নামাজে মনোযোগী হবার একটি পদ্ধতি।
আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে,
এর থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে হলে আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের মতো না পড়ে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম তাহলে এইরকম হত না ....
আজ আপনাদেরকে কিভাবে সুরা ফাতিহাতে মনোযোগ রাখবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব ।
আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ...
পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে হবে।
হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এই প্রেমময় জওয়াব অনুভব করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ, একাগ্রতা, উপভোগ ও অনুভবের সাথে সাথে নামাজ পরতে হবে ।
***হাদীসটি নিম্নরূপ :
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি :
>>>> আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি।
আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে।
বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। ”
অর্থ :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল
সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
তখন আল্লাহ বলেন , “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।
”
যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির রাহীম”।
অর্থ :যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
তখন আল্লাহ বলেন আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”
যখন বান্দাহ বলে “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ”
অর্থ :যিনি বিচার দিনের মালিক।
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল”
যখন বান্দাহ বলে, “ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন
অর্থ :আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল ।
আর আমার বান্দাহর জন্য তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার
বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।
যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন”
অর্থ :আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। "
তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর
জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।