তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
যতো ঘোরাঘুরি সব ছাত্রাবস্হায়। চাকরীবস্হায় তার সিকিভাগও হয়নি। দেশ থেকে দোস্তের আসা উপলক্ষ্যে কিছু বেড়ানোর প্লান করেছিলাম। কিন্তু মাত্র ৫সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে এসে নতুন করে ছুটি নিতে নিজের কাছেই খারাপ লাগতেছিলো।
কাজের চাপ অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশিই। তারপরও দু'দিনের ছুটি ম্যানেজ করলাম।
ছাত্রাবস্হায় ঘোরাঘুরি করা সহজ। হোস্টেলে থাকাকালীন সময়ে সবাই (মা-বাবা, মামা-মামী) ভাবতো হোস্টেল সেইফ জায়গা। ওখান থেকে ইচ্ছে হলেই কোথাও যাওয়া যাবে না।
কিন্তু আমাদের ধরে রাখার সাধ্য কার। উপায় বের হয়েই যেতো। বেড়াতে যেতে সাধারনত বাসায় না বলেই যেতাম। বল্লে হাজার রকমের প্রশ্ন করবে, চিন্তা করবে। তাই যাবার আগে ভালো করে বাসায় কথা বলতাম।
এমনকি যে জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি ওখানে গিয়েও ফোন দিতাম। সবাই ভাবতো আমি আমার জায়গায়ই আছি। আসলে তো তখন আমি ফুড়ুৎ
বন্ধু প্যারিস যাবার প্লান করেছে। ইউনি তে পড়ার সময় একবার প্যারিস গিয়েছিলাম। তখন প্রায় ১৯জন বাঙালী ছাত্র একসাথে বাসে করে যাওয়া হয়েছিলো।
খরচ হয়েছিলো জনপ্রতি ৮৫ ইউরো প্রায়। খুব মজা হয়েছিলো। প্রতিটা মুহুর্ত উপভোগ করেছি। যেতে প্রায় ৯ঘন্টা লেগেছিলো। প্লেনে যাওয়া সহজ, খরচ কম।
প্লেনে সময়ও বেশ কম লাগে। কিন্তু আগে টিকেট বুকিং না দিলে সিটই পাওয়া যায় না। তাই প্লেন বাদ। ট্রেনেও বিভিন্ন রকমের কমিশনের ব্যবস্হা থাকে। আগে থেকে বুকিং দিলে প্লেনের চেয়ে ট্রেনে কম ভাড়ায় যাওয়া যায়।
নিজের কাজের চাপে টিকেটের ব্যাপার ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম। ট্রেন খুবই আরামদায়ক। ৩০০ কি.মি'র উপরে ট্রেনের গতি (আমি একবার দেখেছিলাম ৩১৯ কি.মি তে দৌড়াচ্ছে)। সময় চার ঘন্টা। ফ্রাঙ্কফুট টু প্যারিস।
সাথে বাড়তি পাওনা বিভিন্ন শহর উপশহর দেখে যাওয়া যায়। ১৬০ ইউরোর ট্রেনের টিকেট কাটলাম ২৩৫ ইউরো দিয়ে। লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে।
যাত্রা ভোর ৬ ঘটিকায়। ঘুম থেকে উঠতে হলো ভোর ৪ টায়।
এখন ফজরের নামাযের সময় হয় ৬ টার পর। মা'কে উঠতে মানা করে দিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে পরোটা, ভাজি, চা তৈরী করে দু'জনে খেয়ে ট্রেনের উদ্যশ্যে যাত্রা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।