যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাকে দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। রায় পুনঃবিচারের দাবি জানিয়ে তারা অভিযোগ করে বলেছেন, রায়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিমকার্টের বাইরে অপেক্ষমান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় বাচ্চু রাজাকার যত অপরাধ করেছে কাদের মোল্লা তার থেকে অনেক বেশি অপরাধ করেছে। আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু এই রায় আমরা মানি না। সরকারের কাছে এ বিচার পুনঃবিচেনার দাবি জানাচ্ছি। ”
কাদের মোল্লার ফাঁসি দাবি করে বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার কুতুব উদ্দিন অভিযোগ করেন, “টাকার বিনিময়ে রায় হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ডেভিড বৌদ্ধও অভিযোগ করেন এ রায় নিয়ে।
রায়ে ভেজাল হয়েছে বলে তার অভিযোগ। কাদের মোল্লার ফাঁসি না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ভবিষ্যতে আর কোনো কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানান তিনি।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ডের জন্য রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। এই রায়ে আমরা হতভম্ব হয়েছি। আমরা সরকারের কাছে বিচার পুনঃবিচেনার দাবি জানাই।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আসা মনিরুজ্জামানও জানালেন তার ক্ষোভের কথা। তিনি বলেন, “একাত্তরে জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়া উচিত। এই রায় আমরা মানি না। ”
প্রসঙগত, মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
___________________________________________________
মুক্তিযোদ্ধাদের রায় ফাঁসি, তরুনদের রায় ফাঁসি।
রাজপথে হুংকার তোলা প্রতিটি প্রানের দাবি ফাঁসি।
মানুষ মানেই তো দেশ! আর কাদের দরকার তোমাদের? জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আদালতের উপরে তোমার কোন আদালত মানিনা।
ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই।
ফাঁসি ছাড়া কথা নাই!
জামায়াত শিবির নিপাত যাক,
সোনার বাংলা মুক্তি পাক! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।