::::: দেখবো এবার জগতটাকে :::::
আগামী কাল সকালে আমি বাড়ী থেকে পালাবো। দুই দিনের জন্যে। সবার দোয়া চাই।
পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নাই। বাড়িতে খুব বেশি উতপাত করতেছে।
অনেক দিন আগে থেকেই বলে রাখছিলাম ১২ তারিখ রাস পুর্নীমা। আমি ঐ রাতে দুবলার চরে যাব। গত মাসের ট্রেকিং এর পরে পাইখংপাড়া থেকে লালতুয়ার ছেং বম নামের একজন স্কুল টিচার শুধু মাত্র বমদের চন্দ্র উৎসবের দাওয়াত দিতে পাইখং পাড়া থেকে রোয়াংছড়ি বাজারে এসে আমাকে ফোন করছিল। তার দাওয়াত ফিরিয়ে দিতে কষ্ট লাগছে। কারনে ৮৫ কিলোমিটার হেটে জঙ্গলে ট্রেকিং করে চন্দ্রউৎসবে যাওয়ার জন্যে দল তৈরি করতে পারি নাই।
কিন্তু সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস উৎসবের কথা অনেক শুনেছি। ওখানে যাবার ইচ্ছে খুব বেশি। আর কুয়াকাটাও খারাপ হবার না। সমুদ্র আর ম্যানগ্রোভ দুটাই আছে তো।
বাসায় টের পেয়ে আমার উপরে কড়া নজর দারী করছে।
আমি আমার বাবাকে মোটামুটি ম্যানেজ করছিলাম। এক ফ্রেন্ডও সাথে যাবার জন্যে লাফাচ্ছে। কিন্তু মা কে কিছুতেই ম্যানেজ করতে পারলাম না। গত মাসে ট্রেকিং থেকে ফেরার পরে চামড়ার কাটাকুটি গুলা লুকাতে পারি নাই। আর আমি বেকুবের মত জঙ্গলের মধ্যে সাপ আর বন্য গরুর ছবি গুলা আমার মাকে দেখাইছিলাম।
আম্মু চিল্লাইতেছে। প্রতি মাসে যাওয়া যাবেনা। আজকে দেখলাম আমার ব্যাকপ্যাকটা নিখোজ। মনে হয় লুকায়া রাখছে। চিন্তা নাই।
২দিনে কয়টা আর কাপড় লাগবে? কান্ধে ঝুলানোর মত কিছু হইলেই হয়। টাকা পয়সাও রেডি আছে। ইনশাল্লাহ কালকে ১১টার পরে আমি ফুরুত। কুয়াকাটা কিংবা দুবলার চর এইবারের মত স্থগিত। সাম হোয়ার ব্লগে কুঙ্গ থাঙ্গ ভাই একটা ব্লগ লিখেছেন মনিপুরীদের রাস পূর্নীমা নিয়ে।
আমি আসিতেছি।
আমার জন্যে দোয়া কইরেন সবাই। কালকে যেন কোন গেঞ্জাম ছাড়াই বের হইতে পারি।
(বুদ্ধ পূর্নীমার রাতে, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে চাঁদ, মোবাইল ক্যামেরায় তোলা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।