ফালতু কথার কারবারি
মনের স্থিরতা লাভের জন্য আজকাল কত পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। অথচ আজ থেকে চৌদ্দশ' বছর আগে মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের রীতি চালু করে গেছেন। যে নামাজ আদায়ে মানুষ লাভ করে মানসিক প্রশান্তি। মানবজীবনে নামাজের গুরুত্ব ও উপকারিতা ব্যাপক হলেও অনেকেরই অভিযোগ নামাজে মন স্থির থাকে না। নামাজে মনের স্থিরতা লাভের উপায় হিসেবে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হল-
নামাজে দাঁড়ানোর পর ভ্রু-যুগলের মধ্যে কাবা শরিফ, পদদ্বয়ের মধ্যে পুলছিরাত, ডান দিকে জান্নাত, বাম দিকে জাহান্নাম এবং আজরাঈল (আ.) পেছনে উপস্থিত ভেবে জীবনের শেষ নামাজ মনে করলেই অনেকটা উপকার পেতে পারি। এছাড়া চোখের চিত্ত-চাঞ্চল্য হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজে দাঁড়িয়ে সেজদার স্থানে, রুকুকালে পদদ্বয়ের দিকে, সেজদাকালে নাসিকাদ্বয়ের দিকে, উপবেশনকালে কোলের দিকে ও সালামকালে দুই স্কন্ধের দিকে দৃঢ়রূপে দৃষ্টিপাত করলে মনের স্থিরতা লাভ সম্ভব। এত সূক্ষ্ম পদ্ধতি অবলম্বনেও যদি মনে একাগ্রতা না আসে, তবে আজান দেয়াকে কিয়ামতে ইসরাফিল (আ.)-এর সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া, আজান শুনে মসজিদ পানে ছুটে চলা মানে কিয়ামতে কবরস্থান ভেদ করে হাশরের মাঠ পানে চলা, জামাতে কাতারবদ্ধ হওয়া মানে হাশরের মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো, নাভির নিচে হাত রেখে দাঁড়ানো মানে হাশরের মাঠে সর্বশক্তিমান আল্লাহপাকের সামনে হিসাব প্রদানের জন্য বিনীতভাবে দাঁড়ানো; রুকু করা মানে হিসাব দিতে অপারগ হয়ে শির নত করা, সেজদাহ মানে হিসাব প্রদানে অক্ষম হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপাতিত হওয়া, ডান দিকে সালাম দেয়া মানে হাশরের মাঠে নবী করিম (সা.) ও অলী আল্লাহর কাছে সুপারিশ প্রার্থনা হয়ে সালাম দেয়া; বাম দিকে সালাম দেয়া মানে আত্মীয়স্বজনের কাছে সওয়াব প্রাপ্তির আশায় সালাম দেয়া এবং মোনাজাতকালে হাতদ্বয় উত্তোলন করা মানে পরম করুণাময়ের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করা বুঝতে পারি। আর এভাবেই হুজুরি কালবের সালাত বা নামাজ আদায় করা সম্ভব হতে পারে।
ফয়জুল আল-আমীন
কপি-পেস্টের উৎস: দৈনিক যুগান্তর (১৪.১১.০৮ ইং)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।