আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারের বাণী কাঁদে নিভৃতে || চার মহানায়কের তিরোধান

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

১৯৭৫ সাল। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক কালো বছর। ঐ বছরই জাতির পিতা শেখ মজিবর রহমান কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় স্বাধীনতার ইতিহাসের চার মহানায়ক কে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের শোক ভুলতে মানুষের এই প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যাবে। এর সাথে ৩রা নভেম্বরের কষ্টও কি ভুলা যাবে? কিন্তু চার নেতার এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডের বিচারের অবস্থা শুনলে মনটা আরো হু হু করে উঠে। জেল হত্যাকান্ডের পর খুনীদের বিচার করাতো দূরে থাক উল্টো বিভিন্ন সময়ের রাষ্ট্রপ্রধান রা বিভিন্ন ভাবে ঐ সব খুনীদের সহয়তা করেছে। কেউবা অধ্যাদেশ জারি করে, কেউবা বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, তাদেরই কেউ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ আসনে খুনীদের অধিষ্টিত করেছে। কিন্তু কেন? জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২০ই অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত জেলহত্যা মামলার এক রায়ে পলাতক তিন আসামীকে ফাঁসি এবং ১২ জনকে যাবজ্বীবন কারাদন্ড দেন।

এ হত্যা কান্ডের সাথে কোন ষড়যন্ত্র খুঁজে না পাওয়ায় এবং ষড়যন্ত্রের কারনে রাজনীতিক ভাবে অভিযুক্ত চার রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মন্জুর এবং তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বেকসুর খালাস দেন। এমনকি আসামী ২০ জনের সবাইকে ফৌযদারী কার্যবিধি ১২০(বি) ধারার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়। হত্যাকান্ডের ২৯ পর দেওয়া ঐ রায়ে আরো বলা হয় মূল পরিকল্পনার সাথে সেনাকর্মকর্তাদের যোগাযোগ ছিলো। কিন্তু কারা ঐ পরিকল্পনাকারী বিচারিক আদালত তা চিহ্নিত করেনি। নিন্ম আদালতের এ রায় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও রাষ্টপক্ষ বা নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে কোন আপিল করা হয়নি।

নিন্ম আদালতের রায় দেওয়ার প্রায় সারে চারবছর পর আপিল আদালতের রায়েও বলা হয়েছে জেল হত্যাকান্ডে কোন ষড়যন্ত্র খঁজে পাওয়া যায়নি। গত ২৮ শে আগস্ট বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেন্চ রায়ে বলেন জেল হত্যাকান্ড একটি বর্বোরোচিত এবং কাপুরুষিত হত্যাকান্ড হলেও প্রকৃত নায়কদের চিহ্নিত করা যায়নি। হাইকোর্ট মাত্র একজন আসামীকে দোষী সাব্যস্থ করে, পলাতক আর আসামীর যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বেকুসুর খালাস দিয়ে দেই। এবং এও বলেন যে পলাতক আসামীরা আপিল করলে তারাও খালাস পেতেন। ২৯ বছর নিন্ম আদালতে বিচার সম্পূর্ণ, চার বছর পর মৃত্যুদন্ড নিশ্চিৎকরন, ও হাইকোর্টে আপিল শুনানির পর রায় আর রায় ঘোষনার এতদিন পরও এ মামলার রায় হাতে না পাওয়ায় এ মামলাটিকে একটি অবহেলিত মামলা হিসাবে চিহ্নিত করে বা চিহ্নিত করা যায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.