তাকে দেখেই তার মন খারাপের কারণ জানতে চাইল। বান্তা তাকে আদ্যোপান্ত সব জানাল। শুনে সান্তা বললÑ
: আরে, উল্লু কা পাঁঠা! কাসপারভ তো তোমাকে বিরাট বোকা বানিয়েছে। তুমি কি জান নাঃ কাসপারভ বাঁহাতি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।