নির্দোষ অমিয় ঘোষ, নির্দোষ ভারত। সব দোষ আমাদের। ফেলানীকে কে মারা হয়েছে তাতে কি, বিচারের নামে ফেলানীকে আবার একবার গুলি বর্ষণ করা হল এবং আমাদের সমগ্র জাতি সত্ত্বাকে উলঙ্গ করা হল তাতে কি? ফেলানী কে? হিন্দির সঙ্গে যেখানে আমাদের রমরমা পরকীয়া, ইন্ডিয়ান সিরিয়াল যেখানে আমাদের দেহমনের প্রধান ভোগ্য বস্তু, কুটনৈতিক ভাবে যেখানে আমরা তাদেরকে জানিয়েই দিয়েছি, এস হে প্রিয়তম তোমাকে বুকে আলিঙ্গনের জন্য আমি উন্মুখ হয়ে প্রহর গুনছি, সেখানে তারা আমাদের কুকুরের মতো মারবে ছাড়া কি জামাই আদর করবে? কিছু লোককে দেখা যাচ্ছে অনলাইন এ ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একেবারে মুখের ফেনা তুলে ফেলছেন। ভাইরে, তুমি দিবা গালি তোমার বাপ-ভাই করবে হুজুর হুজুর, পিরিতি থাকবে গলায় গলায়, তাই কখনো হয় নাকি?
নিজের ভিত্তি মজবুত হওয়া দরকার, আত্মশুদ্ধি দরকার, প্রতিবাদের ভাষা ও সম্মিলিত অবস্থান পরিস্কার হওয়া দরকার। তানাহলে এই বিচারের মাধ্যমে তারা যেভাবে সীমান্ত হত্যাকে উৎসাহিত করলো, তাতে তাদের মনোভাব ও ভবিষ্যৎ চিন্তাধারা সুস্পষ্ট হয়ে গেল। এত সম্পদ, এত সম্ভাবনা, এত মেধা, এত শ্রম থাকা সত্ত্বেও আমরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারছি না, ভারত আমাদের পা ধুয়ে না দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। কিছু ‘বরাহ নন্দন’ রাক্ষসের লালসার শিকার এই দেশ , এদের বিষদাঁত, হিস্র থাবা থেকে আগে মুক্তি দরকার, সাথে আছে কিছু চামচিকা যাদের হাত থেকে হুজুরের মস্তকের উপর ধরে রাখা ছাতাটি কেড়ে নেয়া দরকার। অন্যথায়
ফেলানী হবে পাপী, অমিয় হবে ফেরেস্তা,
তুমি পাবে না ইলিশ, খাবে ভারত,
তোমার বেডরুমের মধ্যদিয়ে যাবে তাদের চলাচলের রাস্তা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।