আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুয়াখাইল্যা হেরেম (গ্রামের বিয়ে)

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা আর কত কাল আমি রব দিশাহারা জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা এ জীবন সারা কারা যেন ভালবেসে আলো জ্বেলেছিলো সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়ছিলো নিজের ছায়ার পিছে ঘুরে ঘুরে মরি মিছে একদিন চেয়ে দেখি আমি তুমিহারা আমি তুমিহারা আমি পথ খুঁজি নাকো পথ মোরে খোঁজে মন যা বোঝে না বুঝে, না বুঝে তা বোঝে আমার চতুরপাশে সব কিছু যায় আসে আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা আর কত কাল আমি রব দিশাহারা জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা এ জীবন সারা (ধন্যবাদান্তে বিষাক্ত মানুষ) গান প্রায় শেষের পথে, তবে আমি মাঝে মধ্য লাইন ভুলে গিয়ে উল্টা পাল্টা লাইন মেরে দিয়েছিলাম। গান এবার শেষ। জামান সাহেব তালি দিয়ে যাচ্ছে। লেখক শুধু বর আর কনের দিকে চেয়ে আছে। তাদের দুজনের মুখের হাসি যেনো বাধঁ বাধঁছে না।

রাত ১০টা। কাল বিয়ে বৌভাত সব একসাথে। তাই বরকে চলে যেতে হলো। আমরা সবাই খাবারের জন্য প্রস্তুত হলাম। খাবারের আগে একটা সিগারেট ধরালাম, টানতে টানতে পুকুরের দিকে গেলাম।

পুকুর পাড়ে বসে সিগারেট টানতে থাকলাম, হঠাৎ পানির শব্দ ভয় পেয়ে গেলাম। নীচে তাকিয়ে দেখি একটা ছায়া উঠে আসছে। আরো ভয় পেলাম। কাছাকছি আসতেই দেখি লাবণ্য। এই আধোআলোতে তার মুখটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।

এতো রাতে এখানে তার আসাটা একটু অবাক হলাম। গান গাইবার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানালো। সিগারেটটা নাকি অনেক বেশি খাই। বললাম আসলে একাকী থাকার কারনে সিগারেট বেশি খাওয়া পড়ে। প্রশ্ন ছুড়ে মারলো জীবনে কেউ নেই নাকি? বললাম আরে না আমাকে আবার কে ভালোবাসবে।

মনে মনে অবাক হচ্ছিলাম কখনোই ভাবি নাই লাবণ্যর সাথে এভাবে কথা হবে। দুজনে ঠিক মুখোমুখি বসে আছি। গাছের ফাঁকের আলোটা ঠিক তার মুখে এসে পড়ছে। আমাকে মনে হয় দেখা যাচ্ছে না। ও মাথা নীচু করে তাকিয়ে আছে।

ফোন বাজলো। জামান সাহেব ফোন করলেন। খেতে আসতে বললেন। আসলে লাবণ্যর সাথ ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে অনেক জমানো কথা ওর সাথে আজ শেষ করবো।

কিন্তু হলো না। লাবণ্য নিজেই বিদায় নিয়ে চলে গেলো। আমিও আসলাম খেতে। বিরিয়ানী খেলাম। কাল সকালে আবার অনুষ্ঠানে যেতে হবে তাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলাম।

জামান সাহেব এসে হাজির। সাথে একটা ছেলে, পরিচয় করিয়ে দিলেন মামাতো ভাই বলে। নাম বলার আগেই আমি নামটা বললাম, দুজনেই অবাক। জামান সাহেব বললেন আপনি ওকে চিনেন নাকি? আসলে ছেলেটার নাম বাবু, কুষ্টিয়ায় যাবার সময় বাসে পরিচয় হয়েছিলো। খুব ভালো ছবি তুলে।

কাহিনী বলার পর ছেলেটি অবাক। আমাকে ভালো করে দেখতে লাগলো। আরে আপনার না দাড়ি ছিলো! জামান সাহেব হাসতে লাগলেন। ছেলেটির নাম বাবু। বয়স অল্প নিজেকে ফটোগ্রাফার বলে দাবী করে, সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারে।

রাতে বাবুর সাথে আড্ডা দিলাম। ওর ক্যামেরায় কিছু অসাধারন ছবি দেখলাম। সকাল হতে না হতেই জামান সাহেব হাজির। বরের বাড়ি যেতে হবে বলে রেডি হতে বললেন। বাবু তখনো ঘুম।

ওকে ডেকে উঠালাম। রেডি হয়ে তিনজন মটরসাইকেলে রওয়ানা দিলাম। ওদিকে বাড়ীর সবাই কনে সহ বরের বাড়ী চলে গেছে খুব সকালে। বরের বাড়ী বেশি দুর নয়। হুন্ডা চালাচ্ছে জামান সাহেব, একটু পথ যেতেই বললাম জামান সাহেব গিটারটা নিয়ে নিলে কেমন হয়।

জামান সাহেব আবার হুন্ডা ফিরিয়ে বাড়ী এলেন। তাড়াতাড়ি গিটারটা নিলাম। আবার রওয়ানা দিলাম। পথে যেতে যেতে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখলাম। বাবু একটু পর পর থামতে বলে আর দৃশ্যর ছবি তুলে।

আধা ঘন্টা পর বরের বাড়ী আসলাম। সব কিছু দেখলাম একদম সাজানো। স্টেজ তৈরী, গেট তৈরি, খাবারের প্যান্ডেল তৈরি। লোক ভরা। প্রায় ৫০০শ লোক হবে।

জামান সাহেব সহো ভিতরে গেলাম। সেখানে সবাই কনেকে সাজাতে ব্যস্ত। লাবণ্যকে দেখতে পেলাম না। বাবু ছবি তোলা শুরু করলো। আমি ওর সাথে দাড়িয়ে রইলাম।

জামান সাহেব ব্যস্ত হয়ে গেলেন। ওদিকে বাবুও ব্যস্ত ছবি তোলাতে আর সবার সাথে কথা বলাতে। আমি একটু একাকী হয়ে গেলাম। সুযোগ পেয়ে বের হয়ে আসলাম। সিগারেটের প্যাকেটটা খুলে সিগারেট ধরালাম।

গ্রামটা সুন্দর। মোবাইলটা বের করে কয়টা ছবি তুললাম। সুন্দর একটা মসজিদ দেখলাম। ছবি তুলে নিলাম। একা একা হাটতে হাটতে একটা দোকানে এসে পৌছালাম।

দোকানদার বসে বসে সুপারি কাটছে। আমাকে দেখে হাসি দিলো। চা দিতে বললাম। বিয়েতে এসেছি কিনা জানতে চাইলো। বললাম হ্যা।

কোন পক্ষের সেটা জানতে চায়নি। মুরব্বী দেখে সিগারেট ধরানোর সাহস পেলাম না। মুরব্বী দেখলাম নিজের পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে দিলেন। অবাক হলাম। দুজনে সিগারেট টানতে লাগলাম।

দোকানীর নাম আলী। দুবাই ছিলেন প্রায় একযুগ। কিন্তু দেশের সম্পত্তি দেখার কেউ নেই দেখে চলে এসেছেন। বরের রিলেটিভ হয়। আরেক কাপ চা দিলেন।

প্রশ্ন করলাম কেনো উনি এতো কিছু থাকতে এই চা দোকান দিয়েছেন? বললেন জমি জায়গা দেখতে হয়, তাছাড়া দুরে কোথাও দোকান দিলে বা কিছু না করলে উনার ভালো লাগবে না, কারন উনি কাজ করতে পছণ্দ করেন। আর দোকানটা বেশ বড়ো প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে, চাল, ডাল, আলু পেয়াজ আরো অনেক কিছু। একটা কর্মচারী আছে। নামাজে গেছে তাই তিনি দোকানে একা। বেশ অনেকক্ষন আড্ডা দিলাম।

ফোন বাজলো। নাম্বার চিনি না। তাই ধরলাম না। দুবার ফোন দিলো কিন্তু ধরলাম না। আলী ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার হাটতে লাগলাম।

দুর থেকে দেখলাম কাশেম রিক্সা করে আসছে। আমাকে দেখেই সালাম দিলো। রিক্সায় উঠতে বললো। কাশেম ওদের বাড়ী যাচ্ছে। আমাকে যেতে বললো।

না করলাম না। ওদের বাড়ী বরের বাড়ী থেকে একটু দুরে। ওদের বাড়ী পৌছালাম। ওর মায়ের সাথে দেখা হলো। কাশেমের বাবা নেই।

আমাকে দেখতেই বসতে দিলেন। ঘোমটা টেনে মহিলা নাম জিগ্গাস করলেন। আরো নানা কথা। একটা মেয়ে নাস্তা নিয়ে আসলো। বয়স ১০ কি ১২ হবে।

সালাম দিলো। এটা কাশেমের বোন। নাম শিউলি ক্লাস ফাইভে পড়ে। কাশেম কি যেনো কাজে এসেছে। কিছুক্ষন পর বিদায় নিয়ে কাশেম আর আমি আবার রিক্সায় উঠলাম।

কাশেম তাদের বাড়ী যাবার জন্য ধন্যবাদ দিলো। ছেলেটা ভালো, সাফ মনের মানুষ। আবারো ফোন। এবার জামান সাহেব। সালাম দিলাম।

কিন্তু না এটা বাবু। বললো কোথায় আমি? সবাই নাকি খুজতেছে। মনে মনে একটু চিন্তিত হলাম। বললাম আসতেছি। রিক্সায় করে যাবার পথে কাশেম তার বাবার কবর দেখালো।

বরের বাড়ী পৌছাতে পৌছাতে দুপুর ১টা। এর মধ্য সকল আয়োজন প্রায় শুরু। কাজী সাহেব চলে এসেছেন। বর কনে সব প্রস্তুত। খাবারের পালা।

কেমন জানি খেতে ইচ্ছা হচ্ছে না। এর মধ্য বাবু এসে ঝাড়ি মারলো ওর ফোন না ধরার কারনে, আর কাউকে না বলে কোথায় গেছি এ কারনেও জামান সাহেবের কাছ থেকে একটা ঝাড়ি খেলাম। জোর করে খাবার খেতে নিয়ে গেলো। মনটা সায় দিচ্ছিলো না। কেমন জানি লাগছিলো।

হঠাৎ করে বাবুর ডাক পড়লো। বাবু চলে গেলো। আলী ভাইয়ের সাথে দেখা। আলী ভাই ডাকলেন খেতে। উনার সাথে খেতে গেলাম।

খাওয়ার অনিচ্ছা জানালাম। তিনি আমাকে নিয়ে খাবার টেবিল ছেড়ে বাইরে আসলেন। কিছুদুর গিয়ে একটা পুকুর সেখানে মাথা ধুতে বললেন। মাথা ধুইলাম। এর পর একটা গ্যাস্টিকের ওষুধ দিলো।

এরপর ছায়াতে বসতে বললেন। কিছুক্ষন যাবার পর ভালো লাগছিলো। উল্টা পাল্টা অনেক জায়গায় খাবার কারনে এমন হয়েছে বললো। যাই হোক আবার খাবার টেবিলে গেলাম। খেলাম।

খাওয়ার পর আলী ভাই সহো একটা সিগারেট ধরালাম। উনার বাসায় যেতে বললো। না করলাম না। আলী ভাইয়ের বাসাটা অনেক বড়ো। বিশাল উঠান।

পাকা দালানের বাড়ী। উনার ঘরে নিয়ে গেলেন। একটু রেষ্ট করলাম। বিকাল চারটা। আলী ভাই সহো উনার দোকানে গেলাম।

জামান সাহেব ফোন করলেন। খাবার খেয়েছি কিনা প্রশ্ন করলেন। এখনি বিয়ে পড়ানো হবে তাই আসতে বললেন। আলী ভাই সহো আসলাম। সবার খাবার দাবার প্রায় শেষ।

কাজী সাহেব জোরে জোরে ছুরা পড়তে লাগলেন। তার পর দোয়া শুরু করলেন। প্রায় ৮মিনিটের দীর্ঘ দোয়ায় সবাই শামিল হলেন। পরে বর সবাইকে উঠে একটা সালাম দিলেন। প্রায় অর্ধেক মেহমান চলে গেছে।

শুধু কনের বাড়ীর লোকজন আর বরের বাড়ীর সবাই আছে। বর কনে কে একসাথে বসানো হয়েছে। সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। পরিচয় পর্ব দীর্ঘ। বাবু সমানে ছবি তুলে যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে আমার দিকে ক্যামেরা আনলেই আমি পালাতাম। আলী ভাই বিদায় নিয়ে দোকানে চলে গেছে। সন্ধ্যা হলো। সবাই নামাজের বিরতিতে গেছে। এত দীর্ঘ সময় পর লাবণ্যকে দেখলাম।

শাড়ী পড়া চুল খোলা তাতে আবার একটা ফুল লাগিয়েছে। সারাক্ষন বরকে বিরক্ত করে যাচ্ছে। জামান সাহেবের দেখা নাই। কাশেম আসলো, বললো জামান সাহেব আমাকে ভিতরে ডাকছে। ভিতরে গেলাম।

সেখানে জামান সাহেব দুটো লোকের সাথে কথা বলছে। পরিচয় করিয়ে দিলো। জামান সাহেবের বন্ধুর বাবা ও ভাই। তারাও আমেরিকা থাকে। বন্ধুর ভাই ডাক্তারি পাশ করে এসেছে।

আমেরিকায় বড়ো হয়েছে। বাংলা বলতে পারে না যা পারে তা খাঁটি নোয়াখালীর ভাষা। তারা জামান সাহেবকে তাদের বাসায় যাবার নিমন্ত্রন দিয়ে বিদায় নিলেন। জামান সাহেব বিদায় দিয়ে আমাকে নিয়ে পাশে সিগারেট টানতে গেলেন। খুব খুশি দেখলাম।

প্রশ্ন করতেই বললো যাদের দেখেছেন তারা খুব ভালো মানুষ, আমার বন্ধুর বাবা, আর ওর ভাই ও খুব ভালো, ডাক্তার। আমার শালীর ব্যাপারে কথা বললাম। ওরা পছন্দ করেছে। আর ওদের বাসায় গিয়ে কথা পাকা করতে বলেছে। কথা গুলো শুনার সাথে সাথেই কেমন জানি হয়ে গেলাম।

মন মানতে চাইছিলো না। কিন্তু জামান সাহেবের মুখের দিকে চেয়ে উনার সাথে সাঁয় দিয়ে গেলাম। নামাজ বিরতি পরে সবাই বর কনের সাথে সময় কাটানোর জন্য বসলো। লাবণ্য কে কেনো জানি এখন অনেক ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু আমি নিরুপায় জামান সাহেবের এই আদর, উনার পরিবারের আপ্যায়ন, সকলের ভালোবাসার কাছে কেমন জানি আমি বিমর্ষ হয়ে গিয়েছি।

লাবণ্যকে দেখলাম, বেশ হাসি খুশি, বাবুকে বার বার ছবি তুলতে বলছে। মনে মনে স্থির করলাম না এখানে আর নয় এভাবে নিজের অজানা ভালবাসাকে দাবিয়ে পিছু হাটা টাই ভালো। কেউ জানবে না, বুঝবে না। বাবু কোথা থেকে জানি একটা থলি নিয়ে আসলো, সেখান থেকে সবাইকে একটা করে চিরকুট তুলতে বললো। সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে তুললো।

কারো ভাগ্যয় নাচ, কবিতা, নাটক বা গান পড়লো। সবাই যার যার সাধ্যমতো করলো। বাবু থলিটা আমার সামতে আনতেই ওকে চলে যেতে বললাম, কিন্তু হতছাড়া যায় না, জামান সাহেব ও বললেন একটা তুলতে। সবার দিকে চেয়ে একটা উঠালাম, ভাগ্য এমনি খারাপ আবারো গান পড়লো। আমি সবার দিকে তাকিয়ে বললাম আমি পারবো না।

কিন্তু কেউ রাজি নয়, গান করতেই হবে। বাধ্য হয়ে গিটারটা বের করে আবার পুরনো গানটা করবো ভাবছিলাম। কিন্তু লাবণ্য বললো নতুন গান শুনাতে হবে, না বলে অপারগতা জানালাম, কিন্তু সবাই বললো কোনো নতুন গান শুনাতে হবে। না বলার পর ও কেউ মানে না। তাই বাধ্য হয়ে আমার লেখা একটা গান যা এক বন্ধু সুর করে দিয়েছিলো তাই শুনালাম আমি নাই খুলিলাম তালা চাবি মনের দরজা খুলিলাম কার বিহনে যাবে মন খুজে আমার পাগল মন।

। সখি আমার বাক্য শুনে পাগল আমায় বলে যে ভালবাসার দিব্বি দিয়ে পায়ে শিকল বেধেঁছে কার বিহনে যাবে মন খুজে আমার পাগল মন। । ভালবাসার অনেক জ্বালা দিবা নিশি শুধুই পালা সঙ্গে থাকার কথা দিলি তৃর্প্ত হইল আরেকজনা কার বিহনে যাবে মন খুজে আমার পাগল মন। ।

মরন যদি আসে আমার সুপ্ত নয়নে যাবো আবার শুধাব তারে বিচ্ছেদের জ্বালা কার বিহনে যাবে মন খুজে আমার পাগল মন। । মনটা অনেক অস্থির...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।