তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
দোস্ত চেইন স্মোকার। আগে স্মোকিং এর সাথে অনেক বদঅভ্যাস ছিলো। এখন সবকিছু ছেড়ে শুধু সিগারেটেই সুখ খুজে। কয়েকবছর আগে নিজেই স্মোকার ছিলাম এখন সঙ্গ দিতে সিগারেট খাই।
ট্রেনে সাধারনত একটি বগি থাকে স্মোকারদের জন্য(বেশ আগে দেখেছি)। বর্তমানে যে থাকে না সেটা জানতাম না। ট্রেনে উঠার আগে দু'জনে বেশ ভালো করে সিগারেট খেয়ে নিয়েছিলাম। স্বভাবমতো ট্রেন ছাড়ার পরপরই সবকটি বগি একটু হেটে নিলাম(ছোট বেলার অভ্যাস)। চান্সে টয়লেট ভ্রমন করে আসলাম।
আমি আবার একটু টয়লেট ভক্ত। যেখানেই যাই টয়লেট সুন্দর, ছিমছাম, শুকনো (স্যাতস্যাতে না) থাকলেই আমি খোশ। এমনিতেই জার্মানদের পাবলিক টয়লেট অনেক অনেক ভালো। এতো ভালো ট্রেনের টয়লেট খারাপ হওয়ার কোনই চান্স নাই।
দোস্তের তো অন্য চিন্তা।
সিগারেট খাওয়ার জায়গা কোথায়? খোজ নিয়ে জানলাম গত দুই বছর থেকে জার্মানির সবরকম ট্রেনে সিগারেট খাওয়ার জন্য কোন অতিরিক্ত বগি নেই। প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন মাত্র ১/২ মিনিট থামছে। এইসময়ে যাত্রি উঠা-নামাতেই সময় শেষ। আর প্লাটফর্মের সবজায়গায় সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জায়গার খাওয়া হালাল।
ব্যস, ঝাড়ি খেতে খেতেই প্যারিস যাত্রা
কাজ নাই তো খই ভাজ অবস্হা। লেপটপ নিয়ে আসিনি। কম্পিউটারকে কাধে নিয়ে ঘুরতে আমার এলার্জি। যদিও সব সময় কাধে ব্যাগ থাকবে (বাই ডিফল্ট)। বসে বসে কফি, পানি, বাসা থেকে নিয়ে আসা নাস্তা, আর ফটো তুলতে তুলতে টাইম কাটানো।
ফ্রান্সের বর্ডার স্টেশনে আসার পর ইমিগ্রেশন অফিসারের আগমন। উনারা ডাইরেক্ট এসে আমাদের পাসপোর্ট চাইলেন। সবকিছু ঠিক আছে দেখে ডাংকে দিয়ে চলে গেলেন। দোস্ত জিঞ্জেস করলো -এতো লোক থেকে শুধু আমাদের পাস দেখলো? বল্লাম-চামড়া দোষ। আরো কিছুক্ষন পর কাষ্টমস অফিসার আসলেন।
উনিও এসে আমাদের জিঞ্জেস করলেন সাথে কতো ইউরো, ডিক্লেয়ার করার কিছু আছে নাকি? দোস্ত বল্লো ওর কাছে হাজার খানেক আছে। আমার কাছে আছে শ'দুয়েক, ক্রেডিট কার্ড। উনিও ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেলেন। এইসব কাজ-কারবার ট্রেন চলাকালীন সময়েই সংঘটিত হচ্ছিলো।
প্রথম যখন প্যারিস যাই তখন বাসায় না জানিয়ে গিয়েছিলাম।
সাথে ছিলো না কোন ক্যামেরা। ছবি তুললে পরে দেখে যদি ঝাড়ি দেয় সেই চিন্তা ছিলো। বন্ধুদের ক্যামেরায় কিছু ছবি ছিলো। এখন নিজের ক্যামেরা সাথে ৫গিগা ম্যামরি কার্ড। ক্যামেরার চার্জের কোন সমস্যা নেই।
আছে লিথিয়াম ব্যাটারি। ট্রেনে প্রতিটি সিটের পাশেই আছে চার্জের জন্য ২২০ ভল্টের প্লাগ । সো, নো চিন্তা। শুধু শার্টার টেপা।
ট্রেন প্যারিসের কাছাকাছি যতো যাচ্ছে টেনশন বাড়তেছিলো।
স্টেশনে একজন থাকার কথা। যদি না থাকে তাহলে সবকিছু দেখে সময়ে কাভার হবে তো? অবশ্য প্যারিসে দেখার কি আছে?? আইফেল টাওয়ার, মিউজিয়াম, নদীতে স্টিমারে ঘুরে বেড়ানো। আর কিছু?? সবচে বড় টেনশন আবহাওয়া। যদি বৃষ্টি অথবা ঠান্ডা থাকে তাহলেই বেড়ানোর সব আয়োজন মাঠে মারা। এইদিকে ভাগ্য বেশ ভালো।
একদম সামারের মতো রোদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।